আলোচনা করেই খাদ্য সুরক্ষা বিল পাস করার সিদ্ধান্ত by সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়
অর্ডিন্যান্সের পথে না গিয়ে বিরোধীদের
সঙ্গে আলোচনা করেই আলোচিত খাদ্য সুরক্ষা বিল পাস করার সিদ্ধান্ত নিল
কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। এ জন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বলেন, সরকার যেকোনো সময়েই অর্ডিন্যান্স জারি করতে
পারে। কিন্তু বিরোধীদের আরও একবার সুযোগ দিতে চান তিনি। তারা সরকারকে
সহযোগিতা করলে আগামী মাসেই সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে এই বিল সরকার পাস
করবে। তা সম্ভব না হলেই কেবল অর্ডিন্যান্স। দেশের ৬৭ শতাংশ দরিদ্র মানুষকে
প্রায় বিনা মূল্যে বছরভর খাদ্য সরবরাহ করাই খাদ্য সুরক্ষা বিলের লক্ষ্য।
খাদ্য সুরক্ষা বিলের পরিকল্পনাটা কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর।
ক্ষুধার বিরুদ্ধে সংগ্রামের এই বিলকে হাতিয়ার করেই তিনি নির্বাচনী বৈতরণি
পার হতে চাইছেন। তিনি মনে করেন, ইন্দিরা গান্ধীর ‘গরিবি হটাও’ স্লোগান
কিংবা ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মতো এই আইনও জনপ্রিয় ও কার্যকর হবে।
প্রস্তাবিত বিলে ৭৫ শতাংশ গ্রামীণ ও ৫০ শতাংশ শহুরে দরিদ্র মানুষকে রেশনে
মাসে মাথাপিছু পাঁচ কেজি খাদ্যশস্য দেওয়া হবে নামমাত্র (তিন রুপিতে কেজি
চাল, দুই রুপিতে কেজি গম ও এক রুপিতে কেজি বাজরা) মূল্যে। এ জন্য
কেন্দ্রীয় সরকারের খরচ হবে বছরে এক লাখ ২৫ হাজার কোটি রুপি। কেউ কেউ অবশ্য
মনে করেন, এই বিল কার্যকর করতে গেলে যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন, তার জোগান
দেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব হবে না। তা ছাড়া, বিভিন্ন রাজ্যে ইতিমধ্যে
হতদরিদ্রদের প্রায় বিনা মূল্যে মাসে ৩৫ কেজি করে খাদ্য দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পটি খরচের বোঝা বাড়াবে, খাদ্যের অপচয়ও বেড়ে যাবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম জানান, লোকসভার
নেতা সুশীল কুমার সিন্ধে, সংসদীয় মন্ত্রী কমলনাথ ও খাদ্যমন্ত্রী কে ভি
টমাস বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলবেন। বিরোধীরা একমত হয়ে সহযোগিতা করলে
যথাশিগগির সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে বিলটি পাস করতে।
No comments