কোন পথে খালেদা by সাজেদুল হক
শেখ হাসিনার অচেনা পথ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে
অনেক। কিন্তু খালেদা জিয়াও যে নতুন পথে হাঁটছেন তা হয়তো খেয়ালই করছেন না
অনেকে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারা তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী। ভিনদেশী মিডিয়ায়
তাদের পরিচয় ব্যাটলিং বেগমস।
সমালোচকরা বলছেন, শেখ হাসিনা
নির্বাচনের পথে হাঁটছেন না। এরই মধ্যে তিনি তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
বলেছেন, সংবিধানের বাইরে এক চুলও নড়বেন না। চুল নিয়ে দুই নেত্রীর মধ্যে এক
দফা বাহাসও হয়ে গেছে। বিচিত্র সব বিতর্কে ইদানীং জড়াচ্ছেন তারা। এর আগে
জড়িয়েছিলেন সাপ বিতর্কে। আয়নায় মুখ দেখাদেখি নিয়েও কথা বলেছিলেন তারা। তবে
কেউই হয়তো তা দেখেননি। একটি বিষয় অবাক করার মতোই। সরকারের মেয়াদের শেষ কয়েক
মাসে এবারই প্রথম বাংলাদেশের রাজপথ শান্ত। কোন হরতাল নেই, অবরোধ নেই।
বঙ্গভবনের অক্সিজেনও বন্ধ নেই। যদিও সবাই জানেন এটা সাময়িক। কিন্তু সাময়িক
হলেও নতুন। এ নতুন রাজনীতি খালেদা জিয়ার। বস্তুত কৌশলের লড়াইয়েই অবতীর্ণ
হয়েছেন তিনি। নিজ দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা বিবেচনায় এখনই রাজপথের লড়াই যেতে
চাইছেন না তিনি। নানা উস্কানি সত্ত্বেও পরিচয় দিচ্ছেন সংযমের। ৫ সিটি
করপোরেশন নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর তাকে পা ফেলতে হচ্ছে আরও সাবধানে।
২০০৬ সালে রাজনীতির স্নায়ুক্ষয়ী সময়ে নেয়া ভুল সিদ্ধান্তগুলোও ভাবাচ্ছে
তাকে। যে ভুলের সবচেয়ে বেশি মাশুল দিতে হয়েছে তাকেই। যদিও বন্ধু আর
বিশ্বাসঘাতক চিনতে শেষ পর্যন্ত তা তাকে সাহায্যই করেছে।
নিজ দলে পর্দার অন্তরালে কার ভূমিকা কি তা-ও এখন খেয়াল রাখছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তাকে গ্রেপ্তারের একটি গুঞ্জনও এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বেগম জিয়ার বড় ছেলে এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও যে কোন মামলায় রায় ঘোষণা হতে পারে নির্বাচনের আগেই। লন্ডন প্রবাসী তারেক রহমান এরই মধ্যে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। নির্বাচনী রাজনীতিতে তার অতীতের ভূমিকার কারণে তার দিকে নজর রাখছেন রাজনীতির অন্দরমহলের কারবারিরা। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের পর বিএনপির ওপর চূড়ান্ত ক্র্যাকডাউন চালানো হতে পারে এমন একটি খবরও রয়েছে। এখনও সরকারের রাজনীতি ঘুরপাক খাচ্ছে জামায়াতে ইসলামীকে ঘিরে। সেপ্টেম্বরে অন্তত যুদ্ধাপরাধের একটি মামলার চূড়ান্ত রায় আসবে। এরপর নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হতে পারে জামায়াতের রাজনীতি। পরিস্থিতি যত উত্তপ্ত হবে তত কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার। রাজপথ থেকে জামায়াত-শিবিরকে সরিয়ে নিতে সব ধরনের পদক্ষেপই নেয়া হবে। এটা ঠিক, সাংগঠনিকভাবে বিএনপি কখনও খুব শক্তিশালী দল ছিল না। নানা দল আর মতের মানুষের সমন্বয় হয়েছিল বিএনপিতে। সাংগঠনিক শক্তির দিক থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তুলনীয় না হলেও বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবসময়ই আওয়ামী লীগবিরোধী ভোট পড়েছে বিএনপির বাক্সে। যে কারণে দলটির বিজয়ের রেকর্ড অত্যন্ত ভাল। আর পর্যবেক্ষকরা স্মরণ করেছেন একটি পুরনো ঘটনা। ’৮৬ সালের নির্বাচনে সবাই যোগ নিলেও দূরে ছিলেন বেগম জিয়া ও বিএনপি। যে ভূমিকা পরে তাকে আপসহীন নেত্রীর অভিধা দিয়েছিল। যদিও এটা সত্য আপসহীনতা সবসময় গণতন্ত্রের ভাষা নয়। খালেদা জিয়া জানেন সরকার এখনই রাজপথের যুদ্ধে নিয়ে যেতে চায় বিএনপিকে। সাংগঠনিকভাবে দলটির কোমর ভেঙে দিতে চায় এখনই। যেন অক্টোবরে রাজনীতির স্নায়ুক্ষয়ী সময়ে বিএনপি কোন ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারে। সরকারি কৌশলের বিপরীতে খালেদা জিয়া আপাতত গ্রহণ করেছেন কূটনৈতিক কৌশল। বিদেশী কূটনীতিকদের যে কোন মধ্যস্থতাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছে দলটি। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সম্পৃক্ততার বিষয়টিও ইতিবাচকভাবেই দেখছে বিএনপি। কূটনৈতিক সমঝোতার চেষ্টা ব্যর্থ হলেই কেবল রাজপথে মীমাংসার দিকে যাবেন খালেদা জিয়া। তৃতীয় কোন পক্ষ যেন সুযোগ না নিয়ে নেয় এজন্যই সতর্কতা অবলম্বন করছেন তিনি। যদিও বাংলাদেশে তৃতীয় পক্ষের সুযোগ নেয়ার ভূরিভূরি নজির রয়েছে। অক্টোবরের শেষ দিকে চূড়ান্ত আন্দোলনে যাবে বিএনপি। অক্টোবরের ২২-২৩ তারিখের দিকে শেষ আল্টিমেটাম ঘোষণা করবেন খালেদা জিয়া।
রাজনীতির গতি বিচিত্র। ঠিক এ মুহূর্তে বেশ কিছু বিকল্প সামনে নিয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতি। ১. শেখ হাসিনার অধীনে বহুদলীয় নির্বাচন। ২. শেখ হাসিনার অধীনে একদলীয় নির্বাচন। ৩. নির্দলীয় সরকারের অধীনে বহুদলীয় নির্বাচন। ৪. নির্বাচন না হওয়া। জাতিসংঘ এরই মধ্যে তার বার্তা পরিষ্কার করেছে। সব দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে নির্বাচন দেখতে চায় এ বিশ্বসংঘ। নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসও বলেছেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। তবে আওয়ামী লীগ একে পাত্তা দিচ্ছে সামান্যই। এক সিনিয়র সাংবাদিকের ভাষায়, হু কেয়ারস? যদিও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মনিরুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশে শেষ পর্যন্ত কেয়ার করতে হবে।
নিজ দলে পর্দার অন্তরালে কার ভূমিকা কি তা-ও এখন খেয়াল রাখছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তাকে গ্রেপ্তারের একটি গুঞ্জনও এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বেগম জিয়ার বড় ছেলে এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও যে কোন মামলায় রায় ঘোষণা হতে পারে নির্বাচনের আগেই। লন্ডন প্রবাসী তারেক রহমান এরই মধ্যে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। নির্বাচনী রাজনীতিতে তার অতীতের ভূমিকার কারণে তার দিকে নজর রাখছেন রাজনীতির অন্দরমহলের কারবারিরা। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের পর বিএনপির ওপর চূড়ান্ত ক্র্যাকডাউন চালানো হতে পারে এমন একটি খবরও রয়েছে। এখনও সরকারের রাজনীতি ঘুরপাক খাচ্ছে জামায়াতে ইসলামীকে ঘিরে। সেপ্টেম্বরে অন্তত যুদ্ধাপরাধের একটি মামলার চূড়ান্ত রায় আসবে। এরপর নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হতে পারে জামায়াতের রাজনীতি। পরিস্থিতি যত উত্তপ্ত হবে তত কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার। রাজপথ থেকে জামায়াত-শিবিরকে সরিয়ে নিতে সব ধরনের পদক্ষেপই নেয়া হবে। এটা ঠিক, সাংগঠনিকভাবে বিএনপি কখনও খুব শক্তিশালী দল ছিল না। নানা দল আর মতের মানুষের সমন্বয় হয়েছিল বিএনপিতে। সাংগঠনিক শক্তির দিক থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তুলনীয় না হলেও বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবসময়ই আওয়ামী লীগবিরোধী ভোট পড়েছে বিএনপির বাক্সে। যে কারণে দলটির বিজয়ের রেকর্ড অত্যন্ত ভাল। আর পর্যবেক্ষকরা স্মরণ করেছেন একটি পুরনো ঘটনা। ’৮৬ সালের নির্বাচনে সবাই যোগ নিলেও দূরে ছিলেন বেগম জিয়া ও বিএনপি। যে ভূমিকা পরে তাকে আপসহীন নেত্রীর অভিধা দিয়েছিল। যদিও এটা সত্য আপসহীনতা সবসময় গণতন্ত্রের ভাষা নয়। খালেদা জিয়া জানেন সরকার এখনই রাজপথের যুদ্ধে নিয়ে যেতে চায় বিএনপিকে। সাংগঠনিকভাবে দলটির কোমর ভেঙে দিতে চায় এখনই। যেন অক্টোবরে রাজনীতির স্নায়ুক্ষয়ী সময়ে বিএনপি কোন ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারে। সরকারি কৌশলের বিপরীতে খালেদা জিয়া আপাতত গ্রহণ করেছেন কূটনৈতিক কৌশল। বিদেশী কূটনীতিকদের যে কোন মধ্যস্থতাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছে দলটি। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সম্পৃক্ততার বিষয়টিও ইতিবাচকভাবেই দেখছে বিএনপি। কূটনৈতিক সমঝোতার চেষ্টা ব্যর্থ হলেই কেবল রাজপথে মীমাংসার দিকে যাবেন খালেদা জিয়া। তৃতীয় কোন পক্ষ যেন সুযোগ না নিয়ে নেয় এজন্যই সতর্কতা অবলম্বন করছেন তিনি। যদিও বাংলাদেশে তৃতীয় পক্ষের সুযোগ নেয়ার ভূরিভূরি নজির রয়েছে। অক্টোবরের শেষ দিকে চূড়ান্ত আন্দোলনে যাবে বিএনপি। অক্টোবরের ২২-২৩ তারিখের দিকে শেষ আল্টিমেটাম ঘোষণা করবেন খালেদা জিয়া।
রাজনীতির গতি বিচিত্র। ঠিক এ মুহূর্তে বেশ কিছু বিকল্প সামনে নিয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতি। ১. শেখ হাসিনার অধীনে বহুদলীয় নির্বাচন। ২. শেখ হাসিনার অধীনে একদলীয় নির্বাচন। ৩. নির্দলীয় সরকারের অধীনে বহুদলীয় নির্বাচন। ৪. নির্বাচন না হওয়া। জাতিসংঘ এরই মধ্যে তার বার্তা পরিষ্কার করেছে। সব দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে নির্বাচন দেখতে চায় এ বিশ্বসংঘ। নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসও বলেছেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। তবে আওয়ামী লীগ একে পাত্তা দিচ্ছে সামান্যই। এক সিনিয়র সাংবাদিকের ভাষায়, হু কেয়ারস? যদিও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মনিরুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশে শেষ পর্যন্ত কেয়ার করতে হবে।
No comments