'চীনের কম্পিউটারেও ঢুঁ মেরেছে যুক্তরাষ্ট্র'

ইন্টারনেটের ওপর নজরদারি ও টেলিফোনে আড়িপাতাসংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের গোপন কর্মসূচি 'প্রিজম'-এর কথা ফাঁস করে দেওয়া এডওয়ার্ড স্নোডেন দাবি করেছেন, ২০০৯ সাল থেকে চীনের 'শত শত সরকারি কর্মকর্তা,
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের' কম্পিউটারে হানা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) সদস্যরা। গতকাল বৃহস্পতিবার হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেন তিনি।
এদিকে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বলেছেন, 'মানবাধিকারের পাশে দাঁড়িয়ে স্নোডেনকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া উচিত ভারতের।' এনএসএর পরিচালক কেইথ আলেক্সান্ডার গত বুধবার সিনেটের শুনানিতে দাবি করেছেন, ইন্টারনেটের ওপর নজরদারি ও টেলিফোনে আড়িপাতাসংক্রান্ত কর্মসূচির কারণে এখন পর্যন্ত 'কয়েকডজন' সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে প্রিজমের কথা প্রকাশ হওয়ার আগে গত ২০ মে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই থেকে হংকং যান মার্কিন নাগরিক স্নোডেন (২৯)। সেখানকার একটি 'নিরাপদ আশ্রয়' থেকে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে তিনি বলেছেন, হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিইউএইচকে) কম্পিউটারেও ঢুঁ মেরেছে মার্কিন গোয়েন্দারা। তবে সিইউএইচকে কর্তৃপক্ষ বলেছে, 'নিয়মিয়তভাবে নেটওয়ার্কের ওপর নজরদারি রাখা হয়। এমন কোনো হ্যাকিংয়ের কথা জানা যায়নি। সব কিছু ঠিকঠাক চলেছে।' গতকাল স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ বলেন, 'ইকুয়েডরের মতো ছোট একটি দেশ যদি তাঁকে আশ্রয় দেওয়ার সাহস দেখাতে পারে, ভারতের মতো বড় বিশ্বশক্তি কেন স্নোডেনকে আশ্রয় দিতে পারবে না।' ২০১০ সাল থেকে লাখ লাখ মার্কিন গোপন তারবার্তা প্রকাশ করে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে উইকিলিকস। বর্তমানে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসের আশ্রয়ে আছেন তিনি। সাক্ষাৎকারে অ্যাসাঞ্জ বলেন, তিনিও ভারতের কাছে আশ্রয় চেয়েছিলেন। কিন্তু ভারত সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। সূত্র : টেলিগ্রাফ, বিবিসি।
« পূর্ববর্তী সংবাদ
   
পরবর্তী সংবাদ »
মূল পাতা দেশে দেশে

No comments

Powered by Blogger.