মনক্ষুণ্ন হলেও নৌকাতেই ভোট দেবে জনগণ
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকেই মানুষ ভোট
দিয়ে জয়ী করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও
সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
শুক্রবার বিকালে
নগরীর চশমা হিলের বাসভবনে নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ
প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, পাওয়া না পাওয়া নিয়ে মানুষ আওয়ামী লীগের
উপর মনক্ষুণ্ন হলেও নির্বাচনে নৌকা প্রতীককেই ভোট দিবে মানুষ। কারণ সাধারণ
মানুষ চায়না বাংলাদেশ পাকিস্তানে পরিণত হোক।
সাবেক মেয়র বলেন, যারা গণতন্ত্রের কথা বলে নির্বাচন ঠেকাতে চায় তাদের কাছে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। তাদের ইচ্ছা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসে নতুন হাওয়া ভবন বানিযে লুটপাট করা।
‘মানি লন্ডারিং, জঙ্গীবাদ, বাংলাদেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিয়ে একটি সন্ত্রাসী, অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত করা। তাদের আখেরী ইচ্ছা দেশকে পাকিস্তান বানানো। আমরা তা কিছুতেই হতে দেব না।’
চট্টগ্রামে কোন ধরণের নৈরাজ্য বরদাস্ত করা হবে না জানিয়ে নগর সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন,‘প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও চট্টগ্রাম ও দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করবো। অপরাজনীতির নামে নাশকতা রুখবোই।’
দেশের মানুষ কঠিন সময় অতিক্রম করছে উল্লেখ করে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে ৭১’র মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের রক্ষার জন্য জামায়াত-শিবির-বিএনপি ধর্মান্ধতাকে উস্কে দিয়ে নাশকতামুলক কর্মকান্ড শুরু করেছে।
তারা অবৈধ অস্ত্র নিয়ে মাঠে নেমে নিরীহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘বোমা ছুড়ে মেধাবী কিশোরী স্কুল ছাত্রীর চোখ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সরকারি সম্পদ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভস্ম করা হয়েছে। আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষের জায়গা জমির দলিল রেকর্ড পত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন কোন অপরাধ নেই যা তারা করেনি। তারা সরাসরি রাষ্ট্র ও সংবিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’
সংবিধান অনুযায়ী আপীলের বিরুদ্ধে রিভিউ করার সুযোগ নেই দাবি করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে ২৩ নং ধারা মতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ আছে। সংবিধানের ১০৫ নং ধারা অনুযায়ী আপীলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করার কোন সুযোগ নেই। এই বাস্তবতাকে এড়িয়ে রায়ের বিরোধীতা শুধু নয়, ধ্বংশ ও নাশকতার মধ্যে দিয়ে আইয়ামে জাহেলিয়াত কায়েমের মহড়া দিচ্ছে।
যে এলাকায বোমা ফেটেছে, জ্বালাও পোড়াও হয়েছে সে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের নির্দেশদাতাদের কমপক্ষে ৩০জনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্য ক্ষমতাসীন দলের এ নেতা দাবি জানান।
‘তাদেরকে ২০ অক্টোবরের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। আমরা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আমরা অসাধ্য সাধন করতে পারি। আমরা সন্ত্রাসীদের গণ ধোলাই দিতে পারি।’
কোরবানীর পশুর হাটে সার্বক্ষনিক পুলিশ ক্যাম্প বসানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কোরবানীর পশুর হাটে কোনভাবে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি করতে দেয়া যাবে না। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির পশু নিয়ে বিক্রেতারা নির্বিঘ্নে হাটে আসতে পারেন সে জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিতে হবে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দূর্গা উৎসব। এই উৎসবে শান্তি শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি যাতে অক্ষুন্ন থাকে সে জন্য প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ ও ধর্মপ্রান জনগণকে সচেতন থাকার আহবান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব কে পালন করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ভারপ্রাপ্ত বলে গঠনতন্ত্রে কোন শব্দ নেই। সভায় যখন যিনি থাকবেন তিনি জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করবেন।
নগর সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর পদের প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে বলেন, আমার মন্ত্রী এমপি’র প্রয়োজন নেই। গতবারের মতো আগামী সংসদ নির্বাচনেও নগরীর চারটি আসন নেত্রীকে উপহার দিব। নেত্রী যাকেই নৌকা প্রতীক দিবে তার বিজয় সুনিশ্চিত করার জন্য নগর আওয়ামী লীগে তৃনমূল স্তরে কাজ শুরু করে দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর সহ সভাপতি একেএম বেলায়েত হোসেন, নগর যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন বাবুল, মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম।
সাবেক মেয়র বলেন, যারা গণতন্ত্রের কথা বলে নির্বাচন ঠেকাতে চায় তাদের কাছে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। তাদের ইচ্ছা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসে নতুন হাওয়া ভবন বানিযে লুটপাট করা।
‘মানি লন্ডারিং, জঙ্গীবাদ, বাংলাদেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিয়ে একটি সন্ত্রাসী, অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত করা। তাদের আখেরী ইচ্ছা দেশকে পাকিস্তান বানানো। আমরা তা কিছুতেই হতে দেব না।’
চট্টগ্রামে কোন ধরণের নৈরাজ্য বরদাস্ত করা হবে না জানিয়ে নগর সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন,‘প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও চট্টগ্রাম ও দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করবো। অপরাজনীতির নামে নাশকতা রুখবোই।’
দেশের মানুষ কঠিন সময় অতিক্রম করছে উল্লেখ করে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে ৭১’র মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের রক্ষার জন্য জামায়াত-শিবির-বিএনপি ধর্মান্ধতাকে উস্কে দিয়ে নাশকতামুলক কর্মকান্ড শুরু করেছে।
তারা অবৈধ অস্ত্র নিয়ে মাঠে নেমে নিরীহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘বোমা ছুড়ে মেধাবী কিশোরী স্কুল ছাত্রীর চোখ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সরকারি সম্পদ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভস্ম করা হয়েছে। আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষের জায়গা জমির দলিল রেকর্ড পত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন কোন অপরাধ নেই যা তারা করেনি। তারা সরাসরি রাষ্ট্র ও সংবিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’
সংবিধান অনুযায়ী আপীলের বিরুদ্ধে রিভিউ করার সুযোগ নেই দাবি করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে ২৩ নং ধারা মতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ আছে। সংবিধানের ১০৫ নং ধারা অনুযায়ী আপীলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করার কোন সুযোগ নেই। এই বাস্তবতাকে এড়িয়ে রায়ের বিরোধীতা শুধু নয়, ধ্বংশ ও নাশকতার মধ্যে দিয়ে আইয়ামে জাহেলিয়াত কায়েমের মহড়া দিচ্ছে।
যে এলাকায বোমা ফেটেছে, জ্বালাও পোড়াও হয়েছে সে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের নির্দেশদাতাদের কমপক্ষে ৩০জনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্য ক্ষমতাসীন দলের এ নেতা দাবি জানান।
‘তাদেরকে ২০ অক্টোবরের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। আমরা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আমরা অসাধ্য সাধন করতে পারি। আমরা সন্ত্রাসীদের গণ ধোলাই দিতে পারি।’
কোরবানীর পশুর হাটে সার্বক্ষনিক পুলিশ ক্যাম্প বসানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কোরবানীর পশুর হাটে কোনভাবে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি করতে দেয়া যাবে না। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির পশু নিয়ে বিক্রেতারা নির্বিঘ্নে হাটে আসতে পারেন সে জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিতে হবে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দূর্গা উৎসব। এই উৎসবে শান্তি শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি যাতে অক্ষুন্ন থাকে সে জন্য প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ ও ধর্মপ্রান জনগণকে সচেতন থাকার আহবান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব কে পালন করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ভারপ্রাপ্ত বলে গঠনতন্ত্রে কোন শব্দ নেই। সভায় যখন যিনি থাকবেন তিনি জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করবেন।
নগর সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর পদের প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে বলেন, আমার মন্ত্রী এমপি’র প্রয়োজন নেই। গতবারের মতো আগামী সংসদ নির্বাচনেও নগরীর চারটি আসন নেত্রীকে উপহার দিব। নেত্রী যাকেই নৌকা প্রতীক দিবে তার বিজয় সুনিশ্চিত করার জন্য নগর আওয়ামী লীগে তৃনমূল স্তরে কাজ শুরু করে দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর সহ সভাপতি একেএম বেলায়েত হোসেন, নগর যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন বাবুল, মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম।
No comments