গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩০০ পেরিয়েছে
ফিলিস্তিন-শাসিত গাজায় আজ শনিবার
ইসরায়েলের নতুন করে শুরু হওয়া বিমান হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছে। এই নিয়ে গত
১২ দিনে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩০০ পেরিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুদ্ধবিরতিতে উভয় পক্ষকে রাজি করাতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আজ ওই অঞ্চলে সফরে যাচ্ছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন।
গাজায় ইসরায়েলের প্রায় একতরফা হামলা আজ দ্বাদশ দিনে গড়িয়েছে। ভোরে খান ইউনিস শহরে একটি মসজিদের বাইরে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে সাতজন নিহত হয়। এরপর গাজায় আরও হামলা হয়। এতে চারজন নিহত হয়।
আজকের ঘটনা নিয়ে গত ১২ দিনে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩০৭ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছে দুই সহস্রাধিক ফিলিস্তিনি। হতাহত ব্যক্তিদের অধিকাংশ বেসামরিক নাগরিক। তাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।
অপর দিকে চলমান সংঘাতে এ পর্যন্ত দুজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েকজন।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে গতকাল শুক্রবার বলা হয়েছে, চলমান সহিংসতা বন্ধে উভয় পক্ষকে একটি সমঝোতায় আনার লক্ষ্যে সংস্থাটির মহাসচিব বান কি মুন আজ ওই অঞ্চল সফরে যাচ্ছেন।
নিজেকে রক্ষার ব্যাপারে ইসরায়েলের অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি এড়াতে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গাজা উপত্যকায় গতকাল আবার স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। যুদ্ধবিমান ও সামরিক হেলিকপ্টারের সহায়তা নিয়ে স্থলবাহিনীর ওই অভিযানে গতকালও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ বাঁচাতে গাজার বাসিন্দারা বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন।
এর আগে ১৩ জুলাই দিবাগত রাত থেকে প্রথম গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছিল ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা। এক দিন পরই ওই স্থল হামলা স্থগিত করা হয়েছিল।
হামাস হুঁশিয়ারি করে বলেছে, এ আগ্রাসনের জন্য ইসরায়েলকে চড়া মূল্য দিতে হবে। ইসরায়েলি হামলার জবাবে তারা গাজা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট ছুড়ছে।
ইসরায়েল বলছে, গতকাল এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। তবে কোথায় ও কীভাবে নিহত হয়েছেন, তা সুনির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি।
৮ জুলাই থেকে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলার সূত্রপাত ইসরায়েলি তিন কিশোরকে সম্প্রতি অপহরণ ও হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। হামাসই ওই ঘটনা ঘটায় বলে মনে করে ইসরায়েল। তবে হামাস তা অস্বীকার করে। পরে ফিলিস্তিনি এক কিশোরকে একইভাবে হত্যা ও অপহরণের পর উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। এরপর গাজা থেকে রকেট ছোড়া হচ্ছে—এমন দাবি তুলে ‘অপারেশন প্রটেক্টিভ এজ’ শুরু করে ইসরায়েল।
এর আগে ২০১২ সালের নভেম্বরে গাজায় অভিযান চালায় ইসরায়েল। তখন আট দিনের মাথায় মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়।
ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ফিলিস্তিনের দুই অংশ পশ্চিম তীর ও গাজা ২০০৭ সালের আগস্টে চলে যায় দুটি দলের নিয়ন্ত্রণে। সেই থেকে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বে ফাতাহ পশ্চিম তীরে ও খালেদ মেশালের নেতৃত্বে হামাস গাজা শাসন করছিল। এই অবস্থায় গত এপ্রিলে দুই দলের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী নতুন করে নির্বাচনের পর চলতি বছরের শেষ নাগাদ একটি জাতীয় সরকার গঠনের কথা। কিন্তু হামাস-ফাতাহর চুক্তিকে ভালোভাবে নেয়নি ইসরায়েল। তাদের মতে, হামাস একটি জঙ্গি সংগঠন। হামাস-ফাতাহ জাতীয় ঐক্যের সরকার হলে সেই সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় যাবে না বলে জানিয়ে দেয় ইসরায়েল।
১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদিদের জন্য ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের শুরু। এর পর থেকে নিয়মিত রক্ত ঝরলেও আজও তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের স্বাধীন সত্তা মেনে নিতে রাজি নয় ইসরায়েল।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুদ্ধবিরতিতে উভয় পক্ষকে রাজি করাতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আজ ওই অঞ্চলে সফরে যাচ্ছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন।
গাজায় ইসরায়েলের প্রায় একতরফা হামলা আজ দ্বাদশ দিনে গড়িয়েছে। ভোরে খান ইউনিস শহরে একটি মসজিদের বাইরে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে সাতজন নিহত হয়। এরপর গাজায় আরও হামলা হয়। এতে চারজন নিহত হয়।
আজকের ঘটনা নিয়ে গত ১২ দিনে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩০৭ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছে দুই সহস্রাধিক ফিলিস্তিনি। হতাহত ব্যক্তিদের অধিকাংশ বেসামরিক নাগরিক। তাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।
অপর দিকে চলমান সংঘাতে এ পর্যন্ত দুজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েকজন।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে গতকাল শুক্রবার বলা হয়েছে, চলমান সহিংসতা বন্ধে উভয় পক্ষকে একটি সমঝোতায় আনার লক্ষ্যে সংস্থাটির মহাসচিব বান কি মুন আজ ওই অঞ্চল সফরে যাচ্ছেন।
নিজেকে রক্ষার ব্যাপারে ইসরায়েলের অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি এড়াতে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গাজা উপত্যকায় গতকাল আবার স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। যুদ্ধবিমান ও সামরিক হেলিকপ্টারের সহায়তা নিয়ে স্থলবাহিনীর ওই অভিযানে গতকালও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ বাঁচাতে গাজার বাসিন্দারা বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন।
এর আগে ১৩ জুলাই দিবাগত রাত থেকে প্রথম গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছিল ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা। এক দিন পরই ওই স্থল হামলা স্থগিত করা হয়েছিল।
হামাস হুঁশিয়ারি করে বলেছে, এ আগ্রাসনের জন্য ইসরায়েলকে চড়া মূল্য দিতে হবে। ইসরায়েলি হামলার জবাবে তারা গাজা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট ছুড়ছে।
ইসরায়েল বলছে, গতকাল এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। তবে কোথায় ও কীভাবে নিহত হয়েছেন, তা সুনির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি।
৮ জুলাই থেকে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলার সূত্রপাত ইসরায়েলি তিন কিশোরকে সম্প্রতি অপহরণ ও হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। হামাসই ওই ঘটনা ঘটায় বলে মনে করে ইসরায়েল। তবে হামাস তা অস্বীকার করে। পরে ফিলিস্তিনি এক কিশোরকে একইভাবে হত্যা ও অপহরণের পর উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। এরপর গাজা থেকে রকেট ছোড়া হচ্ছে—এমন দাবি তুলে ‘অপারেশন প্রটেক্টিভ এজ’ শুরু করে ইসরায়েল।
এর আগে ২০১২ সালের নভেম্বরে গাজায় অভিযান চালায় ইসরায়েল। তখন আট দিনের মাথায় মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়।
ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ফিলিস্তিনের দুই অংশ পশ্চিম তীর ও গাজা ২০০৭ সালের আগস্টে চলে যায় দুটি দলের নিয়ন্ত্রণে। সেই থেকে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বে ফাতাহ পশ্চিম তীরে ও খালেদ মেশালের নেতৃত্বে হামাস গাজা শাসন করছিল। এই অবস্থায় গত এপ্রিলে দুই দলের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী নতুন করে নির্বাচনের পর চলতি বছরের শেষ নাগাদ একটি জাতীয় সরকার গঠনের কথা। কিন্তু হামাস-ফাতাহর চুক্তিকে ভালোভাবে নেয়নি ইসরায়েল। তাদের মতে, হামাস একটি জঙ্গি সংগঠন। হামাস-ফাতাহ জাতীয় ঐক্যের সরকার হলে সেই সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় যাবে না বলে জানিয়ে দেয় ইসরায়েল।
১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদিদের জন্য ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের শুরু। এর পর থেকে নিয়মিত রক্ত ঝরলেও আজও তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের স্বাধীন সত্তা মেনে নিতে রাজি নয় ইসরায়েল।
No comments