বিক্ষোভ বন্ধে গণভোটের কথা ভাবছেন এরদোয়ান
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে গেজি পার্কে
বিতর্কিত বিপণিবিতান নির্মাণের সরকারি পরিকল্পনার বিষয়ে গণভোট হতে পারে। গত
বুধবার বিক্ষোভকারীদের একাংশের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে
প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান এ কথা জানান।
সরকারের এ ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বাণিজ্যিক নগরী ইস্তাম্বুলের গেজি পার্কের ৬০০ গাছ কেটে সেখানে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সামরিক ছাউনির আদলে একটি ছাউনি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। এর প্রতিবাদে গত ৩১ মে থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ দমনে পুলিশ কঠোর হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তা দ্রুত এরদোয়ানবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। এখন পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘাতে চারজন মারা গেছে। আহত হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার জন।
ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) মুখপাত্র হুসেইন চেলিক গণভোটের পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে বলেন, 'গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনতার ইচ্ছাই শেষ কথা। আমরা এ বিষয়ে গণভোট আয়োজনের কথা ভাবছি। এ বিষয়ে আমাদের সদিচ্ছা রয়েছে- এ কথা উপলব্ধি করে আন্দোলনকারীরা ঘরে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে।' এর পরও যারা রাজপথ ছাড়বে না, তাদের পুলিশের মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
চলমান বিক্ষোভ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বিক্ষোভকারীদের ১১ জনের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করেন এরদোয়ান। তিনি জানান, একেপির নীতিনির্ধারণী কমিটির কাছে গণভোটের বিষয়ে প্রস্তাব করবেন তিনি। তবে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ বৈঠক প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, প্রতিনিধিদলটি তাদের দাবি-দাওয়া সরকারের কাছে তুলে ধরেনি। এ ছাড়া পুলিশের নির্দয় আচরণ অব্যাহত আছে। এ অবস্থায় এ বৈঠক থেকে কোনো সমাধান আসবে না।
তুর্কি সংবাদমাধ্যমগুলো বুধবার জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিক্ষোভ বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন এরদোয়ান। এ অবস্থায় পুলিশের হস্তক্ষেপ ঠেকাতে বিরোধী দলের ২০ জনের বেশি এমপি গেজি পার্কে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ব্যাপক হামলা চালিয়ে বিক্ষোভকারীদের গেজি পার্ক থেকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
বাণিজ্যিক নগরী ইস্তাম্বুলের গেজি পার্কের ৬০০ গাছ কেটে সেখানে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সামরিক ছাউনির আদলে একটি ছাউনি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। এর প্রতিবাদে গত ৩১ মে থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ দমনে পুলিশ কঠোর হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তা দ্রুত এরদোয়ানবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। এখন পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘাতে চারজন মারা গেছে। আহত হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার জন।
ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) মুখপাত্র হুসেইন চেলিক গণভোটের পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে বলেন, 'গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনতার ইচ্ছাই শেষ কথা। আমরা এ বিষয়ে গণভোট আয়োজনের কথা ভাবছি। এ বিষয়ে আমাদের সদিচ্ছা রয়েছে- এ কথা উপলব্ধি করে আন্দোলনকারীরা ঘরে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে।' এর পরও যারা রাজপথ ছাড়বে না, তাদের পুলিশের মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
চলমান বিক্ষোভ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বিক্ষোভকারীদের ১১ জনের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করেন এরদোয়ান। তিনি জানান, একেপির নীতিনির্ধারণী কমিটির কাছে গণভোটের বিষয়ে প্রস্তাব করবেন তিনি। তবে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ বৈঠক প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, প্রতিনিধিদলটি তাদের দাবি-দাওয়া সরকারের কাছে তুলে ধরেনি। এ ছাড়া পুলিশের নির্দয় আচরণ অব্যাহত আছে। এ অবস্থায় এ বৈঠক থেকে কোনো সমাধান আসবে না।
তুর্কি সংবাদমাধ্যমগুলো বুধবার জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিক্ষোভ বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন এরদোয়ান। এ অবস্থায় পুলিশের হস্তক্ষেপ ঠেকাতে বিরোধী দলের ২০ জনের বেশি এমপি গেজি পার্কে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ব্যাপক হামলা চালিয়ে বিক্ষোভকারীদের গেজি পার্ক থেকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments