লবিতে তখন অন্যরকম দৃশ্য

সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ নির্বাচনের জন্য সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে আসছে বিএনপি। সরকারের তরফে উপেক্ষিত সে আহ্বান। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন, ২০১৯ সালে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের জন্য যে কোন সময় সংলাপ হতে পারে। সরকার ও বিরোধী দলের অবস্থান যখন দুই মেরুতে তখন রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। ভারতের সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ উঠেছিলেন সোনারগাঁওয়ে। গতকাল সকালে সুষমা স্বরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সোনারগাঁও হোটেলের লবিতে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ও মশিউর রহমান। প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা। এদিকে সুষমার সঙ্গে খালেদার বৈঠকে অংশ নিতে ১০টায় হোটেলে পৌঁছান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা। লবির একপাশে ড. মশিউর রহমানকে দেখে এগিয়ে যান মির্জা আলমগীর। কুশলাদি জিজ্ঞাসা করে মশিউর বলেন, ‘কি রে তোর শরীর কেমন আছে? আজ তো দেখতে ভালোই লাগছে।’ মির্জা আলমগীর হেসে বলেন, ‘স্যার, যাচ্ছে একরকম।’ বিএনপি সূত্র জানায়, ঢাকা কলেজে অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপনাকালে মশিউর রহমান পেশাগতভাবে জ্যেষ্ঠ হওয়ায় তাকে ‘স্যার’ সম্বোধন করেন মির্জা আলমগীর। কুশল বিনিময় করে দলের অন্য নেতাদের নিয়ে অন্যদিকের চেয়ারে বসতে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে তাকে জড়িয়ে ধরেন ড. গওহর রিজভী। মির্জা আলমগীরকে বলেন, ‘ভাই কেমন আছেন? আমাদের ফেলে যাবেন না।’ উত্তরে মির্জা আলমগীর বলেন, ‘আমরা তো ফেলে যেতে চাই না। আপনারাই তো আমাদের ঠেলে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন।’ এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদকে উদ্দেশ্য করে ড. রিজভী বলেন, ‘আসেন, একত্রে বসি। এই তো আমাদের মধ্যে সংলাপ হচ্ছে। এটাও অনানুষ্ঠানিক সংলাপ। আমরাও সংলাপ সেরে ফেলি।’ এ সময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সদস্য ড. আবদুল মঈন খান সেখানে পৌঁছান। এরপর বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতারা কিছুক্ষণ আড্ডা দেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হোটেলে পৌঁছা পর্যন্ত অন্তত ১০ মিনিট চলে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের এ মিনি সংলাপ। এ সময় সেখানে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক এ করিমও উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.