পাংখোয়াদের পাহাড়ে ফেরা! by সাইদ আরমান ও মাজেদুল নয়ন
‘বড় গাছের নিচে ছোট গাছগুলো ভালো থাকে না।
এটাই যেন স্বাভাবিক।’ দীর্ঘশ্বাস ফেলে এভাবেই পাংখোয়া সম্প্রদায়ের বোবা
কান্নার কথা জানিয়ে দেন অর্জুণ পাংখো। বলেন আবারও পাহাড়ে ফিরে যাওয়ার কারণ।
তবে
পাংখোয়া আদিবাসীদের বোবা কান্না শোনার যেন কেউ নেই। শত কষ্টের মাঝে
পাবর্ত্য এলাকায় যেন বসবাস তাদের। কারো কাছে চাওয়া নেই। চাইবেনই বা কার
কাছে। তবে নিজের কথাগুলো শোনানোর তেমন কাউকে না পেলেও অসন্তোষও নেই।
সরেজমিনে পাবর্ত্য জেলা রাঙামাটিতে গিয়ে কথা হয় সেখানকার কয়েকটি পাংখোয়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। শনিবার বাংলানিউজটিম রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার দূর্গম এলাকায় সারাদিন পাংখোয়া সম্প্রদায়ের দুঃখ- না বলা কথা জানতে ঘুরে বেড়ায়। সেখানে পাংখোয়া সম্প্রদায়ের গুটি কয়েক পরিবারের সঙ্গে বাংলানিউজটিম কথা বলে জানার চেষ্টা করে তাদের বুকে-মুখে আটকে থাকা না বলা কথাগুলো।
জানা গেছে, এ সম্প্রদায়ের বিশাল জনগোষ্ঠীর বড় অংশ বাস করে প্রতিবেশী দেশ ভারতে। তবে বাংলাদেশকে ভালোবেসে নানা অভিযোগ সত্ত্বেও এখানে বসবাস করে যাচ্ছেন তারা। শত কষ্টের মাঝে আপন চরিত্র ও সংস্কৃতি নিয়ে বসবাস তাদের।
আদিবাসীদের মধ্যে পিছিয়ে পড়া এই সম্প্রদায়ের মানুষগুলোর কথা বলতেও যেন বাধা। নিজেদের অধিকারের কথা বলতে গিয়েও যেন বারবার থমকে যান। কোথায় যেন মুখ বন্ধ রয়েছে তাদের।
সম্প্রদায়টির একাধিক পরিবারের সদস্যরা বাংলানিউজকে বলেন, কী করব আমরা। কিছুই করার নেই। পিছিয়ে পড়েছি। পেছনেই থাকতে হবে। কে শুনবে আমাদের কথা। কিভাবে নিজেদের অধিকার আদায় হবে!
আরেকজন বলেন, দু’শ বছর ব্রিটিশরা শাসন করার পর পাকিস্তান হয়। তারপর হয় বাংলাদেশ। আমরা পাংখোয়ারা জানি না আমাদের ভাগ্যে কী আছে!
একাধিক পরিবারের পাংখোয়া আদিবাসীরা বলছেন, তারা আদিবাসীদের মধ্যে সব থেকে পিছিয়ে। তাই আর তাদের দিকে তাকানোর সময় নেই।
এদিকে জানা গেছে, নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় যেন এক ধরনের যুদ্ধ করেই বাঁচতে হচ্ছে তাদের। তারপরও টিকে থাকা যেন দায়। পর্যায়ক্রমে চলে যাচ্ছেন পাহাড়ের আরও ভেতরে।
জানা গেছে, উপজেলার তিন কোনিয়া মৌজাতেই এক সময় পাংখোয়া আদিবাসীদের একটি বড় অংশ বসবাস করতো। কিন্তু সেখানে তাদের সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হেডম্যান থাকলেও তাদের বসবাস আজ নেই বললেই চলে। অথচ ১৯৭৯ সাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে যাচ্ছিল তারা। তাদের নামেই গড়ে উঠেছিলো মহল্লাও।
কথা হয় বিলাইছড়ির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তিন কোনিয়া মৌজার হেডম্যান লাল এ্যাংলিয়ানার সঙ্গে। তিনি ১৯৮৩ সাল থেকে এ মৌজায় হেডম্যন হিসেবে রয়েছেন। আর ১৯৮৫ সালে নির্বাচিত হন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে। নিজের বসতবাড়িতে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমার মৌজার আয়তন হলো ৬ দশমিক ৩৫ বর্গ কিলোমিটার। তবে এখানে বর্তমানে পাংখোয়া সম্প্রদায়ের পরিবার নেই বললেই চলে। তারা পাহাড়ের ভেতরে বসবাস করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পাংখোয়া আদিবাসী বাংলানিউজকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর প্রায় ২১ বছর যারা প্রতিবাদ আর আন্দোলন করে পার্বত্য এলাকায় শান্তির জন্য কাজ করেছেন, তারা সামনে থাকবেন এটাইতো স্বাভাবিক!
সরেজমিনে পাবর্ত্য জেলা রাঙামাটিতে গিয়ে কথা হয় সেখানকার কয়েকটি পাংখোয়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। শনিবার বাংলানিউজটিম রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার দূর্গম এলাকায় সারাদিন পাংখোয়া সম্প্রদায়ের দুঃখ- না বলা কথা জানতে ঘুরে বেড়ায়। সেখানে পাংখোয়া সম্প্রদায়ের গুটি কয়েক পরিবারের সঙ্গে বাংলানিউজটিম কথা বলে জানার চেষ্টা করে তাদের বুকে-মুখে আটকে থাকা না বলা কথাগুলো।
জানা গেছে, এ সম্প্রদায়ের বিশাল জনগোষ্ঠীর বড় অংশ বাস করে প্রতিবেশী দেশ ভারতে। তবে বাংলাদেশকে ভালোবেসে নানা অভিযোগ সত্ত্বেও এখানে বসবাস করে যাচ্ছেন তারা। শত কষ্টের মাঝে আপন চরিত্র ও সংস্কৃতি নিয়ে বসবাস তাদের।
আদিবাসীদের মধ্যে পিছিয়ে পড়া এই সম্প্রদায়ের মানুষগুলোর কথা বলতেও যেন বাধা। নিজেদের অধিকারের কথা বলতে গিয়েও যেন বারবার থমকে যান। কোথায় যেন মুখ বন্ধ রয়েছে তাদের।
সম্প্রদায়টির একাধিক পরিবারের সদস্যরা বাংলানিউজকে বলেন, কী করব আমরা। কিছুই করার নেই। পিছিয়ে পড়েছি। পেছনেই থাকতে হবে। কে শুনবে আমাদের কথা। কিভাবে নিজেদের অধিকার আদায় হবে!
আরেকজন বলেন, দু’শ বছর ব্রিটিশরা শাসন করার পর পাকিস্তান হয়। তারপর হয় বাংলাদেশ। আমরা পাংখোয়ারা জানি না আমাদের ভাগ্যে কী আছে!
একাধিক পরিবারের পাংখোয়া আদিবাসীরা বলছেন, তারা আদিবাসীদের মধ্যে সব থেকে পিছিয়ে। তাই আর তাদের দিকে তাকানোর সময় নেই।
এদিকে জানা গেছে, নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় যেন এক ধরনের যুদ্ধ করেই বাঁচতে হচ্ছে তাদের। তারপরও টিকে থাকা যেন দায়। পর্যায়ক্রমে চলে যাচ্ছেন পাহাড়ের আরও ভেতরে।
জানা গেছে, উপজেলার তিন কোনিয়া মৌজাতেই এক সময় পাংখোয়া আদিবাসীদের একটি বড় অংশ বসবাস করতো। কিন্তু সেখানে তাদের সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হেডম্যান থাকলেও তাদের বসবাস আজ নেই বললেই চলে। অথচ ১৯৭৯ সাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে যাচ্ছিল তারা। তাদের নামেই গড়ে উঠেছিলো মহল্লাও।
কথা হয় বিলাইছড়ির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তিন কোনিয়া মৌজার হেডম্যান লাল এ্যাংলিয়ানার সঙ্গে। তিনি ১৯৮৩ সাল থেকে এ মৌজায় হেডম্যন হিসেবে রয়েছেন। আর ১৯৮৫ সালে নির্বাচিত হন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে। নিজের বসতবাড়িতে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমার মৌজার আয়তন হলো ৬ দশমিক ৩৫ বর্গ কিলোমিটার। তবে এখানে বর্তমানে পাংখোয়া সম্প্রদায়ের পরিবার নেই বললেই চলে। তারা পাহাড়ের ভেতরে বসবাস করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পাংখোয়া আদিবাসী বাংলানিউজকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর প্রায় ২১ বছর যারা প্রতিবাদ আর আন্দোলন করে পার্বত্য এলাকায় শান্তির জন্য কাজ করেছেন, তারা সামনে থাকবেন এটাইতো স্বাভাবিক!
No comments