ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বিরুদ্ধে কর্মসূচির দরকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “ধর্মীয়
অনুভূতিতে আঘাত আনা হলে সরকার তা সহ্য করবে না। যারাই ধর্মীয় অনূভূতিতে
আঘাত হানছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নেওয়া সরকারের দায়িত্ব।”
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার বিষয়ে তাই কোনো দল বা বিশেষ গোষ্ঠীর কর্মসূচি দেওয়ার দরকার নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের মুলতবি সভায়
সূচনা বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ
হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘‘একজন মুসলমান হিসেবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বিষয়টি আমি উপলদ্ধি করতে পারি। ইতিপূর্বে মহানবী হযরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে ইউটিউবে একটি ভিডিওচিত্র ছড়ানো হয়। সরকার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। ফেসবুক, ব্লগসহ যেখানে যেখানে ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করা হয়েছে, সেগুলোও সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। এ ব্যবস্থা চলমান রয়েছে এবং আগামী দিনগুলোতেও একইভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক অবস্থায় বিএনপির দম বন্ধ হয়ে আসে। এজন্যই দলটি সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানায়। অথচ অনেক কষ্ট করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। দেশের জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কোন পরিবেশে থাকতে চায়।’’
বিরোধী দলীয় নেতার সমালোচনা করে সরকার প্রধান বলেন, ‘‘তিনি যেখানে ট্যুরে (সফর) যাবেন তার আগে সেখানে মন্দির ভাঙ্গেন। পরে সমবেদনা জানান। আগে কাটেন, পরে মলম লাগান।’’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘পাকিস্তান আমলের মতো জয় বাংলা বলে অনেক সময় মন্দিরে হামলা চালানো হয় আমাদের ঘাড়ে দোষ দেওয়ার জন্য।’’
বিরোধী দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশ ধ্বংসে উঠে পড়ে লেগেছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে বিরোধী দল আত্মঘাতী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে যা যা করা দরকার, তাই তাই করছে। তারা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ পুড়িয়ে মারছে, পুলিশ হত্যা করছে, হিন্দুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ-হামলা করছে।’’
বিরোধী দল এখন প্রকৃতির সঙ্গেও লড়াই শুরু করেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘তারা গাছ উপড়ে ফেলছে, গাছ কেটে রাস্তায় ফেলছে।’’ প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, প্রকৃতি আপনাদের সঙ্গে কি করেছে? যে প্রকৃতিরও ক্ষতি করতে হবে। ক্ষমতায় যাওয়ার এতোই খায়েস?’’
কোনো ধরনের নৈরাজ্য করা হলে সরকার তা কঠোর হস্তে দমন করবে এমন হুশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবেন, ধ্বংসযজ্ঞ চালাবেন, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। জান-মালের নিরাপত্তা দিতে যা যা করা দরকার, তাই তাই করা হবে।’’
বিরোধী দলীয় নেত্রীর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনার মনের অশান্তি। তাই দেশের জনগণকেও শান্তিতে থাকতে দেবেন না। নিজের অশান্তির জন্য দেশের মানুষের শান্তি নষ্ট করবেন না।’’
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘তিনি চান সবাই তার মতো স্বশিক্ষিত থাকুক। এজন্য এসএসসি পরীক্ষার সময় হরতাল দিয়ে তাদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত করেছেন। তিনি চান না, জাতি শিক্ষিত হোক। সচেতন হোক।’’
বিদ্যুৎ, গ্যাস পানি ব্যবহারে দেশবাসীকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিরোধী দল দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যর্থ হয়েছিলো। আমরা এসে উৎপাদন করছি। তাই তার (খালেদা) ভালো লাগে না। যে কারণে বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিচ্ছেন।’’
বিরোধী দলীয় নেত্রী মনের অশান্তি দূর করার জন্য সারা দেশে অশান্তি করে বেড়াচ্ছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “কিছু অপরাধীকে বাঁচানোর জন্য বিরোধী দল আত্মঘাতী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। যার ফলে সাধারণ জনগণ হয়রানির শিকার হচ্ছে।” সভায় সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ মার্চ এ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ২০ মার্চ রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে এ সভা মুলতবি করা হয়। চলমান অস্থির রাজনীতিতে ভবিষ্যত কর্মপন্থা ঠিক করতে সভায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘‘একজন মুসলমান হিসেবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বিষয়টি আমি উপলদ্ধি করতে পারি। ইতিপূর্বে মহানবী হযরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে ইউটিউবে একটি ভিডিওচিত্র ছড়ানো হয়। সরকার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। ফেসবুক, ব্লগসহ যেখানে যেখানে ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করা হয়েছে, সেগুলোও সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। এ ব্যবস্থা চলমান রয়েছে এবং আগামী দিনগুলোতেও একইভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক অবস্থায় বিএনপির দম বন্ধ হয়ে আসে। এজন্যই দলটি সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানায়। অথচ অনেক কষ্ট করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। দেশের জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কোন পরিবেশে থাকতে চায়।’’
বিরোধী দলীয় নেতার সমালোচনা করে সরকার প্রধান বলেন, ‘‘তিনি যেখানে ট্যুরে (সফর) যাবেন তার আগে সেখানে মন্দির ভাঙ্গেন। পরে সমবেদনা জানান। আগে কাটেন, পরে মলম লাগান।’’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘পাকিস্তান আমলের মতো জয় বাংলা বলে অনেক সময় মন্দিরে হামলা চালানো হয় আমাদের ঘাড়ে দোষ দেওয়ার জন্য।’’
বিরোধী দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশ ধ্বংসে উঠে পড়ে লেগেছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে বিরোধী দল আত্মঘাতী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে যা যা করা দরকার, তাই তাই করছে। তারা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ পুড়িয়ে মারছে, পুলিশ হত্যা করছে, হিন্দুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ-হামলা করছে।’’
বিরোধী দল এখন প্রকৃতির সঙ্গেও লড়াই শুরু করেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘তারা গাছ উপড়ে ফেলছে, গাছ কেটে রাস্তায় ফেলছে।’’ প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, প্রকৃতি আপনাদের সঙ্গে কি করেছে? যে প্রকৃতিরও ক্ষতি করতে হবে। ক্ষমতায় যাওয়ার এতোই খায়েস?’’
কোনো ধরনের নৈরাজ্য করা হলে সরকার তা কঠোর হস্তে দমন করবে এমন হুশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবেন, ধ্বংসযজ্ঞ চালাবেন, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। জান-মালের নিরাপত্তা দিতে যা যা করা দরকার, তাই তাই করা হবে।’’
বিরোধী দলীয় নেত্রীর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনার মনের অশান্তি। তাই দেশের জনগণকেও শান্তিতে থাকতে দেবেন না। নিজের অশান্তির জন্য দেশের মানুষের শান্তি নষ্ট করবেন না।’’
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘তিনি চান সবাই তার মতো স্বশিক্ষিত থাকুক। এজন্য এসএসসি পরীক্ষার সময় হরতাল দিয়ে তাদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত করেছেন। তিনি চান না, জাতি শিক্ষিত হোক। সচেতন হোক।’’
বিদ্যুৎ, গ্যাস পানি ব্যবহারে দেশবাসীকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিরোধী দল দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যর্থ হয়েছিলো। আমরা এসে উৎপাদন করছি। তাই তার (খালেদা) ভালো লাগে না। যে কারণে বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিচ্ছেন।’’
বিরোধী দলীয় নেত্রী মনের অশান্তি দূর করার জন্য সারা দেশে অশান্তি করে বেড়াচ্ছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “কিছু অপরাধীকে বাঁচানোর জন্য বিরোধী দল আত্মঘাতী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। যার ফলে সাধারণ জনগণ হয়রানির শিকার হচ্ছে।” সভায় সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ মার্চ এ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ২০ মার্চ রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে এ সভা মুলতবি করা হয়। চলমান অস্থির রাজনীতিতে ভবিষ্যত কর্মপন্থা ঠিক করতে সভায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে।
No comments