এ দেশের মানুষের দাম নাই, আছে দলের
আ.লীগের কর্মীদের ‘সাবধানে’ থাকার পরামর্শ
সম্প্রতি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। দলটির নেতারা বলেছেন, ‘চলাফেরায় কর্মীরা সাবধান, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। কেউ যেন হামলা করতে না পারে।’ এ ব্যাপারে পাঠক কুদ্দুস লিখেছেন: নিজেরাই নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারল না!! তাহলে দেশের সাধারণ মানুষ কী অবস্থায় আছে..!! আব্দুস সাত্তার: দলটির নেতারা বলেছেন, ‘চলাফেরায় কর্মীরা সাবধান, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। কেউ যেন হামলা করতে না পারে।’ তাঁহারা সবাই দল বাঁধিয়া চলাফেরা করিবেন। আর আমরা আমজনতা বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে কি দ্বার রুদ্ধ করিয়া শীত নিদ্রায় যাইব? আনিসুর: তারা তারাই তো মারামারি করে কূল করতে পারে না। বাইরের লোকদের আবার মারামারি করার দরকার কি? এন আহমেদ: সাধারণ মানুষ রাত-দিন গুম আর খুন হচ্ছে, তাতে আওয়ামী লীগ সরকার সাধারণ মানুষকে ‘সাবধানে’ থাকার পরামর্শ দিচ্ছে না, কেবল আওয়ামী লীগের কর্মীদের ‘সাবধানে’ থাকার পরামর্শ দিয়েছে। এ হচ্ছে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা! মাহমুদ হাসান: বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি কত যে ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে, তা খবরের কাগজ পড়েই বোঝা যায়। এর কি শেষ নেই? আর কত?
জনগণ ৫ জানুয়ারির নির্বাচন মেনে নিয়েছে
যুক্তরাষ্ট্র সফররত রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাংলাদেশের জনগণ ৫ জানুয়ারির নির্বাচন মেনে নিয়েছে বলে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনকে আশ্বস্ত করেছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁকে বলেছেন, জনগণ নির্বাচনের ফল মেনে নেওয়ায় দেশে এখন স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এর সমালোচনা করে পাঠক মো. ইমরান হোসেইন লিখেছেন: উনি কখনোই আমাদের রাষ্ট্রপতি না, উনি শুধু আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি। শাহ সামাদ: ৫ জানুয়ারির আগে বলেছিলেন আপনার হাত-পা বাঁধা, কিছু করার নেই। কিন্তু এখন খুব সুন্দরভাবে সেই সরকারের পক্ষে ওকালতি করছেন। হায়রে আমাদের বিবেক! সাদাত: জনগণ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়েছে, নাকি মানতে বাধ্য করা হচ্ছে? কোন কথা সত্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি? আপনি নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন। তামিম ইব্রাহিম: জনগণ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়েছে! কী প্রমাণ আছে? আর জনগণ নির্বাচন মেনে নেয়নি—এটারও বা কী প্রমাণ আছে। মেনে নেওয়া বা বর্জন করা, এটা কোন মানদণ্ডে নির্ণয় হবে? কে বিচার করবে? রতন: নির্বাচন নিয়ে যেভাবে মানুষ, গরু পুড়িয়েছে, গাছ কেটেছে, বাঁশ কেটেছে। আর এ রকম অবস্থা ৫০ বছরেও দেখতে চাই না। এ রকমটা দেখার জন্য আমাদের আর কাছাকাছি নির্বাচনেরও দরকার নেই। সত্যি, আমরা সব মেনে নিয়েছি। পাওয়ারে থাকাকালে কে কতটা করেছে, তা আমরা জানি। আর এখন নির্বাচন নিয়ে ভাবতে চাই না। সামনে এগোতে চাই।
এখানে সোনা, ওখানে লাশ, শাবাশ! শাবাশ!
নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে হত্যার পর চোরাপথে মালয়েশিয়া যেতে গিয়ে বঙ্গোপসাগরে পাঁচজনের মৃত্যু কিংবা মিরপুরে বিহারিপল্লিতে ১০ জনের পুড়ে ছাই হওয়ার ঘটনা যেন আমাদের গা–সওয়া। এই কলামের ব্যাপারে পাঠক মো. হাসানুজ্জামানের মন্তব্য: লেখাটা পড়ে মনটা আবেগাক্রান্ত হলো। আমাদের সবই আছে কিন্তু সেই সবকে ব্যবহার করার মতো উপযুক্ত কেউ নেই। নিজেরাও বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে স্বার্থপর হয়ে গেছি। যেভাবে চলছে চলুক-টাইপের চিন্তা-ভাবনার মধ্যে বেঁচে আছি। জানি না আমাদের ভবিষ্যৎ কী!! তবে জাতি হিসেবে আমাদের অবশ্যই আরও একতাবদ্ধ হতেই হবে। আর এটা ছাড়া পরিত্রাণের পথও নেই। মো. এ মাজেদ: কে বলে কোনো দেশপ্রেমিক নেই? ওই গডফাদাররা দেশকে বেশি ভালোবাসে কিন্তু দেশের জনগণকে নয়। এ দেশ আছে বলেই তো ওদের এত দাপট। আব্দুল্লাহ আল-মামুন: মানুষের মধ্যে শঙ্কা বিরাজ করছে, খুন আর গুম অহরহ বেড়েই চলছে। এখন যা ঘটছে, তা নিজেদের টিকে রাখার চেষ্টা চলছে। মানুষ মুখ বুঝে সব সয়ে যাচ্ছে। যখনই সুযোগ আসছে, সমষ্টিগতভাবে সবাই সোচ্চার হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ একটি ভাষা মাত্র। সফিকুল ইসলাম সুমন: এই লেখা এবং যাদের নজরে পড়লে বিন্দুমাত্রও কাজ হবে, সে রকম বিবেচনাবোধসম্পন্ন লোকের যে আমাদের দেশে বড় অভাব। আফসোস! এমন একটা দেশে আমাদের জন্ম, যে দেশে সত্যিকারের কোনো দেশপ্রেমিক নেই! যে দেশ বিতর্কিত লোকদের দায়িত্ব নেয়, সেই দেশের গরিবদের ভাগ্যে এর চেয়ে ভালো আর কী থাকতে পারে।
একজন ব্যর্থ মানুষের গল্প
বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে কাছের মানুষ ড. কামাল হোসেন। তাঁকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নানা মন্তব্য নিয়ে লেখা এই কলামের ব্যাপারে পাঠক তামিম ইব্রাহিম লিখেছেন : ড. কামাল ব্যর্থ রাজনীতিক নন! আমরাই ব্যর্থ ভোটার! জাহিদুল: তাঁর মতো ব্যর্থ মানুষের আজ আমাদের বড় প্রয়োজন। পরম করুণাময়ের কাছে প্রার্থনা করি, ড. কামাল হোসেনের মতো আরও অনেক ব্যর্থ মানুষ যেন এ দেশে জন্মগ্রহণ করেন। মুহিব হাসান: এ দেশে রাজনীতিবিদেরা ছাড়া আর কেউ সফল না। মনসুর-উল-হাসান : কামাল হোসেন এক অর্থে অবশ্য ব্যর্থ! তবে তিনি ব্যর্থ মানুষ নন, ব্যর্থ রাজনীতিবিদ। সন্ত্রাস, মিথ্যাচার, দুর্নীতি, চাটুকারিতা, অশ্লীলতা আর একচ্ছত্রবাদের যে রাজনীতি চলছে দেশে, তাতে তাঁর সফল হওয়ার কোনো কারণ নেই। এসবের সঙ্গে তাল মেলাতে পারবেন না বলে তিনি বহু আগে স্বেচ্ছায় আওয়ামী লীগ ছেড়ে চলে গেছেন। মো. গোলাম মামুন চৌধুরী: উনি আওয়ামী লীগ করেন না বলে সম্মান দিচ্ছেন, কাল উনি আওয়ামী লীগের নমিনেশন নিয়ে নির্বাচন করুন আবার সেই একই সুরেই সম্মান করা হবে। এ দেশের মানুষের দাম নাই। আছে দলের দাম।
ইরাকে এমন নৃশংসতা!
আল-কায়দা-সমর্থিত সুন্নিপন্থী জঙ্গি সংগঠন ্আইএসআইএলের সদস্যরা মরুভূমির একটি অগভীর পরিখায় নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে হত্যা করছে। এ ব্যাপারে পাঠক জে কামাল লিখেছেন: এই নৃশংসতার জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারা। রবি: তাহলে মালিকিরা কি পুতুল নয়? আজীবন ইরান-আমেরিকা শত্রু ছিল। এখন কিন্তু মিত্র! ওয়ালিউল্লাহ: এরা কোন ধরনের জিহাদি যে একজন মুসলমান হয়ে আরেকজন মুসলমানকে মারে! শুভ্র আহমেদ: কেবল মুসলমান কেন, কোনো মানুষকেই কোনো মানুষ হত্যা করবে, তাও আবার ধর্মের নামে, সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। আদিমতারও একটা সীমারেখা আছে। আশিক নূর: আধুনিক সভ্যতার আদি উৎপত্তি এই ইরাক-মেসোপটেমীয় অঞ্চল থেকে। সেই একই স্থানে এখন বিরাজ করছে অসভ্য, বর্বর, রক্তপিপাসু মানুষের তাণ্ডব। সময় এভাবেই মানুষকে শিক্ষা দেয়। আমরা তা স্বীকারও করতে চাই না। মিতুল চন্দ্র দাশ: সব দোষ আমেরিকা আর ইহুদিদের দিলে হয় না। দোষ কিছু আরবদেরও আছে। আমেরিকানরা চতুর, সেটা যেমন তাদের গুণ, তেমনি আরবদের বোকামিও একধরনের দোষ।
সম্প্রতি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। দলটির নেতারা বলেছেন, ‘চলাফেরায় কর্মীরা সাবধান, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। কেউ যেন হামলা করতে না পারে।’ এ ব্যাপারে পাঠক কুদ্দুস লিখেছেন: নিজেরাই নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারল না!! তাহলে দেশের সাধারণ মানুষ কী অবস্থায় আছে..!! আব্দুস সাত্তার: দলটির নেতারা বলেছেন, ‘চলাফেরায় কর্মীরা সাবধান, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। কেউ যেন হামলা করতে না পারে।’ তাঁহারা সবাই দল বাঁধিয়া চলাফেরা করিবেন। আর আমরা আমজনতা বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে কি দ্বার রুদ্ধ করিয়া শীত নিদ্রায় যাইব? আনিসুর: তারা তারাই তো মারামারি করে কূল করতে পারে না। বাইরের লোকদের আবার মারামারি করার দরকার কি? এন আহমেদ: সাধারণ মানুষ রাত-দিন গুম আর খুন হচ্ছে, তাতে আওয়ামী লীগ সরকার সাধারণ মানুষকে ‘সাবধানে’ থাকার পরামর্শ দিচ্ছে না, কেবল আওয়ামী লীগের কর্মীদের ‘সাবধানে’ থাকার পরামর্শ দিয়েছে। এ হচ্ছে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা! মাহমুদ হাসান: বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি কত যে ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে, তা খবরের কাগজ পড়েই বোঝা যায়। এর কি শেষ নেই? আর কত?
জনগণ ৫ জানুয়ারির নির্বাচন মেনে নিয়েছে
যুক্তরাষ্ট্র সফররত রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাংলাদেশের জনগণ ৫ জানুয়ারির নির্বাচন মেনে নিয়েছে বলে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনকে আশ্বস্ত করেছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁকে বলেছেন, জনগণ নির্বাচনের ফল মেনে নেওয়ায় দেশে এখন স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এর সমালোচনা করে পাঠক মো. ইমরান হোসেইন লিখেছেন: উনি কখনোই আমাদের রাষ্ট্রপতি না, উনি শুধু আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি। শাহ সামাদ: ৫ জানুয়ারির আগে বলেছিলেন আপনার হাত-পা বাঁধা, কিছু করার নেই। কিন্তু এখন খুব সুন্দরভাবে সেই সরকারের পক্ষে ওকালতি করছেন। হায়রে আমাদের বিবেক! সাদাত: জনগণ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়েছে, নাকি মানতে বাধ্য করা হচ্ছে? কোন কথা সত্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি? আপনি নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন। তামিম ইব্রাহিম: জনগণ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়েছে! কী প্রমাণ আছে? আর জনগণ নির্বাচন মেনে নেয়নি—এটারও বা কী প্রমাণ আছে। মেনে নেওয়া বা বর্জন করা, এটা কোন মানদণ্ডে নির্ণয় হবে? কে বিচার করবে? রতন: নির্বাচন নিয়ে যেভাবে মানুষ, গরু পুড়িয়েছে, গাছ কেটেছে, বাঁশ কেটেছে। আর এ রকম অবস্থা ৫০ বছরেও দেখতে চাই না। এ রকমটা দেখার জন্য আমাদের আর কাছাকাছি নির্বাচনেরও দরকার নেই। সত্যি, আমরা সব মেনে নিয়েছি। পাওয়ারে থাকাকালে কে কতটা করেছে, তা আমরা জানি। আর এখন নির্বাচন নিয়ে ভাবতে চাই না। সামনে এগোতে চাই।
এখানে সোনা, ওখানে লাশ, শাবাশ! শাবাশ!
নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে হত্যার পর চোরাপথে মালয়েশিয়া যেতে গিয়ে বঙ্গোপসাগরে পাঁচজনের মৃত্যু কিংবা মিরপুরে বিহারিপল্লিতে ১০ জনের পুড়ে ছাই হওয়ার ঘটনা যেন আমাদের গা–সওয়া। এই কলামের ব্যাপারে পাঠক মো. হাসানুজ্জামানের মন্তব্য: লেখাটা পড়ে মনটা আবেগাক্রান্ত হলো। আমাদের সবই আছে কিন্তু সেই সবকে ব্যবহার করার মতো উপযুক্ত কেউ নেই। নিজেরাও বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে স্বার্থপর হয়ে গেছি। যেভাবে চলছে চলুক-টাইপের চিন্তা-ভাবনার মধ্যে বেঁচে আছি। জানি না আমাদের ভবিষ্যৎ কী!! তবে জাতি হিসেবে আমাদের অবশ্যই আরও একতাবদ্ধ হতেই হবে। আর এটা ছাড়া পরিত্রাণের পথও নেই। মো. এ মাজেদ: কে বলে কোনো দেশপ্রেমিক নেই? ওই গডফাদাররা দেশকে বেশি ভালোবাসে কিন্তু দেশের জনগণকে নয়। এ দেশ আছে বলেই তো ওদের এত দাপট। আব্দুল্লাহ আল-মামুন: মানুষের মধ্যে শঙ্কা বিরাজ করছে, খুন আর গুম অহরহ বেড়েই চলছে। এখন যা ঘটছে, তা নিজেদের টিকে রাখার চেষ্টা চলছে। মানুষ মুখ বুঝে সব সয়ে যাচ্ছে। যখনই সুযোগ আসছে, সমষ্টিগতভাবে সবাই সোচ্চার হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ একটি ভাষা মাত্র। সফিকুল ইসলাম সুমন: এই লেখা এবং যাদের নজরে পড়লে বিন্দুমাত্রও কাজ হবে, সে রকম বিবেচনাবোধসম্পন্ন লোকের যে আমাদের দেশে বড় অভাব। আফসোস! এমন একটা দেশে আমাদের জন্ম, যে দেশে সত্যিকারের কোনো দেশপ্রেমিক নেই! যে দেশ বিতর্কিত লোকদের দায়িত্ব নেয়, সেই দেশের গরিবদের ভাগ্যে এর চেয়ে ভালো আর কী থাকতে পারে।
একজন ব্যর্থ মানুষের গল্প
বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে কাছের মানুষ ড. কামাল হোসেন। তাঁকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নানা মন্তব্য নিয়ে লেখা এই কলামের ব্যাপারে পাঠক তামিম ইব্রাহিম লিখেছেন : ড. কামাল ব্যর্থ রাজনীতিক নন! আমরাই ব্যর্থ ভোটার! জাহিদুল: তাঁর মতো ব্যর্থ মানুষের আজ আমাদের বড় প্রয়োজন। পরম করুণাময়ের কাছে প্রার্থনা করি, ড. কামাল হোসেনের মতো আরও অনেক ব্যর্থ মানুষ যেন এ দেশে জন্মগ্রহণ করেন। মুহিব হাসান: এ দেশে রাজনীতিবিদেরা ছাড়া আর কেউ সফল না। মনসুর-উল-হাসান : কামাল হোসেন এক অর্থে অবশ্য ব্যর্থ! তবে তিনি ব্যর্থ মানুষ নন, ব্যর্থ রাজনীতিবিদ। সন্ত্রাস, মিথ্যাচার, দুর্নীতি, চাটুকারিতা, অশ্লীলতা আর একচ্ছত্রবাদের যে রাজনীতি চলছে দেশে, তাতে তাঁর সফল হওয়ার কোনো কারণ নেই। এসবের সঙ্গে তাল মেলাতে পারবেন না বলে তিনি বহু আগে স্বেচ্ছায় আওয়ামী লীগ ছেড়ে চলে গেছেন। মো. গোলাম মামুন চৌধুরী: উনি আওয়ামী লীগ করেন না বলে সম্মান দিচ্ছেন, কাল উনি আওয়ামী লীগের নমিনেশন নিয়ে নির্বাচন করুন আবার সেই একই সুরেই সম্মান করা হবে। এ দেশের মানুষের দাম নাই। আছে দলের দাম।
ইরাকে এমন নৃশংসতা!
আল-কায়দা-সমর্থিত সুন্নিপন্থী জঙ্গি সংগঠন ্আইএসআইএলের সদস্যরা মরুভূমির একটি অগভীর পরিখায় নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে হত্যা করছে। এ ব্যাপারে পাঠক জে কামাল লিখেছেন: এই নৃশংসতার জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারা। রবি: তাহলে মালিকিরা কি পুতুল নয়? আজীবন ইরান-আমেরিকা শত্রু ছিল। এখন কিন্তু মিত্র! ওয়ালিউল্লাহ: এরা কোন ধরনের জিহাদি যে একজন মুসলমান হয়ে আরেকজন মুসলমানকে মারে! শুভ্র আহমেদ: কেবল মুসলমান কেন, কোনো মানুষকেই কোনো মানুষ হত্যা করবে, তাও আবার ধর্মের নামে, সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। আদিমতারও একটা সীমারেখা আছে। আশিক নূর: আধুনিক সভ্যতার আদি উৎপত্তি এই ইরাক-মেসোপটেমীয় অঞ্চল থেকে। সেই একই স্থানে এখন বিরাজ করছে অসভ্য, বর্বর, রক্তপিপাসু মানুষের তাণ্ডব। সময় এভাবেই মানুষকে শিক্ষা দেয়। আমরা তা স্বীকারও করতে চাই না। মিতুল চন্দ্র দাশ: সব দোষ আমেরিকা আর ইহুদিদের দিলে হয় না। দোষ কিছু আরবদেরও আছে। আমেরিকানরা চতুর, সেটা যেমন তাদের গুণ, তেমনি আরবদের বোকামিও একধরনের দোষ।
No comments