প্রথম আলো’র বিরুদ্ধে অভিযোগ- রায় কাল
দৈনিক প্রথম আলো’র বিরুদ্ধে আদালত
অবমাননার অভিযোগের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আগামীকাল এ ব্যাপারে রায় ঘোষণা
করবে হাইকোর্ট। বিচারপতি নাঈমা হায়দার এবং বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট
বেঞ্চ রায়ের এ দিন ধার্য করেন। গতকাল হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে প্রথম আলো’র
সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, আমরা সব সময় বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে।
বিচার
বিভাগের মর্যাদা হানি হয় এমন কোন কাজ আমরা করি না। প্রথম আলো’র পক্ষের
আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, গত এক শ’ বছরের মধ্যে এখন একটি অদভুত
পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যখন দেশে কোন আদালত অবমাননা আইন নেই। সংবিধানের ৩৫
অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইনের বাইরে গিয়ে কাউকে কোন ধরনের সাজা দেয়া যাবে না।
প্রথম আলো’র যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান বলেন, এই আদালতকে হেয় করার
জন্য আমি কিছু লিখিনি। আমি সবসময় এ প্রতিষ্ঠানের সংস্কার চেয়েছি। এ
নিবন্ধের কোন অংশে আদালতকে যদি আহত করার মতো কোন বিষয় থাকে তাহলে আমি ক্ষমা
চাই। অভিযোগের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, প্রথম
আলো সম্পাদক আদালতে এসে যা বলে গেছেন এরপর এ নিয়ে আর এগুনো ঠিক হবে না।
আমাদের এ নিয়ে কোন বক্তব্য নেই। আদালত তার বিবেচনায় রায় দেবেন। তবে
সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালার ব্যাপারে আদালত একটি গাইড লাইন দেবেন বলে আমরা
আশা করি। শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার রায়ের দিন ঠিক করেন।
আগাম জামিন নিয়ে প্রকাশিত একটি নিবন্ধের জন্য ২রা ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং মিজানুর রহমান খানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা রুল জারি করা হয়। একই সঙ্গে মিজানুর রহমান খানকে তলবও করা হয়। ২৮শে ফেব্রুয়ারি প্রথম আলো’তে ‘মিনিটে একটি আগাম জামিন কিভাবে’? শিরোনামে প্রকাশিত নিবন্ধের জন্য এ রুল জারি করা হয়। এ অভিযোগের শুনানিতে অংশ নিয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদের দেয়া একটি বক্তব্যের প্রতিবাদ এবং তা প্রকাশকে কেন্দ্র করে দৈনিক সমকাল সম্পাদক, প্রকাশক, দৈনিক নয়া দিগন্ত সম্পাদক, প্রকাশক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি, সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি, সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি, সম্পাদক এবং বরিশাল বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধেও আদালত অবমাননার রুল জারি করে হাইকোর্ট। সাংবাদিক সমিতির নেতাদের তলবও করা হয়। আজ তাদের হাইকোর্টে হাজির হওয়ার দিন ধার্য রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে সোমবার বিবৃতি দেন ১৬ সম্পাদক। গতকাল সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে সিনিয়র আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনে প্রচারিত নিউজ অ্যান্ড ভিউজ টক শো’তে সিনিয়র সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবিরের দেয়া একটি বক্তব্যের প্রতি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, গোলাম মোর্তজার উপস্থাপনায় এ টক শোতে অন্য আলোচক ছিলেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। এ টক শো’তে আমানুল্লাহ কবির আইনজীবীদের নিয়ে অত্যন্ত আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। আইনজীবীরা ওই অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আদালতের প্রতি আবেদন জানান। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, আমরা বিষয়টি দেখবো। এ সময় অন্য একটি মামলা শোনার জন্য আদালত কিছু সময়ের জন্য বিরতি দেয়া হয়। তখন আইনজীবী ড. শাহদীন মালিকের অনুরোধে মিজানুর রহমান খানকে কাঠগড়ায় একটি চেয়ারে বসতে দেয়া হয়। গতকাল শুনানি চলাকালে পুরোটা সময়ই তিনি বসার সুযোগ পান। শুনানি শুরু হওয়ার আগেই আদালতে উপস্থিত হন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লাহ চৌধুরী-ও এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম আলো’র পক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়ে ড. শাহদীন মালিক বলেন, ২০১৩ সালে নতুন আইনের দ্বারা ১৯২৬ সালের আদালত অবমাননা আইন বাতিল হয়ে গেছে। নতুন আদালত অবমাননা আইনটি হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছে। জেনারেল ক্লজেস অ্যাক্ট অনুযায়ী সংসদ সুস্পষ্টভাবে না বলে দিলে বাতিল হয়ে যাওয়া আইনের পুনরুজ্জীবন হবে না। তিনি বলেন, সংবিধানের ১০৮ অনুচ্ছেদকে বিচ্ছিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে না। এটিকে সংবিধানের অন্যান্য অনুচ্ছেদের সঙ্গে মিলিয়ে পড়তে হবে। শুনানির এক পর্যায়ে আদালত মতিউর রহমানের বক্তব্য জানতে চান। প্রথম আলো সম্পাদককে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেন, আপনাকে হেয় করার কোন উদ্দেশ্যে আমরা আপনাকে আসতে বলিনি। জাস্ট দুই/তিনটি প্রশ্নের উত্তর জানতেই আপনাকে আসতে বলেছি। আদালত বলেন, আর্টিকেলটি কি আপনি পড়েছেন? মতিউর রহমান বলেন, মুদ্রিত হওয়ার আগে এবং পরে আমি তা পড়েছি। আদালত বলেন, আপনি কি আপনার পত্রিকাকে সর্বোচ্চ সার্কুলেটেড পত্রিকা মনে করেন? জবাবে মতিউর রহমান বলেন, হ্যাঁ। তখন হাইকোর্ট বলেন, তা হলে তো আপনাদেরই সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল হওয়ার কথা ছিল। অথচ আপনারা একটি বিশেষ কোর্টকে লক্ষ্য করে এ নিবন্ধ লিখেছেন। মতিউর রহমান বলেন, ১৫ বছর ধরে আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে লিখে যাচ্ছি। আমাদের লেখায় ভুলত্রুটি থাকতে পারে। তবে আদালতকে হেয় করার কোন উদ্দেশ্য আমাদের নেই। বিচার বিভাগকে খাটো করার কোন উদ্দেশ্য আমাদের নেই। তিনি বলেন, আমি নিজেও হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছি। বিচার ব্যবস্থার সঙ্কটের কারণে অনেক ক্ষেত্রে আমরা নিম্ন আদালতে যেতে শঙ্কিত থাকি। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কারও কোন অভিযোগ থাকলে তার প্রেস কাউন্সিলে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। মতিউর রহমানের বক্তব্য শেষে আদালত বলেন, আপনি চাইলে চলে যেতে পারেন অথবা আদালতের কার্যক্রম দেখতে পারেন। পরে ড. শাহদীন মালিক তার অসমাপ্ত বক্তব্য শেষ করেন। আদালতের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সাংবাদিকরা কোথাও সূত্র প্রকাশ করেন না। সূত্র প্রকাশ করতে হলে সাংবাদিকদের পক্ষে আর সাংবাদিকতা করা সম্ভব হবে না। শুনানির এক পর্যায়ে আদালতের অনুমতি নিয়ে মিজানুর রহমান খান বলেন, আমি ১৯৮৯ সাল থেকে আইনি বিষয় নিয়ে লেখালেখি করছি। আইনজীবীরাও আমার কিছু লেখার প্রশংসা করছেন। আবার এ লেখাটি নিয়ে তাদের আপত্তি রয়েছে। ভুল হতেই পারে। তবে আমি সবসময়ই এ প্রতিষ্ঠানের সংস্কার চেয়ে এসেছি। পরে আদালত বৃহস্পতিবার রায়ের দিন ধার্য করেন।
আগাম জামিন নিয়ে প্রকাশিত একটি নিবন্ধের জন্য ২রা ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং মিজানুর রহমান খানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা রুল জারি করা হয়। একই সঙ্গে মিজানুর রহমান খানকে তলবও করা হয়। ২৮শে ফেব্রুয়ারি প্রথম আলো’তে ‘মিনিটে একটি আগাম জামিন কিভাবে’? শিরোনামে প্রকাশিত নিবন্ধের জন্য এ রুল জারি করা হয়। এ অভিযোগের শুনানিতে অংশ নিয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদের দেয়া একটি বক্তব্যের প্রতিবাদ এবং তা প্রকাশকে কেন্দ্র করে দৈনিক সমকাল সম্পাদক, প্রকাশক, দৈনিক নয়া দিগন্ত সম্পাদক, প্রকাশক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি, সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি, সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি, সম্পাদক এবং বরিশাল বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধেও আদালত অবমাননার রুল জারি করে হাইকোর্ট। সাংবাদিক সমিতির নেতাদের তলবও করা হয়। আজ তাদের হাইকোর্টে হাজির হওয়ার দিন ধার্য রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে সোমবার বিবৃতি দেন ১৬ সম্পাদক। গতকাল সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে সিনিয়র আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনে প্রচারিত নিউজ অ্যান্ড ভিউজ টক শো’তে সিনিয়র সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবিরের দেয়া একটি বক্তব্যের প্রতি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, গোলাম মোর্তজার উপস্থাপনায় এ টক শোতে অন্য আলোচক ছিলেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। এ টক শো’তে আমানুল্লাহ কবির আইনজীবীদের নিয়ে অত্যন্ত আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। আইনজীবীরা ওই অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আদালতের প্রতি আবেদন জানান। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, আমরা বিষয়টি দেখবো। এ সময় অন্য একটি মামলা শোনার জন্য আদালত কিছু সময়ের জন্য বিরতি দেয়া হয়। তখন আইনজীবী ড. শাহদীন মালিকের অনুরোধে মিজানুর রহমান খানকে কাঠগড়ায় একটি চেয়ারে বসতে দেয়া হয়। গতকাল শুনানি চলাকালে পুরোটা সময়ই তিনি বসার সুযোগ পান। শুনানি শুরু হওয়ার আগেই আদালতে উপস্থিত হন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লাহ চৌধুরী-ও এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম আলো’র পক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়ে ড. শাহদীন মালিক বলেন, ২০১৩ সালে নতুন আইনের দ্বারা ১৯২৬ সালের আদালত অবমাননা আইন বাতিল হয়ে গেছে। নতুন আদালত অবমাননা আইনটি হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছে। জেনারেল ক্লজেস অ্যাক্ট অনুযায়ী সংসদ সুস্পষ্টভাবে না বলে দিলে বাতিল হয়ে যাওয়া আইনের পুনরুজ্জীবন হবে না। তিনি বলেন, সংবিধানের ১০৮ অনুচ্ছেদকে বিচ্ছিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে না। এটিকে সংবিধানের অন্যান্য অনুচ্ছেদের সঙ্গে মিলিয়ে পড়তে হবে। শুনানির এক পর্যায়ে আদালত মতিউর রহমানের বক্তব্য জানতে চান। প্রথম আলো সম্পাদককে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেন, আপনাকে হেয় করার কোন উদ্দেশ্যে আমরা আপনাকে আসতে বলিনি। জাস্ট দুই/তিনটি প্রশ্নের উত্তর জানতেই আপনাকে আসতে বলেছি। আদালত বলেন, আর্টিকেলটি কি আপনি পড়েছেন? মতিউর রহমান বলেন, মুদ্রিত হওয়ার আগে এবং পরে আমি তা পড়েছি। আদালত বলেন, আপনি কি আপনার পত্রিকাকে সর্বোচ্চ সার্কুলেটেড পত্রিকা মনে করেন? জবাবে মতিউর রহমান বলেন, হ্যাঁ। তখন হাইকোর্ট বলেন, তা হলে তো আপনাদেরই সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল হওয়ার কথা ছিল। অথচ আপনারা একটি বিশেষ কোর্টকে লক্ষ্য করে এ নিবন্ধ লিখেছেন। মতিউর রহমান বলেন, ১৫ বছর ধরে আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে লিখে যাচ্ছি। আমাদের লেখায় ভুলত্রুটি থাকতে পারে। তবে আদালতকে হেয় করার কোন উদ্দেশ্য আমাদের নেই। বিচার বিভাগকে খাটো করার কোন উদ্দেশ্য আমাদের নেই। তিনি বলেন, আমি নিজেও হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছি। বিচার ব্যবস্থার সঙ্কটের কারণে অনেক ক্ষেত্রে আমরা নিম্ন আদালতে যেতে শঙ্কিত থাকি। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কারও কোন অভিযোগ থাকলে তার প্রেস কাউন্সিলে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। মতিউর রহমানের বক্তব্য শেষে আদালত বলেন, আপনি চাইলে চলে যেতে পারেন অথবা আদালতের কার্যক্রম দেখতে পারেন। পরে ড. শাহদীন মালিক তার অসমাপ্ত বক্তব্য শেষ করেন। আদালতের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সাংবাদিকরা কোথাও সূত্র প্রকাশ করেন না। সূত্র প্রকাশ করতে হলে সাংবাদিকদের পক্ষে আর সাংবাদিকতা করা সম্ভব হবে না। শুনানির এক পর্যায়ে আদালতের অনুমতি নিয়ে মিজানুর রহমান খান বলেন, আমি ১৯৮৯ সাল থেকে আইনি বিষয় নিয়ে লেখালেখি করছি। আইনজীবীরাও আমার কিছু লেখার প্রশংসা করছেন। আবার এ লেখাটি নিয়ে তাদের আপত্তি রয়েছে। ভুল হতেই পারে। তবে আমি সবসময়ই এ প্রতিষ্ঠানের সংস্কার চেয়ে এসেছি। পরে আদালত বৃহস্পতিবার রায়ের দিন ধার্য করেন।
No comments