নজরদারির কারণেই সন্ত্রাসী হামলা নস্যাৎ করা গেছে
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির (এনএসএ) প্রধান
জেনারেল কিথ আলেকজান্ডার নজরদারির পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, এই তৎপরতার
কারণেই বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ করা সম্ভব
হয়েছে। তবে তিনি এই তৎপরতা চালানোর ক্ষেত্রে আইনগত বিষয়গুলো যথাযথভাবে
মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেন। সম্প্রতি জনগণের ফোন রেকর্ড ও অনলাইন তৎপরতার
ওপর মার্কিন প্রশাসনের ব্যাপক নজরদারির খবর ফাঁস হওয়ার পর এর কঠোর
সমালোচনা শুরু হয়। মার্কিন একটি নাগরিক সংগঠন প্রশাসনের এই তৎপরতার
বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। এরপর নজরদারির পক্ষে এ সাফাই গাইলেন জেনারেল
আলেকজান্ডার। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক কর্মী
এডওয়ার্ড স্নোডেন প্রশাসনের এই গোপন নজরদারির কথা ফাঁস করেন। এনএসএর
প্রধান আলেকজান্ডার গত বুধবার সিনেটে এক শুনানিতে বলেন, ‘নজরদারির বিষয়টি
গোপন ছিল। কিন্তু এই নজরদারির মাধ্যমে বেশ কিছু হামলার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ
করা সম্ভব হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার মধ্যে আমরা কোনো
পার্থক্য দেখি না।’
আলেকজান্ডার দাবি করেন, এনএসএ ও মার্কিন সাইবার কমান্ড ‘সংশ্লিষ্ট আইন ও ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে অঙ্গীকারবদ্ধ’। তথ্য ফাঁস করায় স্নোডেনকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দিয়ে আলেকজান্ডার বলেন, তিনি মার্কিন জনগণকে রক্ষার একটি ব্যবস্থার কথা ফাঁস করে দিয়েছেন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গত বুধবার জানান, তথ্য ফাঁস হওয়ার কয়েক দিন আগে থেকেই স্নোডেনকে খুঁজছিলেন তদন্তকারীরা। ‘চীনা কম্পিউটার হ্যাক করেছে এনএসএ’: হংকংয়ের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট -এ গতকাল প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে স্নোডেন বলেছেন, ২০০৯ সাল থেকে চীনের মূল ভূখণ্ড ও হংকংয়ের কম্পিউটার হ্যাক করছে এনএসএ। হ্যাকিংয়ের শিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে চায়নিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকংও আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি হ্যাকিংয়ের ব্যাপক অভিযোগ করেছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে তা বেশ অস্বস্তির সৃষ্টি করেছে। এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুয়িং বলেছেন, হংকংয়ে অবস্থান নেওয়া মার্কিন নাগরিক স্নোডেন-সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব চীন পায়নি। যুক্তরাষ্ট্র স্নোডেনকে ফেরত চাইলে চীন বা হংকংয়ের অবস্থান কী হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে চুয়িং বলেন, চীন দৃঢ়ভাবে সাইবার নিরাপত্তার পক্ষে। রয়টার্স, এএফপি।
আলেকজান্ডার দাবি করেন, এনএসএ ও মার্কিন সাইবার কমান্ড ‘সংশ্লিষ্ট আইন ও ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে অঙ্গীকারবদ্ধ’। তথ্য ফাঁস করায় স্নোডেনকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দিয়ে আলেকজান্ডার বলেন, তিনি মার্কিন জনগণকে রক্ষার একটি ব্যবস্থার কথা ফাঁস করে দিয়েছেন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গত বুধবার জানান, তথ্য ফাঁস হওয়ার কয়েক দিন আগে থেকেই স্নোডেনকে খুঁজছিলেন তদন্তকারীরা। ‘চীনা কম্পিউটার হ্যাক করেছে এনএসএ’: হংকংয়ের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট -এ গতকাল প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে স্নোডেন বলেছেন, ২০০৯ সাল থেকে চীনের মূল ভূখণ্ড ও হংকংয়ের কম্পিউটার হ্যাক করছে এনএসএ। হ্যাকিংয়ের শিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে চায়নিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকংও আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি হ্যাকিংয়ের ব্যাপক অভিযোগ করেছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে তা বেশ অস্বস্তির সৃষ্টি করেছে। এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুয়িং বলেছেন, হংকংয়ে অবস্থান নেওয়া মার্কিন নাগরিক স্নোডেন-সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব চীন পায়নি। যুক্তরাষ্ট্র স্নোডেনকে ফেরত চাইলে চীন বা হংকংয়ের অবস্থান কী হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে চুয়িং বলেন, চীন দৃঢ়ভাবে সাইবার নিরাপত্তার পক্ষে। রয়টার্স, এএফপি।
No comments