নতুনরূপে আবার পর্দায় রত্না by কামরুজ্জামান মিলু
শনিবার বিকেল বেলা। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে রামপুরার দিকে দ্রুতবেগ
ছুটলাম। গন্তব্য রামপুরার বনশ্রী এলাকা। সেখানে অপেক্ষা করছেন চলচ্চিত্র
নায়িকা রত্না কবির সুইটি। মিডিয়া অঙ্গনে রত্না নামেই বেশি পরিচিত তিনি।
সঠিক
সময়ে রত্নার বাসায় অপেক্ষার এক পর্যায়ে দেখা হলো। ততক্ষণে আলোকচিত্রী নূর
বেশ কিছু ছবিও তুলে ফেলেছেন রত্নার। শুরু হলো আড্ডা। আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে
চলতে থাকলো তার জীবনের নানা কথা। প্রথমেই জানতে চাইলাম মিডিয়ায় আসার গল্প।
রত্না বললেন, “সে অনেক কথা। তারপরও সংক্ষেপে বলতে চাই। আমি তখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। আমার বান্ধবী পিংকি আমার কিছু ছবি আমাকে না জানিয়ে বিনোদন বিচিত্রার সুন্দরী প্রতিযোগিতায় পাঠায়। আমি তখন পড়াশুনার পাশাপাশি জাবেদ আঙ্কেলের কাছে নাচ শিখতাম। কিছুদিন পরই আমাদের বাসায় চিঠি আসে যে, আমি ঐ প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু আমার বাবা-মা এবং আমি তো অবাক। বাবা তো রেগে বেশ খানিকটা কথা শুনিয়ে ফেললেন। কিন্তু আমি এসবের কিছুই বুঝতে পারলাম না।”
আরো জানালেন, “এর পরের দিন আমি স্কুলে যাওয়ার পর জানতে পারলাম ঘটনাটা। আমি একটু খুশি হলেও মা জানিয়ে দিলেন আমার বিয়ে হয়ে গেছে। মিডিয়াতে কাজের কোনো আগ্রহ নেই এখন। মিথ্যে কথাটা বলার কারণে আমি কষ্টই পেয়েছিলাম। কিন্তু এরপর ঘটল এক আশ্চর্য ঘটনা। ছবির বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন পরিচালক শিবলি সাদিক। তিনি আমার বাসার ঠিকানায় এসে বাবার সঙ্গে কথা বললেন। অনেক কিছুর পর বাবা একটি সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য অনুমতি দেন। এরপরই ‘কেন ভালোবাসলাম’ ছবিতে ফেরদৌসের বিপরীতে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো।”
অষ্টম শ্রেণিতে থাকাকালীন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নায়িকা হয়েছেন রত্না। এই সৌভাগ্য সবার ভাগ্যে জোটে না। শিবলি সাদিক ও অজিত রায় নন্দীর যৌথ প্রযোজনায় সেলিম আজম পরিচালিত ‘কেন ভালোবাসলাম’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি মিডিয়ায় পা রাখেন। এরপর টানা ৪২টির মতো ছবি মুক্তি পেয়েছে তার। ‘ধোকা’, কাজী হায়াতের ‘ইতিহাস’, নায়ক রাজ রাজ্জাকের প্রযোজনায় ‘মরণ নিয়ে খেলা’, শাহীন-সুমনের ‘নষ্ট’, মোহাম্মদ হান্নানের ‘পড়ে না চোখের পলক’সহ বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন।
এটা ছিল রত্নার অভিনয় জীবনের প্রথম ইনিংস। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে পড়াশুনার কারণে তিন বছর বিরতির পর ২০১১-১২ সালের দিকে শাহিন-সুমনের ‘সন্তান আমার অহংকার’, ‘মন যেখানে হৃদয় সেখানে’, সন্তানের মতো সন্তান নামক তিনটি ছবি দিয়ে আবার দর্শকদের মাঝে ফিরে আসেন রত্না। তিনটি ছবিতেই তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন শাকিব খান।
আবারও ঢাকার চলচ্চিত্রে ব্যস্ত হয়ে উঠছেন রত্না। তার হাতে আছে বেশ কিছু নতুন ছবির কাজ। বর্তমানে শাহীন সুমনের ‘সেদিন বৃষ্টি ছিল’ নামে একটি ভৌতিক ছবিতে অভিনয় করছেন। এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন দুই নবাগত নায়ক সুমিত ও অভি।
নতুন কাজটি নিয়ে দারুণ আশাবাদী রত্না। তিনি বলেন, “এ ছবির গল্পটি অসাধারণ। এখানে আমার চরিত্রের নাম ‘ফুল’। টিএনএজ বয়সের ভালোবাসা নিয়ে ত্রিভুজ প্রেমের গল্প এবং সাথে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ভৌতিক দৃশ্য। আমার বিশ্বাস সর্বমহলে ছবিটি আমার উল্লেখযোগ্য একটি ছবি বলে বিবেচিত হবে।”
রত্নার বিপরীতে নায়ক হিসেবে কে থাকবেন এসব নিয়ে মোটেও ভাবেন না। বরং চরিত্র দেখে ছবি করার পক্ষপাতী। নিত্যনতুন গল্প নিয়ে নতুন কাজ করতে তিনি আগ্রহী।
অভিনয়ের পাশাপাশি এবছরই রত্না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। বাসায় বাবা এম এইচ কবির একজন প্রকৌশলী এবং মা হুসনা কবির একজন সাংবাদিক। পরিবারে রত্না সবার বড় এবং ছোট ভাই আনন্দ কবির সুইট সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে।
আড্ডার এ পর্যায়ে জানতে চাইলাম পড়াশুনা তো আপাতত শেষ। এখন ঘর-সংসার বা বিয়ে নিয়ে কিছু ভাবছেন? রত্না অনেকক্ষণ পর মিষ্টি হেসে বললেন, “ছেলেরা ভালো না। আর বিশ্বাস করতে চাই না তাদের। বাস্তবে নায়িকার চোখের পানি দেখলেও মনে করে এটা অভিনয়, সত্যিকারের কষ্ট না। আমি অনেক একা।”
এই হতাশার চিহ্নের কারণ তার চোখে খুঁজে না পেলেও বুঝলাম। আপাতত সবার জন্য হয়ত রত্না তার মনের বন্দরে টু-লেট ঝুলিয়েছেন।
রত্না আরও বলেন, “এখন ফাস্ট ক্লাস কোনো চাকরি হলে করব এবং অভিনয়ে পুরোটা সময় দিতে চাই। কারণ পড়াশুনার জন্য আমি অনেক ভালো কাজ করতে পারিনি। আর আমার অভিনয়ের শুরুটা হয়েছে বাচ্চাকালে। যখন অনেক কিছুই আমি বুঝতাম না। এখন আমার কাছে মনে হয়, যে কোনো চরিত্রকে সুন্দরভাবে বিন্যাস করে দর্শকদের সামনে উপস্থাপনের সময় আমার হয়েছে। এখনকার কাজটা আমার আগের দশটা কাজ থেকে অবশ্যই ভালো মানের হবে বলে আমার বিশ্বাস।”
নিজেকে নতুনভাবে গুছিয়ে দর্শকদের সামনে উপস্থাপনের জন্য পথ চলছেন রত্না। হয়তো এটাই তার সঠিক জায়গা।
রত্না বললেন, “সে অনেক কথা। তারপরও সংক্ষেপে বলতে চাই। আমি তখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। আমার বান্ধবী পিংকি আমার কিছু ছবি আমাকে না জানিয়ে বিনোদন বিচিত্রার সুন্দরী প্রতিযোগিতায় পাঠায়। আমি তখন পড়াশুনার পাশাপাশি জাবেদ আঙ্কেলের কাছে নাচ শিখতাম। কিছুদিন পরই আমাদের বাসায় চিঠি আসে যে, আমি ঐ প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু আমার বাবা-মা এবং আমি তো অবাক। বাবা তো রেগে বেশ খানিকটা কথা শুনিয়ে ফেললেন। কিন্তু আমি এসবের কিছুই বুঝতে পারলাম না।”
আরো জানালেন, “এর পরের দিন আমি স্কুলে যাওয়ার পর জানতে পারলাম ঘটনাটা। আমি একটু খুশি হলেও মা জানিয়ে দিলেন আমার বিয়ে হয়ে গেছে। মিডিয়াতে কাজের কোনো আগ্রহ নেই এখন। মিথ্যে কথাটা বলার কারণে আমি কষ্টই পেয়েছিলাম। কিন্তু এরপর ঘটল এক আশ্চর্য ঘটনা। ছবির বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন পরিচালক শিবলি সাদিক। তিনি আমার বাসার ঠিকানায় এসে বাবার সঙ্গে কথা বললেন। অনেক কিছুর পর বাবা একটি সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য অনুমতি দেন। এরপরই ‘কেন ভালোবাসলাম’ ছবিতে ফেরদৌসের বিপরীতে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো।”
অষ্টম শ্রেণিতে থাকাকালীন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নায়িকা হয়েছেন রত্না। এই সৌভাগ্য সবার ভাগ্যে জোটে না। শিবলি সাদিক ও অজিত রায় নন্দীর যৌথ প্রযোজনায় সেলিম আজম পরিচালিত ‘কেন ভালোবাসলাম’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি মিডিয়ায় পা রাখেন। এরপর টানা ৪২টির মতো ছবি মুক্তি পেয়েছে তার। ‘ধোকা’, কাজী হায়াতের ‘ইতিহাস’, নায়ক রাজ রাজ্জাকের প্রযোজনায় ‘মরণ নিয়ে খেলা’, শাহীন-সুমনের ‘নষ্ট’, মোহাম্মদ হান্নানের ‘পড়ে না চোখের পলক’সহ বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন।
এটা ছিল রত্নার অভিনয় জীবনের প্রথম ইনিংস। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে পড়াশুনার কারণে তিন বছর বিরতির পর ২০১১-১২ সালের দিকে শাহিন-সুমনের ‘সন্তান আমার অহংকার’, ‘মন যেখানে হৃদয় সেখানে’, সন্তানের মতো সন্তান নামক তিনটি ছবি দিয়ে আবার দর্শকদের মাঝে ফিরে আসেন রত্না। তিনটি ছবিতেই তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন শাকিব খান।
আবারও ঢাকার চলচ্চিত্রে ব্যস্ত হয়ে উঠছেন রত্না। তার হাতে আছে বেশ কিছু নতুন ছবির কাজ। বর্তমানে শাহীন সুমনের ‘সেদিন বৃষ্টি ছিল’ নামে একটি ভৌতিক ছবিতে অভিনয় করছেন। এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন দুই নবাগত নায়ক সুমিত ও অভি।
নতুন কাজটি নিয়ে দারুণ আশাবাদী রত্না। তিনি বলেন, “এ ছবির গল্পটি অসাধারণ। এখানে আমার চরিত্রের নাম ‘ফুল’। টিএনএজ বয়সের ভালোবাসা নিয়ে ত্রিভুজ প্রেমের গল্প এবং সাথে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ভৌতিক দৃশ্য। আমার বিশ্বাস সর্বমহলে ছবিটি আমার উল্লেখযোগ্য একটি ছবি বলে বিবেচিত হবে।”
রত্নার বিপরীতে নায়ক হিসেবে কে থাকবেন এসব নিয়ে মোটেও ভাবেন না। বরং চরিত্র দেখে ছবি করার পক্ষপাতী। নিত্যনতুন গল্প নিয়ে নতুন কাজ করতে তিনি আগ্রহী।
অভিনয়ের পাশাপাশি এবছরই রত্না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। বাসায় বাবা এম এইচ কবির একজন প্রকৌশলী এবং মা হুসনা কবির একজন সাংবাদিক। পরিবারে রত্না সবার বড় এবং ছোট ভাই আনন্দ কবির সুইট সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে।
আড্ডার এ পর্যায়ে জানতে চাইলাম পড়াশুনা তো আপাতত শেষ। এখন ঘর-সংসার বা বিয়ে নিয়ে কিছু ভাবছেন? রত্না অনেকক্ষণ পর মিষ্টি হেসে বললেন, “ছেলেরা ভালো না। আর বিশ্বাস করতে চাই না তাদের। বাস্তবে নায়িকার চোখের পানি দেখলেও মনে করে এটা অভিনয়, সত্যিকারের কষ্ট না। আমি অনেক একা।”
এই হতাশার চিহ্নের কারণ তার চোখে খুঁজে না পেলেও বুঝলাম। আপাতত সবার জন্য হয়ত রত্না তার মনের বন্দরে টু-লেট ঝুলিয়েছেন।
রত্না আরও বলেন, “এখন ফাস্ট ক্লাস কোনো চাকরি হলে করব এবং অভিনয়ে পুরোটা সময় দিতে চাই। কারণ পড়াশুনার জন্য আমি অনেক ভালো কাজ করতে পারিনি। আর আমার অভিনয়ের শুরুটা হয়েছে বাচ্চাকালে। যখন অনেক কিছুই আমি বুঝতাম না। এখন আমার কাছে মনে হয়, যে কোনো চরিত্রকে সুন্দরভাবে বিন্যাস করে দর্শকদের সামনে উপস্থাপনের সময় আমার হয়েছে। এখনকার কাজটা আমার আগের দশটা কাজ থেকে অবশ্যই ভালো মানের হবে বলে আমার বিশ্বাস।”
নিজেকে নতুনভাবে গুছিয়ে দর্শকদের সামনে উপস্থাপনের জন্য পথ চলছেন রত্না। হয়তো এটাই তার সঠিক জায়গা।
No comments