উৎখাত সংস্কৃতি থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করবে কে?
বাংলাদেশের ৪৩ বছরের ইতিহাসে রাষ্ট্রক্ষমতার পরিবর্তনে দু-দুবার রক্তলোলুপ হত্যাযজ্ঞের আয়োজন প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ববাসী। দুবারই সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়েছে। আরও দুবার সমরপ্রভুরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছেন—১৯৮২ সালে সরাসরি এবং ২০০৭ সালে আড়াল থেকে, তবে রক্তপাতের প্রয়োজন হয়নি। রাষ্ট্রক্ষমতার পরিবর্তন-প্রক্রিয়ায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে একমাত্র নির্ধারক করার প্রয়োজনেই এ দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতির প্রচলন করা হয়েছিল। কিন্তু, ওয়াকিবহাল মহলের অজানা নয় যে ১৯৯৬-২০০৮ পর্বের তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে নির্ধারক ভূমিকা পালনের অবস্থান থেকে ওই পদ্ধতিতেও প্রকৃত বিচারে সামরিক বাহিনীকে হটানো যায়নি; দেশের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থাই প্রতিবার মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী বাছাইয়ে। ৪৩ বছরের নির্বাচিত-অনির্বাচিত সব সরকারের মধ্যে এ দেশে স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ত্যাগের একমাত্র নজির সৃষ্টি করেছিলেন শেখ হাসিনা, তাঁর সরকার ২০০১ সালে কোনো আন্দোলন ছাড়াই সময়মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা অর্পণ করে। অন্যদিকে, ১৯৯০ সালে সামরিক একনায়ককে উৎখাতের জন্য যেমন গণ-অভ্যুত্থানের প্রয়োজন পড়েছিল, তেমনি আবার ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনী প্রহসনে একতরফা বিজয়ী বিএনপিকে হটিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রচলনের জন্যও প্রায় গণ-অভ্যুত্থান পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল।
এরই ফলে সংবিধানে তড়িঘড়ি করে ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস করাতে হয়। ১৯৯৬ সালেই কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মারাত্মক ত্রুটিটি জাতির কাছে প্রকাশিত হয়ে গিয়েছিল: ওই ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতিকে লাগামহীন ক্ষমতাধর করে ফেলা হয়েছিল বিএনপির ধুরন্ধর নীতিপ্রণেতাদের অভিসন্ধি অনুসারে। ব্যাপারটা ধরা পড়েছিল প্রথমবার বেগম খালেদা জিয়ার পরামর্শে তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস যখন প্রধান উপদেষ্টা এবং সেনাবাহিনীর িচফ অব স্টাফের অগোচরে কয়েকজন সেনা কমান্ডারকে চাকিরচ্যুত করার আদেশ জারি করায় সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল। আল্লাহকে শুকরিয়া যে তদানীন্তন প্রধান উপদেষ্টা প্রয়াত বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে জাতি ওই বিপদ থেকে পরিত্রাণ পেয়েছিল। তবে, ওই সামরিক সংকটে শাস্তিপ্রাপ্ত হওয়ায় বেশ কয়েকজন মেধাবী সেনা কমান্ডার চাকির হারিয়েছিলেন। এরপর নির্বিঘ্নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাসকে আবারও ব্যবহার করে বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করার অপপ্রয়াসে প্রায় সফল হয়ে গিয়েছিলেন, এ কথা হয়তো এখন অনেকে ভুলে গেছেন। মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার বিচক্ষণ পদক্ষেপ তাঁদের ওই তৎপরতাকেও ভন্ডুল করে দিয়েছিল। ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিএনপি-জামায়াত জোট কীভাবে অপব্যবহার করে নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে গো–হারা হারানোর ব্যবস্থা করেছিল,
সেটা এখন মোটামুটি সবার জানা হয়ে গেছে। সবশেষে ২০০৬-২০০৭ পর্বে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনকে খালেদা জিয়া কতভাবে যে অপব্যবহার করেছেন, সে কাহিনি এত তাড়াতাড়ি জাতি ভুলে যায়নি। রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনকে ব্যবহার করে সেনাবাহিনীর িচফ অব স্টাফ পদে বেগম জিয়ার পছন্দসই পরিবর্তনকে ভন্ডুল করার উদ্দেশ্যেই ২০০৭ সালের এক-এগারোর ছদ্মবেশী সামরিক অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, এটাও অনেকে ভুলে গেছেন হয়তোবা। কিন্তু, এসব ত্রুটির কারণে নয়, সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারবিষয়ক সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন এর ‘অনির্বাচিত সরকার’ হওয়ার কারণে, যা খুবই যৌক্তিক। কিন্তু, ওই রায়ে সংসদ প্রয়োজন মনে করলে আরও দুবারের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখা যাবে বলে সুপ্রিম কোর্ট মত প্রকাশ করেছিলেন, শুধু বিচার বিভাগকে এর সঙ্গে না জড়াতে অনুরোধ করা হয়েছিল। সংসদে পাস হওয়া পঞ্চদশ সংশোধনী সুপ্রিম কোর্টের ওই মতামতকে উপেক্ষা করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছানুসারে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ািরর একতরফা নির্বাচনটা সফল করার জন্যই যে সুপ্রিম কোর্টের মতামতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হয়েছে, তা না বোঝার কারণ নেই। কিন্তু, এর ফলে রাষ্ট্রক্ষমতার পরিবর্তনের ইস্যুটা এ দেশে আবারও গণ-অভ্যুত্থান, সামরিক অভ্যুত্থান ও হত্যাযজ্ঞের পুরোনো ‘অসভ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে’ প্রত্যাবর্তনের যে প্রবল আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে, তা কি অস্বীকার করা যাবে?
১৯৯১ সালে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ভোটে সরকার পরিবর্তনের ‘রাজনৈতিক সংস্কৃতির’ বিকাশের যে সূচনা হয়েছিল, তা থেকে জাতি যে ২০১৪ সালে আবারও ছিটকে পড়ল৷ এটাকে কি মহাবিপদ মনে হচ্ছে না? ছয় মাস ধরে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতা-কর্মীরা যে আবারও আরেকটি ১৫ আগস্টের হুমকি দিতে শুরু করেছেন, তা কি শুধুই কথার কথা? ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেওয়া বিএনপি ১৫ আগস্টকে বরাবরই ‘জনগণের মুক্তি’ হিসেবেই অভিহিত করে চলেছে। বিএনপির অনেক নেতা ওই অমানুষিক হত্যাকাণ্ডের ঘাতকদের ‘সূর্যসন্তান’ বলেও অভিহিত করেছেন একাধিকবার এবং এটা মোটেও কাকতালীয় বা তাৎপর্যহীন নয় যে শেখ হাসিনার অনুরোধ সত্ত্বেও বেগম খালেদা জিয়া ১৫ আগস্টে তাঁর জন্মদিন ঘটা করে পালন করা থেকে বিরত হবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এটাও ভুলে যাওয়া যাবে না যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিঃসন্দেহে শেখ হাসিনাকেই হত্যা করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছিল। ওই ধরনের হত্যার পরিকল্পনা অদূর ভবিষ্যতে যে নেওয়া হবে না, তা কি নিশ্চিত করে বলা যায়? সাম্প্রতিক দিনগুলোতে জামায়াত-শিবিরের খুন-জখম-বোমাবাজির তাণ্ডবে লক্ষণীয় ভাটার টান পরিলক্ষিত হওয়ায় রাজনীতির মাঠে প্রবল সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে যে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ছাড় দেওয়ার বিনিময়ে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারদের নিষ্ক্রিয় রাখার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ জামায়াতের সঙ্গে একটা গোপন সমঝোতায় উপনীত হয়েছে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় ঘোষণায় সুপ্রিম কোর্টের রহস্যজনক বিলম্ব এবং অসুস্থতার অজুহাতে নিজামীর রায় ঘোষণা মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ স্থগিত করে দেওয়ায় সমঝোতার ব্যাপারটাকে আর উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অবশ্য, এটাকে আমি জামায়াতের ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্কের’ একটা ধুরন্ধর চাল হিসেবেই বিবেচনা করছি। নিজেদের শক্তি পুনরুদ্ধারের জন্য তাদের এই ‘যুদ্ধবিরতির’ প্রয়োজন ছিল ৈবকি! কিন্তু, আমি কিছুতেই বিশ্বাস করতে রাজি নই যে জামায়াত-শিবিরকে তাদের সহিংস রাজনীতি থেকে এ ধরনের সমঝোতা বেশি দিন বিরত রাখতে পারবে। আমি এও বিশ্বাস করি যে এ ধরনের গোপন সমঝোতা আখেরে আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার জন্যই বুমেরাং হবে। প্রতিপক্ষকে হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদ দখলের সংস্কৃতি মানবসমাজের উপরিকাঠামোতে রাষ্ট্রের উদ্ভবের পর থেকেই চালু রয়েছে। প্রাগৈতিহাসিক পর্যায়ের মানবসমাজে রাষ্ট্র ছিল না। এমনকি মানব-বসতি স্থাপনের ইতিহাসে যেসব প্রাচীন সভ্যতার কথা আমরা জানতে পারছি, সেগুলোতেও প্রাথমিক পর্যায়ে রাষ্ট্র চালু ছিল না। সামাজিক বিকাশের ধারায় বিকশিত তুলনামূলক অপ্রাচীন প্রতিষ্ঠান বলা চলে রাষ্ট্রকে।
রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের মান্ধাতার পদ্ধতি রাজতন্ত্রে খুনোখুনিই প্রধান রাজনৈতিক সংস্কৃতি ছিল বলা চলে। একটা সমাজ কতখানি সভ্য হলো, তার অন্যতম প্রধান মাপকাঠি হলো রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনে হত্যা ও খুনোখুনির প্রয়োজন মোটেও না থাকার রাজনৈতিক সংস্কৃতি কতখানি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করা গেল, তার পরীক্ষায় ওই সমাজ উত্তীর্ণ হতে পারল কি না সে ব্যাপারটা। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের রাষ্ট্র-চরিত্র সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করা হলে কিন্তু এখনো রাজনৈতিক হত্যা, সামরিক অভ্যুত্থান ও গণ-অভ্যুত্থানের অশনিসংকেতকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়াটা মোটেও সমীচীন হবে না। ভারতে সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি যেভাবে ভোটের জোয়ারে অভিষিক্ত হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হলো, তা প্রমাণ করে দিয়েছে যে গণতন্ত্রের িশকড় ভারতে দৃঢ়ভাবে প্রোথিত হয়েছে। দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারকে জনগণ প্রবলভাবে প্রত্যাখ্যান করার পর কংগ্রেস-নেত্রী সোনিয়া গান্ধী যেভাবে দায় নিয়ে নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেটাও প্রকৃত গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিরই পরিচায়ক। আবার, কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগের প্রতি সম্মান জানিয়ে যেভাবে তিনি এই বিপর্যয় থেকে কংগ্রেসকে উদ্ধারের মিশনে ঝাঁপিয়ে পড়লেন, তাতেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সৌন্দর্যটা পুরোপুরি পরিস্ফুট হয়েছে। এর সঙ্গে তুলনা করুন ২০১৩-২০১৪ পর্বের বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ডামাডোলকে। ১৯৯১ সালে ভোটের রাজনীতি চালু হলেও এ দেশে ২৩ বছর ধরে পালাক্রমে নির্বাচিত বিএনপি বা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন কোনো সরকারই জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ভোটে পর পর দুই মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে আসতে পারেনি। কিন্তু, প্রতিবারই সরকারে ক্ষমতাসীন জোট তাদের ক্ষমতার মেয়াদে সুপরিকল্পিতভাবে পরবর্তী নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য ‘সাজানো বাগান’ গড়ে তোলার প্রাণপণ প্রয়াস চালিয়েছে।
১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৬ ও ২০০৭–এর অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা গেছে, অ্যান্টি–ইনকমব্যান্সি ফ্যাক্টর বাংলাদেশে এতই প্রবল যে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আরও বহুদিন এ দেশে কোনো ক্ষমতাসীন দল বা জোট পর পর দুবার নির্বাচনে জিতে ক্ষমতাসীন হতে পারবে না। দুর্নীতি ও পঁুজি লুণ্ঠনের দুষ্ট চক্র থেকে কোনো সরকাির দল বা জোটই বেরোতে পারছে না বলেই বারবার জনগণের বিপুল প্রত্যাখ্যান সদ্য-বিদায়ী সরকারি দল বা জোটের জন্য নির্বাচনী বিপর্যয় ডেকে আনছে, এটা না বোঝার কোনো কারণ নেই। ভারতের বিহার রাজ্যে নীতিশকুমার তাঁর পূর্বসূির লালু প্রসাদ যাদবের তুলনায় তুলনামূলক সুশাসন দেওয়ায় তিনি পর পর তিনবার বিহারে নির্বাচনী বিজয় অর্জন করেছিলেন। এবার মোদি জোয়ারে তাঁর দল লোকসভা নির্বাচনে পরাজয় বরণ করায় তিনি পদত্যাগ করেছেন, যদিও বিধান সভায় তাঁর দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অক্ষুণ্ন ছিল। এটাও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সৌন্দর্যেরই প্রতিফলন। আমাদের দুই নেত্রী যদি নির্বাচনী পরাজয়কে নির্দ্বিধায় মেনে নেওয়ার এই গণতান্ত্রিক মানসিকতাটুকু অর্জন করতে পারতেন, তাহলে বাংলাদেশের শিশু গণতন্ত্র এবার যেভাবে মুখ থুবড়ে পড়ল, তা এড়ানো যেত। কিন্তু, তাঁদের দুজনই ক্ষমতার লিপ্সায় এতই বঁুদ হয়ে আছেন যে নিজেদের ক্ষমতার মেয়াদকে যেনতেনভাবে দীর্ঘায়িত করাই তাঁদের প্রধান ধ্যানজ্ঞান বলা চলে। দেশ ও জনগণের জীবনের সীমাহীন দুর্ভোগে তাঁদের কিছু যায় আসে না।
মইনুল ইসলাম: প্রফেসর, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি৷
মইনুল ইসলাম: প্রফেসর, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি৷
No comments