বন্দী বিষয়ে আলোচনা হবে
পরস্পরের কাছে থাকা বন্দীদের মুক্তি নিয়ে সরাসরি আলোচনায় বসছে সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহীরা। চলমান জেনেভা ২ শান্তি সম্মেলনে গতকাল রোববারই এ আলোচনা হওয়ার কথা। জাতিসংঘের সিরিয়াবিষয়ক দূত লাখদার ব্রাহিমি গত শনিবার জেনেভায় সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান। সিরিয়ায় রক্তপাত বন্ধের পথ খুঁজতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থতায় শনিবার থেকে দুই পক্ষের সরাসরি আলোচনা শুরু হয়। প্রথম দিন সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সরাসরি কথা হয়নি বলে যে খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা উড়িয়ে দিয়েছেন জাতিসংঘের দূত ব্রাহিমি। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে ব্রাহিমি বলেন, ‘সব বয়সী বন্দী বা অপহূত ব্যক্তিদের মুক্তির বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে। আমাদের প্রত্যাশা, সবাই স্বাধীনতা ফিরে পাবেন।...সিরীয় সরকারের কারাগারে হাজার হাজার বন্দী রয়েছে। আমরা আশা করব, শুরুতে অন্তত নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের মুক্তি দেওয়া হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে ব্রাহিমি স্বীকার করেন, চলমান শান্তি সম্মেলনের গতি বেশ মন্থর। তবে সম্মেলনে দুই পক্ষের সরাসরি আলোচনা হয়নি বলে যে খবর বেরিয়েছে, তা তিনি উড়িয়ে দেন। জাতিসংঘের এ দূত বলেন, ‘আপনারা কীভাবে ভাবেন যে একই কক্ষে বসেও কথা না বলা সম্ভব? কেউ বাঁয়ে, কেউ ডানে। তাঁরা পরস্পরের মুখোমুখি ছিলেন, কথাও বলেছেন।
আমার মাধ্যমে তাঁরা কথা বলেছেন—বিষয়টি এমন নয়। ভদ্রভাবেই তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে।’ ব্রাহিমি সরাসরি আলোচনা শুরুর বিষয়টিকে ‘ভালো শুরু’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা হয়তো তেমন কিছু অর্জন করতে পারিনি, তবে শুরু করেছি।’ দুই পক্ষের মুখোমুখি বৈঠকে সিরিয়া সরকারের প্রতিনিধিদলের প্রধান ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়াল্লেম অংশ নেননি। যোগ দেননি বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিদলের প্রধান আহমেদ জাবরাসহ বেশ কয়েকজন। তবে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি কোনো কথা বলেননি ব্রাহিমি। শনিবারের বৈঠক শেষে লাখদার ব্রাহিমি সংবাদ সম্মেলন করলেও সিরিয়ার সরকার বা বিদ্রোহী পক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা বা বিবৃতি দেয়নি। ওই আলোচনায় অবরুদ্ধ হোমস শহরে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্ব পায় বলে জানা গেছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পদত্যাগের দাবিতে ২০১১ সালে বিক্ষোভ শুরু হয়। ধীরে ধীরে তা গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। এই সংঘাতে এক লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আল-জাজিরা ও বিবিসি।
No comments