গণস্বাক্ষর জমা নিয়ে স্পিকারের আশ্বাস, ৬ এপ্রিল মহাসমাবেশ
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি এবং
জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৬ দফা দাবিতে সংগৃহীত ১ কোটি ৭ হাজার
গণস্বাক্ষর সম্বলিত দাবিনামা জাতীয় সংসদের স্পিকারের হাতে তুলে দিয়েছেন
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারসহ ৩ সদস্যের একটি
প্রতিনিধিদল।
রোববার দুপুর সোয়া ২টায় জমা দেওয়া শেষে জাতীয়
ভবন থেকে বের হয়ে ডা. ইমরান এইচ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘যুদ্ধাপরাধীদের
সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি এবং জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৬ দফা
দাবিতে সংগৃহীত ১ কোটি ৭ হাজার গণস্বাক্ষর সম্বলিত দাবিনামা আমরা মাননীয়
স্পিকারের হাতে তুলে দিয়েছি। আমরা সরকারের কাছে আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ৬ দফা দাবি পূরণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার
দাবি জানিয়েছি।’’
‘‘মাননীয় স্পিকার গণস্বাক্ষরসহ দাবিনামা সর্বোচ্চ নির্বাহী প্রধানের হাতে পৌঁছে দেবেন এবং দাবি পূরণের জন্য সুপারিশ করবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন’’ বলেও জানিয়েছেন ডা. ইমরান।
ডা. ইমরান আরো বলেন, ‘‘হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে আমাদের সরাসরি কোনো বিরোধ নেই। তারা তাদের মতো কর্মসূচি চালাচ্ছে, গণজাগরণ মঞ্চ তার নিজস্ব ধারায় চলবে।’’
এ সময় তিনি আগামী ৬ এপ্রিল শাহবাগ গণজাগরণ চত্বরে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন।
এর আগে রোববার বেলা পৌনে ১২টায় গণজাগরণ চত্বর থেকে জাতীয় সংসদ অভিমুখে গণমিছিল বের হয়ে পরিরবাগ দিয়ে রওনা হতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এরপর বাংলামোটর এলে দ্বিতীয় দফায় বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশের বাধা পেরিয়ে জাতীয় সংসদ অভিমুখে রওনা হলে ফার্মগেট এলাকায় এলাইক কোম্পানির একটি বাস আড়াআড়িভাবে রেখে গণমিছিলকে বাধা দিলে রাস্তায় অবস্থান নেন গণমিছিলকারীরা।
রমনা জোনের ডিসি মারুফ হাসান গণমিছিলে বাধা প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে জানান, ‘‘আমরা নাশকতার আশঙ্কা করছি। তাই তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে।’’
পুলিশ একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে জাতীয় সংসদে যাওয়ার আহ্বান জানালে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে গণজাগরণ চত্বরসহ সারা দেশ থেকে সংগৃহীত ১ কোটি ৭ হাজার গণস্বাক্ষর সম্বলিত দাবিনামা জাতীয় সংসদের স্পিকারের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। এবং মিছিলকারীরা শাহবাগের গণজাগরণ চত্বরে ফিরে আসেন।
এ সময় ইমরান বলেন, ‘‘আমরা সংসদে আইন পাস করানোর উদ্দেশ্যে মাননীয় স্পিকারের হাতে স্মারকলিপি প্রদান করবো এবং আজ (রোববার) সন্ধ্যায় একটি সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের গণদাবি তুলে ধরবো।’’
উল্লেখ্য, শাহবাগ গণজাগরণ চত্বরে চলমান গণআন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ২৬ মার্চের মুক্তিযোদ্ধা-জনতা মহাসমাবেশ থেকে গণমিছিলসহ গণআন্দোলনের নতুন কয়েকটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। রোববার গণআন্দোলনের ৫৫তম দিনে এ গণমিছিল কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হলো।
এছাড়া ৪ এপ্রিল সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেবে গণজাগরণ মঞ্চ। ওই দিন সকাল ১১টায় গণজাগরণ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করা হবে। একই সময়ে সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। গণজাগরণ চত্বরে ৫ এপ্রিল বিকেল ৪টায় প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ৬ এপ্রিল বিকেল ৪টায় মহাসমাবেশ কর্মসূচিরও ডাক দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি এবং জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করাসহ ৬ দফা দাবিতে টানা গণআন্দোলন চলে আসছে গণজাগরণ চত্বরে। এর মধ্যে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং এদের সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়ে ২৬ মার্চের মধ্যে তা কার্যকর করার জন্য সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছিল গণজাগরণ মঞ্চ। সরকার এসব দাবি মেনে না নেওয়ায় ২৬ মার্চের মহাসমাবেশ থেকে কঠোর এসব কর্মসূচি ঘোষিত হয়।
উল্লেখ্য, জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাসহ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগের গণজাগরণ চত্বরের গণআন্দোলনের সূচনা হয় গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। পরে ৬ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়। এ গণআন্দোলনের ঢেউ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে প্রবাসেও। এরই মধ্যে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ লড়াই চলবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
‘‘মাননীয় স্পিকার গণস্বাক্ষরসহ দাবিনামা সর্বোচ্চ নির্বাহী প্রধানের হাতে পৌঁছে দেবেন এবং দাবি পূরণের জন্য সুপারিশ করবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন’’ বলেও জানিয়েছেন ডা. ইমরান।
ডা. ইমরান আরো বলেন, ‘‘হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে আমাদের সরাসরি কোনো বিরোধ নেই। তারা তাদের মতো কর্মসূচি চালাচ্ছে, গণজাগরণ মঞ্চ তার নিজস্ব ধারায় চলবে।’’
এ সময় তিনি আগামী ৬ এপ্রিল শাহবাগ গণজাগরণ চত্বরে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন।
এর আগে রোববার বেলা পৌনে ১২টায় গণজাগরণ চত্বর থেকে জাতীয় সংসদ অভিমুখে গণমিছিল বের হয়ে পরিরবাগ দিয়ে রওনা হতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এরপর বাংলামোটর এলে দ্বিতীয় দফায় বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশের বাধা পেরিয়ে জাতীয় সংসদ অভিমুখে রওনা হলে ফার্মগেট এলাকায় এলাইক কোম্পানির একটি বাস আড়াআড়িভাবে রেখে গণমিছিলকে বাধা দিলে রাস্তায় অবস্থান নেন গণমিছিলকারীরা।
রমনা জোনের ডিসি মারুফ হাসান গণমিছিলে বাধা প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে জানান, ‘‘আমরা নাশকতার আশঙ্কা করছি। তাই তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে।’’
পুলিশ একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে জাতীয় সংসদে যাওয়ার আহ্বান জানালে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে গণজাগরণ চত্বরসহ সারা দেশ থেকে সংগৃহীত ১ কোটি ৭ হাজার গণস্বাক্ষর সম্বলিত দাবিনামা জাতীয় সংসদের স্পিকারের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। এবং মিছিলকারীরা শাহবাগের গণজাগরণ চত্বরে ফিরে আসেন।
এ সময় ইমরান বলেন, ‘‘আমরা সংসদে আইন পাস করানোর উদ্দেশ্যে মাননীয় স্পিকারের হাতে স্মারকলিপি প্রদান করবো এবং আজ (রোববার) সন্ধ্যায় একটি সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের গণদাবি তুলে ধরবো।’’
উল্লেখ্য, শাহবাগ গণজাগরণ চত্বরে চলমান গণআন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ২৬ মার্চের মুক্তিযোদ্ধা-জনতা মহাসমাবেশ থেকে গণমিছিলসহ গণআন্দোলনের নতুন কয়েকটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। রোববার গণআন্দোলনের ৫৫তম দিনে এ গণমিছিল কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হলো।
এছাড়া ৪ এপ্রিল সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেবে গণজাগরণ মঞ্চ। ওই দিন সকাল ১১টায় গণজাগরণ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করা হবে। একই সময়ে সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। গণজাগরণ চত্বরে ৫ এপ্রিল বিকেল ৪টায় প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ৬ এপ্রিল বিকেল ৪টায় মহাসমাবেশ কর্মসূচিরও ডাক দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি এবং জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করাসহ ৬ দফা দাবিতে টানা গণআন্দোলন চলে আসছে গণজাগরণ চত্বরে। এর মধ্যে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং এদের সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়ে ২৬ মার্চের মধ্যে তা কার্যকর করার জন্য সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছিল গণজাগরণ মঞ্চ। সরকার এসব দাবি মেনে না নেওয়ায় ২৬ মার্চের মহাসমাবেশ থেকে কঠোর এসব কর্মসূচি ঘোষিত হয়।
উল্লেখ্য, জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাসহ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগের গণজাগরণ চত্বরের গণআন্দোলনের সূচনা হয় গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। পরে ৬ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়। এ গণআন্দোলনের ঢেউ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে প্রবাসেও। এরই মধ্যে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ লড়াই চলবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
No comments