কাদের মোল্লার ফাঁসির বিরুদ্ধে পাকিস্তান জাতীয় সংসদের প্রস্তাব এবং আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া by বদরুদ্দীন উমর
কাদের
মোল্লার ফাঁসির বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পাকিস্তানের জাতীয়
সংসদে প্রস্তাব পাস হয়েছে। শুধু তাদের জাতীয় সংসদেই নয়, পাকিস্তানের
শাসকশ্রেণীর মধ্যে এই একই প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। বিরোধী দলের ইমরান খানও
পৃথকভাবে এ প্রস্তাবের সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
তবে পাকিস্তানের জাতীয় সংসদেই আবার এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে। সদস্যদের
মধ্যে অনেকে বলেছেন, কাদের মোল্লা এবং অন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের
ব্যাপারে বাংলাদেশকে নিন্দা করার আমরা কে? সংসদের বাইরে অন্য রাজনীতিবিদ ও
লেখক-সাংবাদিকরাও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন (সমকাল, ১৯.১২.১৩)। এ
ব্যাপারে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের কী প্রতিক্রিয়া সেটা জানার কোনো উপায়
নেই। কিন্তু এ কথা অবশ্যই বলা যায় যে, ‘জেনোসাইড ইন ইস্ট পাকিস্তান’ নামে
কোনো তথ্যচিত্র যদি সেখানকার জনগণকে দেখানো যেত, তাহলে তারা বিকৃত
দেশপ্রেমের নামে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও তৎকালীন সামরিক সরকারকে সমর্থন
দিতেন না। কারণ পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশের জনগণের যতই শত্র“ হোক, সেখানকার
সাধারণ মানুষ অমানুষ ও ক্রিমিনাল নন। তাদের সম্পর্কে এই ধারণা করাও বিকৃত
চিন্তার পরিচায়ক। এখানে এ প্রসঙ্গে বলা দরকার যে, আজ পর্যন্ত পাকিস্তানের
জনগণ সঠিকভাবে জানেন না কী ধরনের নিষ্ঠুর ও ব্যাপক হত্যাকাণ্ড পাকিস্তানি
সেনাবাহিনী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে করেছিল। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত তাদের
বেশ সাফল্যের সঙ্গেই অন্ধকারে রাখা হয়েছে। ঊসবৎমবহপব ড়ভ ইধহমষধফবংয নামে
আমার দুই খণ্ডের একটি বই অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস পাকিস্তান শাখা
করাচি থেকে প্রকাশ করেছিল। তার দ্বিতীয় খণ্ডের শেষে এখানে পাকিস্তানি
সেনাবাহিনী যে গণহত্যা করেছিল তার বিস্তারিত বিবরণ আছে। এ কারণে দ্বিতীয়
খণ্ড প্রকাশিত হওয়ার পর পাকিস্তান সরকার অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের
ওপর চাপ সৃষ্টি করে আমার সঙ্গে বইটির চুক্তি বাতিল করে বইটিকে বাজার থেকে
সরিয়ে দিয়েছে। এর থেকেই বোঝা যায়, এখন পর্যন্ত পাকিস্তান সরকার নিজেদের
জনগণের থেকে ১৯৭১ সালে তাদের যুদ্ধাপরাধ আড়াল করতে ও গোপন রাখতে ব্যস্ত।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার উদগ্র আকাক্সক্ষা থেকে জুলফিকার আলী
ভুট্টো পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য মরিয়া হয়ে
সেনাবাহিনীর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিল। পাকিস্তান অখণ্ড থাকলে জাতীয় সংসদে
ভুট্টোর সংখ্যাগরিষ্ঠতার কোনো সম্ভাবনা না থাকায় শেখ মুজিবুর রহমান থেকে
ভুট্টোই ছিল পাকিস্তানকে বিভক্ত করার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী। ১৯৭১ সালে
ভুট্টোর রাজনৈতিক ভূমিকা পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করলে এ বিষয়ে সন্দেহের কোনো
অবকাশ থাকে না। কাজেই পাকিস্তান দ্বিখণ্ডিত করার কর্মসূচি বাস্তবায়নের
অন্য কোনো পথ না থাকায় পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে
তাদের এই লক্ষ্য তারা অর্জন করেছিল। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী থেকে
ক্রিমিনাল ভুট্টোর ধারণা এ বিষয়ে অনেক পরিষ্কার ছিল। বিস্মিত হওয়ার কিছু
নেই যে, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অধিনায়ক জেনারেল
নিয়াজী ভারতীয় সেনাবাহিনীর জেনারেল অরোরার কাছে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে পূর্ব
পাকিস্তান থেকে পাকিস্তান উচ্ছেদ হওয়ার পর ভুট্টো পশ্চিম পাকিস্তানের
সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে সরকারি গদিতে বসেছিল। এসবই খুব পরিচিত
ইতিহাস।
যুদ্ধাপরাধীদের যে বিচার কয়েক দশক আগে হওয়ার দরকার ছিল তা এখন হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার যে, এই বিচার এখন যেভাবে হচ্ছে তাতে এর নৈতিক মান অনেক ক্ষুণ্ন হয়েছে। ১৯৭১ সালের পরপরই এ বিচার না করে ‘বাঙালি জাতি ক্ষমা করতে জানে’, এ কথা বলে লাখ লাখ নিরীহ মানুষ হত্যাকারী, হাজার হাজার নারী ধর্ষণকারী যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করে দেয়া ছিল ভুট্টোর পাকিস্তান সরকারকে ছাড় দেয়ার এক কৌশল মাত্র। সেই পাকিস্তানি সরকার, সেনাবাহিনী ও তাদের রাজাকার-আলবদর তাঁবেদারদের শেখ মুজিবের ‘ক্ষমার আদর্শ’ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশের জনগণ যে ক্ষমা করেননি তার প্রমাণ এ বছর ৫ ফেব্র“য়ারি শুরু হওয়া শাহবাগ আন্দোলন।
যুদ্ধাপরাধের বিচার মূলত সরকার ও সেনাবাহিনীর লোকদের বিচার। কারণ যুদ্ধ সরাসরি তারাই করে থাকে এবং তাদের দ্বারাই ও তাদের নির্দেশে যুদ্ধাপরাধ হয়ে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নুরেমবার্গ বিচারে একমাত্র হিটলারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিবেনট্রপ ছাড়া মার্শাল গোয়েরিং থেকে নিয়ে সবাই ছিল সামরিক বাহিনীর শীর্ষ অফিসার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়েও তা-ই হয়েছিল। পাকিস্তান সরকার ও সামরিক বাহিনীই ব্যাপকভাবে সরাসরি হত্যাকাণ্ড করেছিল। লাখ লাখ নিরীহ মানুষ তাদের হাতে নিহত হয়েছিলেন। তারাই হাজার হাজার নারীকে ধর্ষণ করেছিল, রাজাকার ও জামায়াতে ইসলামীর ক্রিমিনালরা তাদের নির্দেশেই এ কাজ করেছিল। ১৯৭১ সালের পর সেই সামরিক বাহিনীর ১৯৫ জন চিহ্নিত অফিসারের কোনো বিচার ও শাস্তি হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন প্রথম দিকে প্রায় প্রতিদিনই জোর গলায় বলতেন, বাংলার মাটিতেই তাদের বিচার হবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতের মধ্যস্থতায় তারা পাকিস্তানের ভুট্টো সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে বাংলার মাটিতে তাদের বিচার না করে তাদেরকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠিয়ে দিলেন। এর পর স্বাভাবিকভাবেই রাজাকার ও জামায়াতে ইসলামীর যুদ্ধাপরাধীদেরও এক সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, শেখ মুজিব এই মুক্তিপ্রাপ্ত ক্রিমিনালদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসার জন্য। এসবের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির এবং ১৯৭১ সালে ব্যাপক ও সশস্ত্রভাবে আক্রান্ত দেশের জনগণের প্রতি তার ভালোবাসা ও দেশপ্রেমের কোনো ব্যাপার ছিল না। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের শ্রেণীগত ও দলীয় ফায়দা হাসিলের জন্যই সেই বিশ্বাসঘাতকতার কাজ করেছিল। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিবেচনা করলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অনস্বীকার্য ন্যায্যতা সত্ত্বেও যেভাবে এখন এই বিচার হচ্ছে তাতে এর নৈতিক চরিত্র ক্ষুণœ হয়েছে। এ ছাড়া শেখ হাসিনার সরকার ১৯৯৬-২০০১ সালে ক্ষমতায় থাকলেও এ বিচার না করে তার দ্বিতীয় সরকারের আমলে এটা করাও এর নৈতিক দিককে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কেন ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকার এ বিচার করেনি, এর কোনো ব্যাখ্যা আজ পর্যন্ত শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ থেকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু আমরা জানি যে, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর এক ধরনের সমঝোতা হয়েছিল।
পাকিস্তান জাতীয় সংসদে কাদের মোল্লার ফাঁসির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে যে প্রস্তাব পাস করা হয়েছে সে বিষয়ে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এর প্রতিবাদ করা এবং আনুষ্ঠানিকভাবে এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিবাদ জানানো সঠিক কাজ। কিন্তু এ নিয়ে আওয়ামী লীগ যে মাতামাতি করছে, তাদের মন্ত্রী ও ঘরানার বুদ্ধিজীবীরা যে হম্বিতম্বি করছেন, এর কোনো স্বাভাবিক যৌক্তিকতা নেই। এ কাজ করা হচ্ছে তারা যে লেজেগোবরে অবস্থা নিজেদের জন্য তৈরি করেছে সেটা সামাল দেয়ার উদ্দেশ্যে, জনগণের চিন্তা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু এর দ্বারা তাদের তেমন কোনো সুবিধা হবে না। উপরন্তু অতি চালাকির যা পরিণতি সেটাই তাদের ক্ষেত্রে হবে।
বদরুদ্দীন উমর : সভাপতি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল
যুদ্ধাপরাধীদের যে বিচার কয়েক দশক আগে হওয়ার দরকার ছিল তা এখন হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার যে, এই বিচার এখন যেভাবে হচ্ছে তাতে এর নৈতিক মান অনেক ক্ষুণ্ন হয়েছে। ১৯৭১ সালের পরপরই এ বিচার না করে ‘বাঙালি জাতি ক্ষমা করতে জানে’, এ কথা বলে লাখ লাখ নিরীহ মানুষ হত্যাকারী, হাজার হাজার নারী ধর্ষণকারী যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করে দেয়া ছিল ভুট্টোর পাকিস্তান সরকারকে ছাড় দেয়ার এক কৌশল মাত্র। সেই পাকিস্তানি সরকার, সেনাবাহিনী ও তাদের রাজাকার-আলবদর তাঁবেদারদের শেখ মুজিবের ‘ক্ষমার আদর্শ’ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশের জনগণ যে ক্ষমা করেননি তার প্রমাণ এ বছর ৫ ফেব্র“য়ারি শুরু হওয়া শাহবাগ আন্দোলন।
যুদ্ধাপরাধের বিচার মূলত সরকার ও সেনাবাহিনীর লোকদের বিচার। কারণ যুদ্ধ সরাসরি তারাই করে থাকে এবং তাদের দ্বারাই ও তাদের নির্দেশে যুদ্ধাপরাধ হয়ে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নুরেমবার্গ বিচারে একমাত্র হিটলারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিবেনট্রপ ছাড়া মার্শাল গোয়েরিং থেকে নিয়ে সবাই ছিল সামরিক বাহিনীর শীর্ষ অফিসার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়েও তা-ই হয়েছিল। পাকিস্তান সরকার ও সামরিক বাহিনীই ব্যাপকভাবে সরাসরি হত্যাকাণ্ড করেছিল। লাখ লাখ নিরীহ মানুষ তাদের হাতে নিহত হয়েছিলেন। তারাই হাজার হাজার নারীকে ধর্ষণ করেছিল, রাজাকার ও জামায়াতে ইসলামীর ক্রিমিনালরা তাদের নির্দেশেই এ কাজ করেছিল। ১৯৭১ সালের পর সেই সামরিক বাহিনীর ১৯৫ জন চিহ্নিত অফিসারের কোনো বিচার ও শাস্তি হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন প্রথম দিকে প্রায় প্রতিদিনই জোর গলায় বলতেন, বাংলার মাটিতেই তাদের বিচার হবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতের মধ্যস্থতায় তারা পাকিস্তানের ভুট্টো সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে বাংলার মাটিতে তাদের বিচার না করে তাদেরকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠিয়ে দিলেন। এর পর স্বাভাবিকভাবেই রাজাকার ও জামায়াতে ইসলামীর যুদ্ধাপরাধীদেরও এক সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, শেখ মুজিব এই মুক্তিপ্রাপ্ত ক্রিমিনালদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসার জন্য। এসবের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির এবং ১৯৭১ সালে ব্যাপক ও সশস্ত্রভাবে আক্রান্ত দেশের জনগণের প্রতি তার ভালোবাসা ও দেশপ্রেমের কোনো ব্যাপার ছিল না। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের শ্রেণীগত ও দলীয় ফায়দা হাসিলের জন্যই সেই বিশ্বাসঘাতকতার কাজ করেছিল। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিবেচনা করলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অনস্বীকার্য ন্যায্যতা সত্ত্বেও যেভাবে এখন এই বিচার হচ্ছে তাতে এর নৈতিক চরিত্র ক্ষুণœ হয়েছে। এ ছাড়া শেখ হাসিনার সরকার ১৯৯৬-২০০১ সালে ক্ষমতায় থাকলেও এ বিচার না করে তার দ্বিতীয় সরকারের আমলে এটা করাও এর নৈতিক দিককে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কেন ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকার এ বিচার করেনি, এর কোনো ব্যাখ্যা আজ পর্যন্ত শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ থেকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু আমরা জানি যে, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর এক ধরনের সমঝোতা হয়েছিল।
পাকিস্তান জাতীয় সংসদে কাদের মোল্লার ফাঁসির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে যে প্রস্তাব পাস করা হয়েছে সে বিষয়ে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এর প্রতিবাদ করা এবং আনুষ্ঠানিকভাবে এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিবাদ জানানো সঠিক কাজ। কিন্তু এ নিয়ে আওয়ামী লীগ যে মাতামাতি করছে, তাদের মন্ত্রী ও ঘরানার বুদ্ধিজীবীরা যে হম্বিতম্বি করছেন, এর কোনো স্বাভাবিক যৌক্তিকতা নেই। এ কাজ করা হচ্ছে তারা যে লেজেগোবরে অবস্থা নিজেদের জন্য তৈরি করেছে সেটা সামাল দেয়ার উদ্দেশ্যে, জনগণের চিন্তা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু এর দ্বারা তাদের তেমন কোনো সুবিধা হবে না। উপরন্তু অতি চালাকির যা পরিণতি সেটাই তাদের ক্ষেত্রে হবে।
বদরুদ্দীন উমর : সভাপতি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল
No comments