জরাজীর্ণতা মুছে বর্ষবরণ আজ
পহেলা বৈশাখ আজ। নতুনের আবাহনে পথচলার
নতুন বার্তা নিয়ে শুরু হলো নতুন বছরের যাত্রা। বাঙালির আবহমান সংস্কৃতির
নানা আয়োজনে রঙে-বর্ণে, আনন্দ আর উৎসবে দেশজুড়ে বরণ করা হবে নতুন বছরকে।
আবহমান
এ বাংলার দিক-দিগন্ত ঔজ্জ্বল্যে ভরিয়ে দিতে; আকাশ-বাতাস ও প্রকৃতিকে
অগ্নিস্নানে শুচি করে তুলতে আবার এসেছে বৈশাখ। শুভ নববর্ষ ১৪২০। আর এরই
মাধ্যমে কালের আবর্তে হারিয়ে গেল ১৪১৯। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় দূরের পলাতক
বলাকার ঝাঁকের মতো করে এ হারিয়ে যাওয়া বিগত বছরের। বাঙালির কায়মন আজ
প্রার্থনা করবে, যা কিছু ক্লেদ, গ্লানি, পাপ, মূঢ়তা, যা কিছু
জীর্ণ-শীর্ণ-দীর্ণ আর যা কিছু পুরাতন তা সবই বৈশাখের রুদ্র দহনে পুড়ে ছাই
হোক। আবর্জনা দূর করতে গেয়ে উঠবে বাঙালির প্রাণের অনুরণন, এসো হে বৈশাখ এসো
এসো...। এ কথামালার স্রোতে বর্ষবরণের উৎসবের আমেজ বেড়ে যাবে শতগুণ। মুখরিত
হবে বাংলার চারদিক। রবীন্দ্রনাথের মতো করে কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘তোরা
সব জয়ধ্বনি কর/তোরা সব জয়ধ্বনি কর/ঐ নূতনের কেতন ওড়ে কালবোশেখীর ঝড়...’ এই
সুর ধ্বনি বাজবে চারদিকে। আসবে কাল বোশেখ। বিদ্যুৎ-চঞ্চুবিদ্ধ দিগন্তকে
ছিনিয়ে নিতে প্রলয়ঙ্করী ঝড় ধেয়ে আসবে বাংলার গ্রামে-গঞ্জে নগরে-বন্দরে।
আছড়ে পড়বে বারান্দায়। পহেলা বৈশাখ নিয়ে বাঙালির উৎসব-উদ্দীপনার শেষ নেই।
আজকের দিনটাকে উদযাপন করতে কয়েক দিন আগে থেকেই শুরু হয় প্রস্তুতি। আজ ঘটবে
সব প্রস্তুতির শেষ। হবে আনন্দ আয়োজন। হবে উৎসব। বর্ষবরণের। সারা দিন আনন্দে
কাটাবে সবাই। বাঙালি সংস্কৃতির নানা ঐতিহ্য বহন করবে শরীরের পোশাক,
র্যালি আর অনুষ্ঠানমালায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট সকালে
বের করবে সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী র্যালি। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে অস্থায়ী
প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলের
নেতা খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ দেশবাসীকে
শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট তার বাণীতে বলেন, অতীতের সব বিভেদ
ভুলে বাংলা নববর্ষ জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে আমাদের ঐক্য আরও সুদৃঢ় করবে
এবং বয়ে আনবে অফুরন্ত আনন্দের বারতা- এটাই সকলের প্রত্যাশা।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, আমি আশা করি, পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির এ চর্চা আমাদের জাতিসত্তাকে আরও বিকশিত করবে। আরও ঐক্যবদ্ধ করবে। সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শক্তি যোগাবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার বাণীতে বলেন, গত বছরের দুঃখ, অবসাদ-ক্লান্তি, হতাশা-গ্লানিকে অতিক্রম করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা নিয়ে এসেছে বাংলা নববর্ষ ১৪২০। নতুন বছরে সবার কল্যাণ কামনা করে বিরোধী নেতা বলেন, ১৪২০ বাংলা সনের নতুন প্রভাতের প্রথম আলোতে আমি দেশবাসীকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আজ সরকারি ছুটির দিন। জাতীয় দৈনিকগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ সংখ্যা। রেডিও-টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। সেই সঙ্গে আছে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নানা আয়োজন, ব্যবসায়ীদের হালখাতাও। তবে পান্তা-ইলিশ খেতে ভুল করেন না অনেকেই। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বর্ষবরণ উৎসবটি অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর রমনার বটমূলে। এটি প্রায় ৫০ বছর ধরে আয়োজন করে আসছে দেশের শীর্ষস্থানীয় সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান ছায়ানট। কৃষির সঙ্গে বাংলা নববর্ষের ঘনিষ্ঠতা জড়িয়ে আছে এ সন প্রবর্তনের সূচনা থেকেই। মোগল সম্রাট আকবর প্রচলন করেন বাংলা সনের। এর আগে মোগল বাদশাহগণ রাজকাজে ও নথিপত্রে ব্যবহার করতেন হিজরি সন। হিজরি চান্দ্র বছর, যা ন্যূনধিক ৩৫৪ দিনে পূর্ণ হয়। কিন্তু সৌর বছর পূর্ণ হয় ন্যূনধিক ৩৬৫ দিনে। বছরে প্রায় ১১ দিনের পার্থক্য হওয়ায় হিজরি সন আবর্তিত হয় এবং ৩৩ বছরের মাথায় সৌর বছরের তুলনায় এক বছর বৃদ্ধি পায়। কৃষকের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করতে হলে সারা দেশে একটি অভিন্ন সৌর বছরের প্রয়োজন। আর এ ধারণা থেকেই সম্রাট আকবর ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তা কার্যকর হয় তার সিংহাসন আরোহণের সময় অর্থাৎ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৫ই নভেম্বর থেকে। আকবরের নবরত্ন সভার আমির ফতেউল্লাহ খান সিরাজী বাংলা সন প্রবর্তনের কাজটি সম্পন্ন করেন। প্রথমে এর নাম ছিল ফসলি সন। পরে তা বঙ্গাব্দ নামে পরিচিত হয়। বৈশাখ নামটি নেয়া হয়েছিল নক্ষত্র বিশাখার নাম থেকে। আর সেই থেকে ক্রমান্বয়ে নববর্ষের ব্যাপ্তি আরও বিস্তৃত হয়েছে। এখন এটি রূপান্তরিত হয়েছে বাঙালি লোকজ উৎসবে। কালের বিবর্তনে নববর্ষের সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক পুরনো উৎসবের বিলুপ্তি ঘটেছে, আবার সংযোগ ঘটেছে অনেক নতুন উৎসবেরও। বাংলা সন। বৈশাখ। এ দু’টির সঙ্গে হালখাতা জড়িয়ে আছে ঐতিহ্য হয়ে। তবে মজার ব্যাপার হলো, পুরনো এই ‘হালখাতা’র ঐতিহ্য এখন খুব কমই দেখা যায়। যদিও অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি আজও পালিত হয়। তবে তা কম। পুরান ঢাকা আর ব্যবসায়িক লোকের কাছে এখনও জীবিত আছে। বিশেষ করে আড়তদারদের কাছে এখনও হালখাতা গুরুত্ব বহন করছে নানা কারণে। বৈশাখে আজ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে সেই হালখাতা। মিষ্টিমুখ করানো হবে ক্রেতাদের।
প্রস্তুতি শেষ: বরণের পালা
রাজধানীতে বর্ষবরণকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। দিনটিকে নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে শহরজুড়ে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রমনা উদ্যানসহ বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। রমনা বটমূলে মূলমঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রার সব প্রস্তুতিও শেষ হয়েছে গতকাল।
গতকাল বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নববর্ষের শুভেচ্ছা সংবলিত ফেস্টুনে ছেয়ে ফেলা হয়েছে রমনা উদ্যান। বটতলায় তৈরি করা হয়েছে পহেলা বৈশাখের মূলমঞ্চ। ছায়ানটের শিল্পীরা সম্মিলিত পরিবেশনা থাকবে এখানে। মূলমঞ্চ ছাড়াও বেশ কয়েকটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। নববর্ষকে ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নবরূপে সাজানো হয়েছে। এখানে উন্মুক্ত অনুষ্ঠান পরিবেশনা ছাড়াও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেয়া নানা কর্মসূচি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বর, হাকিম চত্বর, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়ও চলবে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। নিরাপত্তার স্বার্থে রমনা পার্কে বিকাল পাঁচটা এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সন্ধ্যা ৭টার পর থাকা যাবে না বলে নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ক্যাম্পাসের প্রবেশপথসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো রাস্তায় আঁকা হয়েছে বৈশাখের আলপনা। সকাল থেকে শুরু হয়ে সারা দিনই চলবে নানা অনুষ্ঠান। বাংলা একডেমী বর্ষবরণের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, আমি আশা করি, পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির এ চর্চা আমাদের জাতিসত্তাকে আরও বিকশিত করবে। আরও ঐক্যবদ্ধ করবে। সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শক্তি যোগাবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার বাণীতে বলেন, গত বছরের দুঃখ, অবসাদ-ক্লান্তি, হতাশা-গ্লানিকে অতিক্রম করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা নিয়ে এসেছে বাংলা নববর্ষ ১৪২০। নতুন বছরে সবার কল্যাণ কামনা করে বিরোধী নেতা বলেন, ১৪২০ বাংলা সনের নতুন প্রভাতের প্রথম আলোতে আমি দেশবাসীকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আজ সরকারি ছুটির দিন। জাতীয় দৈনিকগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ সংখ্যা। রেডিও-টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। সেই সঙ্গে আছে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নানা আয়োজন, ব্যবসায়ীদের হালখাতাও। তবে পান্তা-ইলিশ খেতে ভুল করেন না অনেকেই। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বর্ষবরণ উৎসবটি অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর রমনার বটমূলে। এটি প্রায় ৫০ বছর ধরে আয়োজন করে আসছে দেশের শীর্ষস্থানীয় সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান ছায়ানট। কৃষির সঙ্গে বাংলা নববর্ষের ঘনিষ্ঠতা জড়িয়ে আছে এ সন প্রবর্তনের সূচনা থেকেই। মোগল সম্রাট আকবর প্রচলন করেন বাংলা সনের। এর আগে মোগল বাদশাহগণ রাজকাজে ও নথিপত্রে ব্যবহার করতেন হিজরি সন। হিজরি চান্দ্র বছর, যা ন্যূনধিক ৩৫৪ দিনে পূর্ণ হয়। কিন্তু সৌর বছর পূর্ণ হয় ন্যূনধিক ৩৬৫ দিনে। বছরে প্রায় ১১ দিনের পার্থক্য হওয়ায় হিজরি সন আবর্তিত হয় এবং ৩৩ বছরের মাথায় সৌর বছরের তুলনায় এক বছর বৃদ্ধি পায়। কৃষকের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করতে হলে সারা দেশে একটি অভিন্ন সৌর বছরের প্রয়োজন। আর এ ধারণা থেকেই সম্রাট আকবর ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তা কার্যকর হয় তার সিংহাসন আরোহণের সময় অর্থাৎ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৫ই নভেম্বর থেকে। আকবরের নবরত্ন সভার আমির ফতেউল্লাহ খান সিরাজী বাংলা সন প্রবর্তনের কাজটি সম্পন্ন করেন। প্রথমে এর নাম ছিল ফসলি সন। পরে তা বঙ্গাব্দ নামে পরিচিত হয়। বৈশাখ নামটি নেয়া হয়েছিল নক্ষত্র বিশাখার নাম থেকে। আর সেই থেকে ক্রমান্বয়ে নববর্ষের ব্যাপ্তি আরও বিস্তৃত হয়েছে। এখন এটি রূপান্তরিত হয়েছে বাঙালি লোকজ উৎসবে। কালের বিবর্তনে নববর্ষের সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক পুরনো উৎসবের বিলুপ্তি ঘটেছে, আবার সংযোগ ঘটেছে অনেক নতুন উৎসবেরও। বাংলা সন। বৈশাখ। এ দু’টির সঙ্গে হালখাতা জড়িয়ে আছে ঐতিহ্য হয়ে। তবে মজার ব্যাপার হলো, পুরনো এই ‘হালখাতা’র ঐতিহ্য এখন খুব কমই দেখা যায়। যদিও অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি আজও পালিত হয়। তবে তা কম। পুরান ঢাকা আর ব্যবসায়িক লোকের কাছে এখনও জীবিত আছে। বিশেষ করে আড়তদারদের কাছে এখনও হালখাতা গুরুত্ব বহন করছে নানা কারণে। বৈশাখে আজ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে সেই হালখাতা। মিষ্টিমুখ করানো হবে ক্রেতাদের।
প্রস্তুতি শেষ: বরণের পালা
রাজধানীতে বর্ষবরণকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। দিনটিকে নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে শহরজুড়ে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রমনা উদ্যানসহ বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। রমনা বটমূলে মূলমঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রার সব প্রস্তুতিও শেষ হয়েছে গতকাল।
গতকাল বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নববর্ষের শুভেচ্ছা সংবলিত ফেস্টুনে ছেয়ে ফেলা হয়েছে রমনা উদ্যান। বটতলায় তৈরি করা হয়েছে পহেলা বৈশাখের মূলমঞ্চ। ছায়ানটের শিল্পীরা সম্মিলিত পরিবেশনা থাকবে এখানে। মূলমঞ্চ ছাড়াও বেশ কয়েকটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। নববর্ষকে ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নবরূপে সাজানো হয়েছে। এখানে উন্মুক্ত অনুষ্ঠান পরিবেশনা ছাড়াও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেয়া নানা কর্মসূচি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বর, হাকিম চত্বর, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়ও চলবে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। নিরাপত্তার স্বার্থে রমনা পার্কে বিকাল পাঁচটা এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সন্ধ্যা ৭টার পর থাকা যাবে না বলে নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ক্যাম্পাসের প্রবেশপথসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো রাস্তায় আঁকা হয়েছে বৈশাখের আলপনা। সকাল থেকে শুরু হয়ে সারা দিনই চলবে নানা অনুষ্ঠান। বাংলা একডেমী বর্ষবরণের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে।
No comments