সুস্বাদু সেক্সুয়াল ব্রাজিলীয় কনডম
আপনার জন্য একটি সাম্বা জার্সি কেনা যদি
ব্যয়বহুল মনে হয়, তাহলেও আপনি আপনার প্রিয় দল ব্রাজিলের প্রতি সংহতি প্রকাশ
করতে পারেন। কিভাবে? আপনার গায়ের জামাকাপড় খুলে ফেলুন। নিজকে প্রস্তুত
করুন। আর ফিফা অনুমোদিত একটি অফিসিয়াল কনডম পরিধান করুন। লজ্জা নিবারণ হবে।
আবার একইসঙ্গে আপনি ব্রাজিলের মস্ত বড় ফ্যান হিসেবেও নিজকে জাহির করতে
পারবেন।
এর কারণ হলো ফিফা’র অফিসিয়াল কনডমের রঙ সবুজ ও হলুদে মেশানো। অর্থাৎ ব্রাজিলের পতাকা! সুতরাং ফিফা’র কনডমে দেখুন সাম্বা পতাকার বাহার। এতে জিভ ছোঁয়ালে ব্রাজিলীয় জনপ্রিয় পানীয় ক্যাপরিনেহো ককটেলের স্বাদ পাওয়া যাবে। সে কারণে এবারের ফিফা কনডমের প্যাকেটে লাইম, সুগার ও ব্রাজিলিয় মদ কাচ্চার ছবি মুদ্রিত হয়েছে। ক্যারেক্স হলো বিশ্বের বৃহত্তম কনডম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। গত ১৮ই জুন ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবিষয়ে এক বিস্তারিত প্রতিবেদন ছেপেছে। হুইলেং তান লিখেছেন, ফিফা’র হট কনডম ধুমসে বিক্রি হচ্ছে। ওয়াশিংটন ভিত্তিক অমুনাফাভোগী সংস্থা ডিকেটি ইন্টারন্যাশনাল এটা আমদানি করছে। ব্রান্ড নাম প্রুডেন্স। এই বিশেষ সংস্করণ কেবল ব্রাজিলেই কেনা যাচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম বাজারজাত শুরু হয়। তিনটি করে একটি প্যাকেট। ২১ লাখ কনডম বাজারে ছেড়েছে ডিকেডি। খুচরা মূল্য ১ দশমিক ৩৯ ডলার। সব কনডমই যে ব্যবহার করা হবে সেটা কিন্তু ফিফা’র উদ্দেশ্য নয়। এটা যাতে ফুটবলপ্রেমীরা স্যুভেনির হিসেবে সংরক্ষণ করেন সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জাতিসংঘও। ডিকেটি তাই একক বিক্রেতা নয়। এইচআইভি সচেতনতা বাড়াতে ইউএনএইডস ‘প্রটেকট দ্য গোল’ নামে এক কর্মসূচির আওতায় ব্রাজিলের বিশ্বকাপকে কাজে লাগাচ্ছে। চারদিকে যখন গোল গোল রব উঠেছে তখন তারাও কনডমের মধ্যে ‘গোল’ ঠিক করেছে। ২০ লাখ কনডম বাজারে ছেড়েছে তারাও। ডিকেটির মুখপাত্র মি. মারুন বলেছেন, আমরা প্রথম ১৫ দিনে ৮ লাখ ৬৪ হাজার ইউনিট কনডম বিক্রি করতে পেরেছিলাম। তিনি তথ্য দেন, যে কোন সাধারণ বছরে ব্রাজিলে ১০০ কোটি কনডম ব্যবহার হয়। চলতি সপ্তাহে ডিকেটি আরও সাড়ে ৮ লাখ ফিফা কনডম বাজারে ছেড়েছে ডিকেটি। প্রতিটি কনডমের ওজন প্রায় ২ গ্রাম। একটি মালয়েশীয় ভিত্তিক কোম্পানি ব্রাজিলে কনডম সরবরাহ করে। এর মূল প্রতিষ্ঠান ক্যারক্সে। গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রি অ্যানালিস্ট বলেছে, ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্ব কনডমের চাহিদা ৪৪ শত কোটিতে পৌঁছবে।
No comments