ঢাকায় আসছে ট্রাকভর্তি ‘বিষ’র চালান! by ইশতিয়াক হুসাইন
ফল কিনতে ভয় লাগে নগরবাসীর। ফলে ফরমালিন
নতুন কিছু নয়। তবে দেশী ফলে নাকি এ ধরনের রাসায়নিক বিষক্রিয়া তেমন একটা
মেশানো হয় না। আর এ কারণে অনেকেই মৌসুমী বিভিন্ন দেশী ফল কিনছেন এবং
খাচ্ছেন অনেকটাই নিশ্চিন্তেই।
তবে বাস্তবে এতটা নিশ্চিন্ত
হওয়ার সুযোগ নেই। অন্তত এ ধরনের দেশী ফল যারা উৎপাদন করছেন তাদের ভাষ্য
অনুযায়ীই এসব ফল খেতে সাবধান হতে হবে।
শনিবার মধ্যরাতে রাজধানী ঢাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ফলের দোকানীদের আড়ৎ হিসেবে পরিচিত পুরান ঢাকার ওয়াইজ ঘাট এলাকা সরেজমিনে ঘুরে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
রাত দেড়টার দিকে সদরঘাটের কাছে ওয়াইজ ঘাটে ট্রাকের পর ট্রাক আসছে। নামছে দেশী ফল তরমুজ, কলা। পটুয়াখালীর গলাচিপা থেকে এক ট্রাক তরমুজ নিয়ে এসেছেন মো. ফিরোজুর রহমান দুদা। এই ট্রাকে প্রায় তিন হাজার তরমুজ এসেছে।
ট্রাকের পাশে বসে কথা হচ্ছিল ফিরোজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে জানান, গলাচিপার বোয়ালিয়া গ্রামে তার বাড়ি। এখানেই এ বছর তার ১০ একর জমিতে ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন তরমুজ উৎপাদনে। এর আগে এক লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন ঢাকায়। এবার তিন হাজার তরমুজ বিক্রি করছেন তিন লাখ টাকায়। আরও প্রায় তিন হাজার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন। এখান থেকে তার আয় হতে পারে আরও তিন লাখ টাকা। অর্থ্যাৎ ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে তিনি আড়াই লাখ টাকা লাভ করার আশা করছেন।
কথা বলতে বলতে তিনি এই প্রতিবেদককে তরমুজ খাওয়ার প্রস্তাব করলেন। বলা হলো, আসুন এক সঙ্গে খাই। কিন্তু আচমকাই না বলে উঠলেন তিনি। তার না বলার ধরন দেখে কিছুটা সন্দিগ্ধ হতে হলো প্রতিবেদককে। এবার অপ্রাসঙ্গিকভাবেই প্রকৃত ঘটনা বলে ফেললেন ফিরোজুর।
আসলে তরমুজের বীজ রোপন থেকে ঢাকায় আনার আগ পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে বিষ দেওয়া হয়। তাই তিনি এই তরমুজ নিজে খান না, পরিবারের সদস্যকেও খাওয়ান না! এমনকি কাছের আত্মীয়-পরিজনকেও এই তরমুজ খেতে নিষেধ করেন!
থলের বিড়াল যখন বেরিয়ে গেল- খুলে বলতেই অনুরোধ জানানো হলো তাকে। ফিরোজুর রহমান বলেন, করবেল কোম্পানির বিল্ডর, সিনজানটা কোম্পানির ভলুম প্লাসসহ তিতো, অ্যাডমারের মতো বিষাক্ত সব রাসায়নিক তিনি ব্যবহার করেন তরমুজ উৎপাদনে। বীজ রোপন থেকে শুরু করে ঢাকায় নিয়ে আসার আগ পর্যন্ত এ ধরনের বিষ স্প্রে করেন তিনি।
কিন্তু কেন- তার উত্তর বিষ না দিলে পোকামাকড়ে তরমুজ বড় হতে দেবে না, নষ্ট করে ফেলবে। তাতে লোকসান হবে।
ফিরোজুর আরও বলেন, ১০ বছর আগেও তারা এ ধরনের বিষ ব্যবহার করতেন না। প্রাকৃতিকভাবেই সব তরমুজ উৎপাদিত হতো। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে তরমুজের চাষ শুরু হওয়ার পর বিষ ব্যবহারের পরিমাণ দিনে দিনে বাড়ছে।
তার দাবি পটুয়াখালী ও ভোলায় দেশে তরমুজের একটি বড় অংশ উৎপাদিত হয়। সবখানেই এ ধরনের বিষ ব্যবহার করা হয়। বিষের বিষয়টি আরো স্পষ্ট করতে ফিরোজুর রহমান তরমুজের ওপর হাত বোলাতে বলেন।
হাত বোলানোর পর জানতে চাইলেন- হাতে কিছু লেগেছে বলে মনে হচ্ছে কিনা। হ্যাঁ বলার পর তিনি বলেন, বিষ স্প্রে করার কারণে হাতে এ ধরনের অনুভূতি লাগে।
তাহলে ট্রাকের পর ট্রাকে করে রাজধানী শহরে প্রতিদিন বস্তায় বস্তায় যে তরমুজের চালান আসছে তা তরমুজ নয়, তরমুজের বস্তার মোড়কে বিষের চালান। আর ফলের নামে রাজধানীবাসী এ ধরনের বিষ খাচ্ছেন প্রতিদিনই!
শনিবার মধ্যরাতে রাজধানী ঢাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ফলের দোকানীদের আড়ৎ হিসেবে পরিচিত পুরান ঢাকার ওয়াইজ ঘাট এলাকা সরেজমিনে ঘুরে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
রাত দেড়টার দিকে সদরঘাটের কাছে ওয়াইজ ঘাটে ট্রাকের পর ট্রাক আসছে। নামছে দেশী ফল তরমুজ, কলা। পটুয়াখালীর গলাচিপা থেকে এক ট্রাক তরমুজ নিয়ে এসেছেন মো. ফিরোজুর রহমান দুদা। এই ট্রাকে প্রায় তিন হাজার তরমুজ এসেছে।
ট্রাকের পাশে বসে কথা হচ্ছিল ফিরোজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে জানান, গলাচিপার বোয়ালিয়া গ্রামে তার বাড়ি। এখানেই এ বছর তার ১০ একর জমিতে ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন তরমুজ উৎপাদনে। এর আগে এক লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন ঢাকায়। এবার তিন হাজার তরমুজ বিক্রি করছেন তিন লাখ টাকায়। আরও প্রায় তিন হাজার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন। এখান থেকে তার আয় হতে পারে আরও তিন লাখ টাকা। অর্থ্যাৎ ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে তিনি আড়াই লাখ টাকা লাভ করার আশা করছেন।
কথা বলতে বলতে তিনি এই প্রতিবেদককে তরমুজ খাওয়ার প্রস্তাব করলেন। বলা হলো, আসুন এক সঙ্গে খাই। কিন্তু আচমকাই না বলে উঠলেন তিনি। তার না বলার ধরন দেখে কিছুটা সন্দিগ্ধ হতে হলো প্রতিবেদককে। এবার অপ্রাসঙ্গিকভাবেই প্রকৃত ঘটনা বলে ফেললেন ফিরোজুর।
আসলে তরমুজের বীজ রোপন থেকে ঢাকায় আনার আগ পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে বিষ দেওয়া হয়। তাই তিনি এই তরমুজ নিজে খান না, পরিবারের সদস্যকেও খাওয়ান না! এমনকি কাছের আত্মীয়-পরিজনকেও এই তরমুজ খেতে নিষেধ করেন!
থলের বিড়াল যখন বেরিয়ে গেল- খুলে বলতেই অনুরোধ জানানো হলো তাকে। ফিরোজুর রহমান বলেন, করবেল কোম্পানির বিল্ডর, সিনজানটা কোম্পানির ভলুম প্লাসসহ তিতো, অ্যাডমারের মতো বিষাক্ত সব রাসায়নিক তিনি ব্যবহার করেন তরমুজ উৎপাদনে। বীজ রোপন থেকে শুরু করে ঢাকায় নিয়ে আসার আগ পর্যন্ত এ ধরনের বিষ স্প্রে করেন তিনি।
কিন্তু কেন- তার উত্তর বিষ না দিলে পোকামাকড়ে তরমুজ বড় হতে দেবে না, নষ্ট করে ফেলবে। তাতে লোকসান হবে।
ফিরোজুর আরও বলেন, ১০ বছর আগেও তারা এ ধরনের বিষ ব্যবহার করতেন না। প্রাকৃতিকভাবেই সব তরমুজ উৎপাদিত হতো। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে তরমুজের চাষ শুরু হওয়ার পর বিষ ব্যবহারের পরিমাণ দিনে দিনে বাড়ছে।
তার দাবি পটুয়াখালী ও ভোলায় দেশে তরমুজের একটি বড় অংশ উৎপাদিত হয়। সবখানেই এ ধরনের বিষ ব্যবহার করা হয়। বিষের বিষয়টি আরো স্পষ্ট করতে ফিরোজুর রহমান তরমুজের ওপর হাত বোলাতে বলেন।
হাত বোলানোর পর জানতে চাইলেন- হাতে কিছু লেগেছে বলে মনে হচ্ছে কিনা। হ্যাঁ বলার পর তিনি বলেন, বিষ স্প্রে করার কারণে হাতে এ ধরনের অনুভূতি লাগে।
তাহলে ট্রাকের পর ট্রাকে করে রাজধানী শহরে প্রতিদিন বস্তায় বস্তায় যে তরমুজের চালান আসছে তা তরমুজ নয়, তরমুজের বস্তার মোড়কে বিষের চালান। আর ফলের নামে রাজধানীবাসী এ ধরনের বিষ খাচ্ছেন প্রতিদিনই!
No comments