উপজেলা নির্বাচন: চ্যালেঞ্জে বড় দু’দল
উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম সারা দেশ।
মনোনয়ন দাখিল করা প্রার্থীরা চষে বেড়াচ্ছেন ভোটের মাঠে। ভোটযুদ্ধে আছেন
আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের নেতারা।
প্রথম
ধাপের ৯৮টি উপজেলায় ৬৯২ প্রার্থীর মধ্যে ২৫২ জন আওয়ামী লীগের, ২৩৫ জন
বিএনপির ও জামায়াতের ২৬ জন প্রার্থী হয়েছেন। জাতীয় পার্টির বিভক্ত গ্রুপের
নেতারা নির্বাচনে অংশ নিলেও দলীয় সমর্থনের বিষয়ে প্রার্থীরা আছেন
বিভ্রান্তিতে। এদিকে জাতীয় নির্বাচন বর্জন করলেও উপজেলা নির্বাচনে অংশ
নিচ্ছেন বিএনপিসহ প্রধান বিরোধী জোটের প্রার্থীরা। কৌশলে একক প্রার্থী
রাখারও চেষ্টা চলছে। বিরোধী জোট এ নির্বাচনে তাদের প্রার্থীদের বিজয়ী করার
মাধ্যমে নিজেদের জনসমর্থনের বিষয়টি স্পষ্ট করতে চায়। এজন্য ক্ষমতাসীন
আওয়ামী লীগের সামনে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের নয়া চ্যালেঞ্জ। দলীয় প্রার্থীর জয়
নিশ্চিত করতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তৃণমূলে। প্রত্যেক উপজেলায়
দল সমর্থিত একক প্রার্থী ঠিক করতে জেলা নেতাদেরও নির্দেশনা দিয়েছে আওয়ামী
লীগ। দলের নির্দেশ না মেনে কেউ প্রার্থী হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও
বলা হয়েছে। যদিও মনোনয়নপত্র দাখিল করা নেতারা প্রত্যেকে নির্বাচন করার
জন্য মরিয়া। এক্ষেত্রে বেশির ভাগ উপজেলায়ই ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী
থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, বিরোধী জোটের একাধিক প্রার্থী থাকলেও
অনেকে ক্ষেত্রে রাখা হয়েছে কৌশল হিসেবে। নির্বাচন কমিশন কোন প্রার্থীর
প্রার্থিতা বাতিল করলেও যাতে বিকল্প প্রার্থী থাকে সে হিসেবে দল বা জোটের
ইঙ্গিতেই একাধিক নেতা প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও এ
নির্বাচনের ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন। সূত্র জানিয়েছে, প্রার্থী সমর্থন
দেয়ার বিষয়ে কেন্দ্র থেকেই আলোচনা হচ্ছে। কেন্দ্রের নির্দেশনায়ই প্রার্থী
হয়েছেন নেতারা। এক্ষেত্রে কোন উপজেলায় ১৯ দলের একাধিক প্রার্থী থাকলে
সেক্ষেত্রে আলোচনার ভিত্তিতে একক প্রার্থী রাখার চেষ্টা করা হবে। জাতীয়
নির্বাচনে বিরোধী দল অংশ না নিলে উপজেলা নির্বাচন ঘিরে প্রধান দুই জোট ও
দলের জনপ্রিয়তা ভোটের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে বলে মনে করছেন দলগুলোর নেতারা।
আর এটি মাথায় রেখেই তারা উপজেলা নির্বাচনে কাজ করছেন। এদিকে উপজেলা
নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আলাদাভাবে অংশ নিচ্ছে। দলটির পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি
দিয়ে জানানো হয়েছিল, দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি করা হবে। কিছু প্রার্থী তা
কিনেছেনও। তবে দলীয় বিভক্তি থাকায় প্রার্থীরা আছেন বিভ্রান্তিতে। এ কারণে
প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেননি। যদিও স্থানীয় সরকার
নির্বাচন হিসেবে উপজেলায় দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন বিক্রির কোন সুযোগ নেই।
গতকাল পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় বলেন, জাতীয় পার্টি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বনানীর কার্যালয় থেকে আবেদনপত্র বিক্রি করা হয়েছে। তবে সময় স্বল্পতার কারণে অনেকে দলীয় আবেদন ফরম কিনতে পারেননি। যারা দলীয় মনোনয়ন কিনতে পারেননি তাদের বলা হয়েছে, সরকারি মনোনয়ন যথাসময়ে জমা দিতে। পরে সময় বুঝে পছন্দের প্রার্থীকে দলের সমর্থন জানিয়ে দেয়া হবে। মূলত মনোনয়ন বিক্রিতে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়া এবং মনোনয়ন বাণিজ্য করতেই দলটি এ কৌশল নিয়েছে বলে জানা গেছে। সবকটি উপজেলা নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পার্টি। আর তাই দলীয় মনোনয়ন ফরমও বিক্রি করেছে। জাপার নীতিনির্ধারকরা মনে করেছিল দলের চেয়ারম্যানের সাক্ষাতের সুযোগ পাওয়া যাবে এই বিবেচনায় অনেক নেতা উপজেলা নির্বাচনে জাপা দলীয় প্রার্থী হয়ে লড়তে ফরম কিনতে যাবেন। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি। বুধবার প্রথম দিনে ২০টি ফরম বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার শেষ দিনসহ দুদিনে মোট কতটি ফরম বিক্রি হয়েছে তা জানায়নি দলের দায়িত্বশীল কোন মহল। দলীয় মনোনয়ন ও কোন ধরনের সাক্ষাৎকার ছাড়াই সরকারি মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে জাপা সমর্থিত প্রার্থীদের। বৃহস্পতিবার জাপা থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। এতে সময় স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে বলা হয়, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যেসব প্রার্থী জাতীয় পার্টির সমর্থন প্রত্যাশা করেন, তাদের সবাইকে যথাসময়ে রিটার্নিং অফিসারের বরাবরে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার জন্য দলীয়ভাবে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সময়ের স্বল্পতার কারণে ১০২টি উপজেলার সমর্থনপ্রত্যাশী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ সম্ভব হলো না। মনোনয়ন জমা দেয়ার পর জাপার জেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার করে দলীয় সমর্থন ঘোষণা করা হবে। উপজেলা নির্বাচনে জাপার সমর্থনে একক প্রার্থী থাকবেন। দলের সমর্থন ব্যতীত দলীয় কোন প্রার্থীকে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার জন্য মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার নির্দেশ দিয়েছেন। গত ২২ ও ২৩শে জানুয়ারি এরশাদের বনানীর কার্যালয়ে থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হয়েছে। আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর জন্য তিন হাজার এবং ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই হাজার টাকা দিতে বলা হয়েছিল হয়েছিল।
এদিকে এককভাবে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এর মাধ্যমে কাটিয়ে উঠতে চায় রাজনৈতিক বিপর্যয়। সংগঠিত করতে চায় ছন্নছাড়া নেতাকর্মী সমর্থকদের। যুদ্ধাপরাধ, সন্ত্রাসবাদসহ নানা অভিযোগে কোণঠাসা জামায়াতে ইসলামী। উচ্চ আদালতে নিবন্ধন বাতিল ঘোষণার পর রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকির মুখে পড়েছে ১৮ দলের শরিক দলটি। ১২ই জানুয়ারি চরম বৈরী নতুন সরকারের যাত্রা শুরুর পর এই ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ের প্রায় সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা আত্মরক্ষায় ব্যস্ত। এ পর্যায়ে স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্তর উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটির নীতিনির্ধারকরা। বিষয়টি স্বীকার করে ঢাকা মহানগর জামায়াতের সক্রিয় সদস্য আতাউর রহমান সরকার বলেন, যে কোন পর্যায়ের নির্বাচনে তাৎক্ষণিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো প্রস্তুতি আমাদের সব সময় থাকে। নির্বাচন কমিশন দুই দফায় ২১৯টি উপজেলার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থীদের সবুজ সঙ্কেত দেয়া হয়েছে। প্রার্থীরা স্থানীয় পর্যায়ে যার যার অবস্থান বিবেচনা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে কমপক্ষে ২৫টি উপজেলায় একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দলের নেতারা। আরও শতাধিক উপজেলায় জামায়াতের গ্রহণযোগ্য প্রার্থী আছেন বলে আতাউর রহমান দাবি করেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিরোধী আন্দোলনে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হয় জামায়াত। উপজেলা নির্বাচনের মাধ্যমে ওই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে চান তারা। সাম্প্রতিক আন্দোলনের কোন সুফল না পেলেও মাঠপর্যায়ে দলের ভিত্তি মজবুত হয়েছে, কর্মী-সমর্থকের প্রতি সাধারণ মানুষের সহানুভূতি বেড়েছে- এমন ধারণা জামায়াতের। উপজেলা নির্বাচনে এই সহানুভূতি কাজে লাগাতে চান তারা। জামায়াত নেতারা বলেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণের মাঝে সরকার তথা আওয়ামী লীগের অবস্থান পরিষ্কার বোঝা গেছে। দেশের মানুষের এই দৃষ্টিভঙ্গি বজায় থাকলে উপজেলা নির্বাচনে সরকার সমর্থক প্রার্থীদের ভরাডুবি হবে। ২০০৯ সালের নির্বাচনে আড়াই শতাধিক উপজেলায় এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামায়াত। এর মধ্যে ২৫টি উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১০টি উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তারা জয়ী হন। ৫ বছরের পালাবদলের পর জামায়াতের জয়ের পাল্লা আরও ভারি হবে এমন ধারণা তাদের।
গতকাল পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় বলেন, জাতীয় পার্টি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বনানীর কার্যালয় থেকে আবেদনপত্র বিক্রি করা হয়েছে। তবে সময় স্বল্পতার কারণে অনেকে দলীয় আবেদন ফরম কিনতে পারেননি। যারা দলীয় মনোনয়ন কিনতে পারেননি তাদের বলা হয়েছে, সরকারি মনোনয়ন যথাসময়ে জমা দিতে। পরে সময় বুঝে পছন্দের প্রার্থীকে দলের সমর্থন জানিয়ে দেয়া হবে। মূলত মনোনয়ন বিক্রিতে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়া এবং মনোনয়ন বাণিজ্য করতেই দলটি এ কৌশল নিয়েছে বলে জানা গেছে। সবকটি উপজেলা নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পার্টি। আর তাই দলীয় মনোনয়ন ফরমও বিক্রি করেছে। জাপার নীতিনির্ধারকরা মনে করেছিল দলের চেয়ারম্যানের সাক্ষাতের সুযোগ পাওয়া যাবে এই বিবেচনায় অনেক নেতা উপজেলা নির্বাচনে জাপা দলীয় প্রার্থী হয়ে লড়তে ফরম কিনতে যাবেন। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি। বুধবার প্রথম দিনে ২০টি ফরম বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার শেষ দিনসহ দুদিনে মোট কতটি ফরম বিক্রি হয়েছে তা জানায়নি দলের দায়িত্বশীল কোন মহল। দলীয় মনোনয়ন ও কোন ধরনের সাক্ষাৎকার ছাড়াই সরকারি মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে জাপা সমর্থিত প্রার্থীদের। বৃহস্পতিবার জাপা থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। এতে সময় স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে বলা হয়, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যেসব প্রার্থী জাতীয় পার্টির সমর্থন প্রত্যাশা করেন, তাদের সবাইকে যথাসময়ে রিটার্নিং অফিসারের বরাবরে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার জন্য দলীয়ভাবে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সময়ের স্বল্পতার কারণে ১০২টি উপজেলার সমর্থনপ্রত্যাশী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ সম্ভব হলো না। মনোনয়ন জমা দেয়ার পর জাপার জেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার করে দলীয় সমর্থন ঘোষণা করা হবে। উপজেলা নির্বাচনে জাপার সমর্থনে একক প্রার্থী থাকবেন। দলের সমর্থন ব্যতীত দলীয় কোন প্রার্থীকে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার জন্য মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার নির্দেশ দিয়েছেন। গত ২২ ও ২৩শে জানুয়ারি এরশাদের বনানীর কার্যালয়ে থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হয়েছে। আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর জন্য তিন হাজার এবং ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই হাজার টাকা দিতে বলা হয়েছিল হয়েছিল।
এদিকে এককভাবে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এর মাধ্যমে কাটিয়ে উঠতে চায় রাজনৈতিক বিপর্যয়। সংগঠিত করতে চায় ছন্নছাড়া নেতাকর্মী সমর্থকদের। যুদ্ধাপরাধ, সন্ত্রাসবাদসহ নানা অভিযোগে কোণঠাসা জামায়াতে ইসলামী। উচ্চ আদালতে নিবন্ধন বাতিল ঘোষণার পর রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকির মুখে পড়েছে ১৮ দলের শরিক দলটি। ১২ই জানুয়ারি চরম বৈরী নতুন সরকারের যাত্রা শুরুর পর এই ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ের প্রায় সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা আত্মরক্ষায় ব্যস্ত। এ পর্যায়ে স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্তর উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটির নীতিনির্ধারকরা। বিষয়টি স্বীকার করে ঢাকা মহানগর জামায়াতের সক্রিয় সদস্য আতাউর রহমান সরকার বলেন, যে কোন পর্যায়ের নির্বাচনে তাৎক্ষণিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো প্রস্তুতি আমাদের সব সময় থাকে। নির্বাচন কমিশন দুই দফায় ২১৯টি উপজেলার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থীদের সবুজ সঙ্কেত দেয়া হয়েছে। প্রার্থীরা স্থানীয় পর্যায়ে যার যার অবস্থান বিবেচনা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে কমপক্ষে ২৫টি উপজেলায় একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দলের নেতারা। আরও শতাধিক উপজেলায় জামায়াতের গ্রহণযোগ্য প্রার্থী আছেন বলে আতাউর রহমান দাবি করেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিরোধী আন্দোলনে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হয় জামায়াত। উপজেলা নির্বাচনের মাধ্যমে ওই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে চান তারা। সাম্প্রতিক আন্দোলনের কোন সুফল না পেলেও মাঠপর্যায়ে দলের ভিত্তি মজবুত হয়েছে, কর্মী-সমর্থকের প্রতি সাধারণ মানুষের সহানুভূতি বেড়েছে- এমন ধারণা জামায়াতের। উপজেলা নির্বাচনে এই সহানুভূতি কাজে লাগাতে চান তারা। জামায়াত নেতারা বলেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণের মাঝে সরকার তথা আওয়ামী লীগের অবস্থান পরিষ্কার বোঝা গেছে। দেশের মানুষের এই দৃষ্টিভঙ্গি বজায় থাকলে উপজেলা নির্বাচনে সরকার সমর্থক প্রার্থীদের ভরাডুবি হবে। ২০০৯ সালের নির্বাচনে আড়াই শতাধিক উপজেলায় এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামায়াত। এর মধ্যে ২৫টি উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১০টি উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তারা জয়ী হন। ৫ বছরের পালাবদলের পর জামায়াতের জয়ের পাল্লা আরও ভারি হবে এমন ধারণা তাদের।
No comments