সাদ্দামকে ফাঁসি দেওয়া সেই বিচারক জঙ্গিদের হাতে নিহত!
ইরাকের সাবেক শাসক সাদ্দাম হোসেনকে ২০০৬ সালে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া বিচারক রউফ আবদুল রহমান জঙ্গিদের হাতে নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ডেইলি মেইল। গত সপ্তাহে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএস ৬৯ বছর বয়সী এই বিচারককে আটকের পর হত্যা করে।
তবে ইরাক সরকার জঙ্গিদের হাতে বিচারক রউফ আবদুল রহমানের হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। আবার তাঁকে জঙ্গিদের জিম্মায় নেওয়ার বিষয়টিও কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেনি। ১৬ জুন বিচারক রউফকে আইএসআইএসের জঙ্গিরা আটক করে এবং এর দুই দিন পর তাঁকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জর্ডানের পার্লামেন্ট সদস্য খলিল আতেহ তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, সাদ্দাম হোসেনের বিচারের সময় ইরাকের সর্বোচ্চ অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক রউফ আবদুল রহমানকে আটকের পর ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। ইরাকের বিদ্রোহীরা তাঁকে আটক করেছে এবং সাদ্দামকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়ার অপরাধে তাঁকেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিচারক রউফ নৃত্যশিল্পীর পোশাক পরে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন এবং বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়েন।
সুন্নি জঙ্গিদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব সাদ্দাম হোসেনের সাবেক ডেপুটি ইজ্জাত ইব্রাহিম আল-দৌরির ফেসবুক পেজেও বলা হয়েছে, বিদ্রোহীরা বিচারক রউফ আবদুল রহমানকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
বিচারক রউফের জন্ম কুর্দি-অধ্যুষিত হালাবজা শহরে। সাদ্দাম হোসেনের বিচারকাজ চলার মাঝপথে ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে তিনি এর সঙ্গে যুক্ত হন। তিন সন্তানের জনক বিচারক রউফ ১৯৬৩ সালে বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি কুর্দিস্তান আপিল আদালতের প্রধান বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান।
১৯৮২ সালে দুজেইল শহরে ১৪৮ জন হত্যাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসির আদেশ দেন বিচারক রউফ। ১৯৮৮ সালে এই বিচারকের জন্ম শহরে বিষাক্ত গ্যাসের হামলায় অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ নিহত হন। তাঁদের মধ্যে এই বিচারকের অনেক স্বজনও ছিলেন। আশির দশকে তিনি নিজেও সাদ্দাম হোসেনের নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে আটক ও নির্যাতিত হন।
তবে ইরাক সরকার জঙ্গিদের হাতে বিচারক রউফ আবদুল রহমানের হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। আবার তাঁকে জঙ্গিদের জিম্মায় নেওয়ার বিষয়টিও কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেনি। ১৬ জুন বিচারক রউফকে আইএসআইএসের জঙ্গিরা আটক করে এবং এর দুই দিন পর তাঁকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জর্ডানের পার্লামেন্ট সদস্য খলিল আতেহ তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, সাদ্দাম হোসেনের বিচারের সময় ইরাকের সর্বোচ্চ অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক রউফ আবদুল রহমানকে আটকের পর ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। ইরাকের বিদ্রোহীরা তাঁকে আটক করেছে এবং সাদ্দামকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়ার অপরাধে তাঁকেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিচারক রউফ নৃত্যশিল্পীর পোশাক পরে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন এবং বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়েন।
সুন্নি জঙ্গিদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব সাদ্দাম হোসেনের সাবেক ডেপুটি ইজ্জাত ইব্রাহিম আল-দৌরির ফেসবুক পেজেও বলা হয়েছে, বিদ্রোহীরা বিচারক রউফ আবদুল রহমানকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
বিচারক রউফের জন্ম কুর্দি-অধ্যুষিত হালাবজা শহরে। সাদ্দাম হোসেনের বিচারকাজ চলার মাঝপথে ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে তিনি এর সঙ্গে যুক্ত হন। তিন সন্তানের জনক বিচারক রউফ ১৯৬৩ সালে বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি কুর্দিস্তান আপিল আদালতের প্রধান বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান।
১৯৮২ সালে দুজেইল শহরে ১৪৮ জন হত্যাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসির আদেশ দেন বিচারক রউফ। ১৯৮৮ সালে এই বিচারকের জন্ম শহরে বিষাক্ত গ্যাসের হামলায় অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ নিহত হন। তাঁদের মধ্যে এই বিচারকের অনেক স্বজনও ছিলেন। আশির দশকে তিনি নিজেও সাদ্দাম হোসেনের নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে আটক ও নির্যাতিত হন।
No comments