তিন জেলায় হরতাল চলছে, টিয়ারশেল
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, খুলনা ও সিরাজগঞ্জের ১৮
দল ও বিএনপির ডাকা হরতাল বিক্ষিপ্ত পিকেটিং, ককটেল বিস্ফোরণ ও টিয়ার শেল ও
রাবার বুলেট নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে চলছে। রোববার সকাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও খুলনায় সকাল-সন্ধ্যা ও সিরাজগঞ্জে অর্ধদিবস হরতাল চলছে।
সকাল
থেকে বড় কোনো সহিংসতা না ঘটলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও খুলনায় বিচ্ছিন্ন কিছু
পিকেটিং ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে
পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। এছাড়া সিরাজগঞ্জের হরতাল পরিস্থিতি
স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলানিউজের চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আসামি ধরতে যাওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জামায়াতের তিন কর্মী-সমর্থক নিহত হওয়ার প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৮ দলের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। রোববার সকাল থেকে কানসাট এলাকায় ১৪৪ ভেঙে পিকেটিং করছে হরতাল সমর্থনকারীরা।
শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত পিকেটিং ও পুলিশের গাড়ি লক্ষ করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে হরতাল সমর্থনকারীরা। এসময় পুলিশও পাল্টা রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়েছে। তবে, এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এছাড় শহরের টোলঘর এলাকায় বিভিন্ন অলিগলি থেকে বিক্ষিপ্তভাবে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ করে পিকেটিং করার চেষ্টা করছে।
এদিকে শিবগঞ্জ উপজেলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ সড়কের পাইলিংমোড়ে বিদ্যুতের খুটি ও গাছের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। কানসাট মোড় এলাকায় ১৪৪ ভেঙে পিকেটিং করেছে হরতাল সমর্থকরা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুরে আসামি ধরতে গিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষে তিন জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়। এর প্রতিবারে ওই দিনই জেলা ১৮ দলের পক্ষ থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জে রোববার সকাল সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করা হয়।
বাংলানিউজের খুলনা প্রতিনিধি জানান: খুলনার দুই উপজেলার বিএনপির দুই নেতা হত্যার প্রতিবাদে জেলার ৯ উপজেলায় রোববার বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে।
নাশকতা এড়াতে পুরো জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের পাশাপাশি শহরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মেজবাহউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, হরতালে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিটি উপজেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে রোববার ভোর থেকে জেলার ৯ উপজেলায় কিছু রিকশা ও ভ্যান চলতে দেখা গেছে। দূরপাল্লার কোনো পরিবহন শহর থেকে ছেড়ে যায়নি। সেই সঙ্গে দেশের অন্যান্য রুট থেকে কোনো বাস এ উপজেলা গুলোতে ঢুকতেও পারেনি।
সকালে ডুমুরিয়া ও তেরখাদা উপজেলায় বিছিন্ন কিছু পিকেটিং করেছে পিকেটাররা। তারা সড়কে টায়ারে আগুন দিয়ে পিকেটিং করেছে। তবে কোথাও কোনো নাশকতার খবর পাওয়া যায়নি।
খুলনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা বাংলানিউজকে জানান, ডুমুরিয়ার যুবদল নেতা গাজী নাছিম উদ্দিন সুমন (৩২) ও তেরখাদার বিএনপি নেতা মো. বুলু মোল্লার (৫২) আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে তারা এ হরতাল পালন করছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) হরতালে মিছিল ও পিকেটিং করে বাড়ি ফেরার পথে ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়েনের যুবদল সহ-সভাপতি গাজী নাছিম উদ্দিন সুমনকে (৩২) সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে গুরুতর আহত করার পর ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার।
অপরদিকে বুধবার (২৭ মার্চ) তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. বুলু মোল্লাকে (৫২) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার (২৯ মার্চ) জেলা বিএনপি ৯ উপজেলা ও দুই পৌরসভায় হরতালসহ তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে।
বাংলানিউজের সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা জানান: সিরাজগঞ্জে বিএনপির দুই কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ১৮ দলxয় জোটের ডাকা অর্ধদিবস হরতাল চলছে।
সকাল থেকে শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। দূরপাল্লা ও আন্ত:জেলা রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে শহরে কিছু রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল করছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ সড়ক হয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এখনো পর্যন্ত হরতালে মাঠে দেখা যায়নি ১৮ দলের কোন নেতাকর্মীকে।
সিরাজগঞ্জের এএসপি (সদর সার্কেল) এহসানুল কবির বাংলানিউজকে জানান, হরতালে এখন পর্যন্ত (সকাল পৌনে নয়টা) পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৯ মার্চ) সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার মৌপুর এলাকায় আসামি আটককে কেন্দ্র করে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ হয়। এতে যুবদল কর্মী ফরিদুল ও ছাত্রদল কর্মী ইউনুছ নিহত হন। আহত হয় পুলিশ সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন। প্রতিবাদে রোববার অর্ধদিবস হরতালের ডাক দেয় ১৮ দলীয় জোট।
বাংলানিউজের চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আসামি ধরতে যাওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জামায়াতের তিন কর্মী-সমর্থক নিহত হওয়ার প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৮ দলের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। রোববার সকাল থেকে কানসাট এলাকায় ১৪৪ ভেঙে পিকেটিং করছে হরতাল সমর্থনকারীরা।
শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত পিকেটিং ও পুলিশের গাড়ি লক্ষ করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে হরতাল সমর্থনকারীরা। এসময় পুলিশও পাল্টা রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়েছে। তবে, এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এছাড় শহরের টোলঘর এলাকায় বিভিন্ন অলিগলি থেকে বিক্ষিপ্তভাবে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ করে পিকেটিং করার চেষ্টা করছে।
এদিকে শিবগঞ্জ উপজেলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ সড়কের পাইলিংমোড়ে বিদ্যুতের খুটি ও গাছের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। কানসাট মোড় এলাকায় ১৪৪ ভেঙে পিকেটিং করেছে হরতাল সমর্থকরা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুরে আসামি ধরতে গিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষে তিন জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়। এর প্রতিবারে ওই দিনই জেলা ১৮ দলের পক্ষ থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জে রোববার সকাল সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করা হয়।
বাংলানিউজের খুলনা প্রতিনিধি জানান: খুলনার দুই উপজেলার বিএনপির দুই নেতা হত্যার প্রতিবাদে জেলার ৯ উপজেলায় রোববার বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে।
নাশকতা এড়াতে পুরো জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের পাশাপাশি শহরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মেজবাহউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, হরতালে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিটি উপজেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে রোববার ভোর থেকে জেলার ৯ উপজেলায় কিছু রিকশা ও ভ্যান চলতে দেখা গেছে। দূরপাল্লার কোনো পরিবহন শহর থেকে ছেড়ে যায়নি। সেই সঙ্গে দেশের অন্যান্য রুট থেকে কোনো বাস এ উপজেলা গুলোতে ঢুকতেও পারেনি।
সকালে ডুমুরিয়া ও তেরখাদা উপজেলায় বিছিন্ন কিছু পিকেটিং করেছে পিকেটাররা। তারা সড়কে টায়ারে আগুন দিয়ে পিকেটিং করেছে। তবে কোথাও কোনো নাশকতার খবর পাওয়া যায়নি।
খুলনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা বাংলানিউজকে জানান, ডুমুরিয়ার যুবদল নেতা গাজী নাছিম উদ্দিন সুমন (৩২) ও তেরখাদার বিএনপি নেতা মো. বুলু মোল্লার (৫২) আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে তারা এ হরতাল পালন করছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) হরতালে মিছিল ও পিকেটিং করে বাড়ি ফেরার পথে ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়েনের যুবদল সহ-সভাপতি গাজী নাছিম উদ্দিন সুমনকে (৩২) সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে গুরুতর আহত করার পর ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার।
অপরদিকে বুধবার (২৭ মার্চ) তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. বুলু মোল্লাকে (৫২) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার (২৯ মার্চ) জেলা বিএনপি ৯ উপজেলা ও দুই পৌরসভায় হরতালসহ তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে।
বাংলানিউজের সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা জানান: সিরাজগঞ্জে বিএনপির দুই কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ১৮ দলxয় জোটের ডাকা অর্ধদিবস হরতাল চলছে।
সকাল থেকে শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। দূরপাল্লা ও আন্ত:জেলা রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে শহরে কিছু রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল করছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ সড়ক হয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এখনো পর্যন্ত হরতালে মাঠে দেখা যায়নি ১৮ দলের কোন নেতাকর্মীকে।
সিরাজগঞ্জের এএসপি (সদর সার্কেল) এহসানুল কবির বাংলানিউজকে জানান, হরতালে এখন পর্যন্ত (সকাল পৌনে নয়টা) পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৯ মার্চ) সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার মৌপুর এলাকায় আসামি আটককে কেন্দ্র করে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ হয়। এতে যুবদল কর্মী ফরিদুল ও ছাত্রদল কর্মী ইউনুছ নিহত হন। আহত হয় পুলিশ সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন। প্রতিবাদে রোববার অর্ধদিবস হরতালের ডাক দেয় ১৮ দলীয় জোট।
No comments