নারায়ণগঞ্জে যেভাবে দেওয়া হলো জালভোট- ইডব্লিউজির সংবাদ সম্মেলন
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপনির্বাচন। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রে একদল লোক ঢুকে ৮ থেকে ১০টি ব্যালট পেপার ছিনতাই করে। পেপারে সিল মেরে ব্যালটবাক্সে ঢুকিয়ে দেয়।
আলীরটেক এলাকার একটি কেন্দ্রে ৫০ থেকে ৬০ জন লোক ঢুকে দুই ঘণ্টা ধরে ব্যালট বাক্সে সিল মারা ব্যালট পেপার ঢুকিয়ে দেয়। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডেও বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে একইভাবে কিছু লোক ঢোকে। হুমকি দেওয়া হয় প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে। তিনি চুপ করে বসে থাকেন।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপনির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পড়া প্রাথমিক বিবৃতি প্রতিবেদনে এভাবেই নির্বাচন চলাকালে দেখা কয়েকটি ভোটকেন্দ্রের বর্ণনা দেয় ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি)। ইডব্লিউজি নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে ১৪১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬০টি কেন্দ্রে ৬০ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। নির্বাচনে ৬০টি কেন্দ্র পরিদর্শনের পরে ইডব্লিউজি জানায়, ৬০টির মধ্যে ৩০ শতাংশ কেন্দ্রে জালভোট পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রাথমিক বিবৃতি প্রতিবেদন পড়ে শোনান নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার পরিচালক আবদুল আলীম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘একদল লোক’, ‘কিছু লোক’, অবৈধভাবে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন ও জালভোট দেন। কিন্তু তাঁরা কারা, কোন দলের, তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।
এসব লোকের পরিচয় জানতে চাইলে আবদুল আলীম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রাথমিক বিবৃতিতে এসব বিষয় আনা হয় না। বিস্তারিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হবে।’
পরে আবদুল আলীম একটু হেসে বলেন, ‘এ ছাড়া আমার মনে হয় এটা আপনারা বুঝতে পারছেন।’
ইডব্লিউজির লিখিত বিবরণীতে বলা হয়, নির্বাচন ছিল অনেকাংশে শান্তিপূর্ণ। সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু বিপুলসংখ্যক ভোট জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। ভোট গ্রহণ শুরুর সময় ৫৩ শতাংশ ভোটকেন্দ্রে ১ থেকে ২০ জন এবং ৩ শতাংশ ভোটকেন্দ্রে ৪০ জনের বেশি ভোটারের লাইন ছিল।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়েছে, কোনো কোনো কেন্দ্র থেকে পর্যবেক্ষণ সংস্থার পর্যবেক্ষকদেরও বেশ কিছু সময়ের জন্য কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। ১৪ শতাংশ কেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্টদের গণনা প্রক্রিয়া নিয়ে প্রতিবাদ বা আপত্তি করতে দেখা গেছে। ভোট গণনার পর ১৪ শতাংশ কেন্দ্রে নিয়ম অনুযায়ী ফলাফল টাঙিয়ে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া ইডব্লিউজির একজন পর্যবেক্ষককে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং আটজন পর্যবেক্ষককে গণনাকক্ষে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
ইডব্লিউজির স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জের এ নির্বাচন খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বড় কলঙ্ক হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ধরনের প্রবণতা দূর করতে হবে।
আলীরটেক এলাকার একটি কেন্দ্রে ৫০ থেকে ৬০ জন লোক ঢুকে দুই ঘণ্টা ধরে ব্যালট বাক্সে সিল মারা ব্যালট পেপার ঢুকিয়ে দেয়। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডেও বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে একইভাবে কিছু লোক ঢোকে। হুমকি দেওয়া হয় প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে। তিনি চুপ করে বসে থাকেন।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপনির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পড়া প্রাথমিক বিবৃতি প্রতিবেদনে এভাবেই নির্বাচন চলাকালে দেখা কয়েকটি ভোটকেন্দ্রের বর্ণনা দেয় ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি)। ইডব্লিউজি নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে ১৪১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬০টি কেন্দ্রে ৬০ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। নির্বাচনে ৬০টি কেন্দ্র পরিদর্শনের পরে ইডব্লিউজি জানায়, ৬০টির মধ্যে ৩০ শতাংশ কেন্দ্রে জালভোট পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রাথমিক বিবৃতি প্রতিবেদন পড়ে শোনান নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার পরিচালক আবদুল আলীম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘একদল লোক’, ‘কিছু লোক’, অবৈধভাবে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন ও জালভোট দেন। কিন্তু তাঁরা কারা, কোন দলের, তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।
এসব লোকের পরিচয় জানতে চাইলে আবদুল আলীম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রাথমিক বিবৃতিতে এসব বিষয় আনা হয় না। বিস্তারিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হবে।’
পরে আবদুল আলীম একটু হেসে বলেন, ‘এ ছাড়া আমার মনে হয় এটা আপনারা বুঝতে পারছেন।’
ইডব্লিউজির লিখিত বিবরণীতে বলা হয়, নির্বাচন ছিল অনেকাংশে শান্তিপূর্ণ। সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু বিপুলসংখ্যক ভোট জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। ভোট গ্রহণ শুরুর সময় ৫৩ শতাংশ ভোটকেন্দ্রে ১ থেকে ২০ জন এবং ৩ শতাংশ ভোটকেন্দ্রে ৪০ জনের বেশি ভোটারের লাইন ছিল।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়েছে, কোনো কোনো কেন্দ্র থেকে পর্যবেক্ষণ সংস্থার পর্যবেক্ষকদেরও বেশ কিছু সময়ের জন্য কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। ১৪ শতাংশ কেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্টদের গণনা প্রক্রিয়া নিয়ে প্রতিবাদ বা আপত্তি করতে দেখা গেছে। ভোট গণনার পর ১৪ শতাংশ কেন্দ্রে নিয়ম অনুযায়ী ফলাফল টাঙিয়ে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া ইডব্লিউজির একজন পর্যবেক্ষককে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং আটজন পর্যবেক্ষককে গণনাকক্ষে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
ইডব্লিউজির স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জের এ নির্বাচন খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বড় কলঙ্ক হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ধরনের প্রবণতা দূর করতে হবে।
No comments