‘বিশ্বজিতের হত্যাকারীরা ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী’
বিশ্বজিতের হত্যাকারীরা ছাত্রলীগের কর্মী নয় তারা ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যারা বিশ্বজিৎকে হত্যা করেছে তারা ছাত্রলীগের কর্মী নয়। তারা ছিলো ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী। ইতিমধ্যে এদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করার জন্য সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া যখন চুড়ান্ত পর্যায়ে তখন জামাত-শিবির চক্র ও বিএনপি জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য।
তিনি বলেন, তারেক-কোকোর পাহাড় সমান দুর্নীতির বিচার করার দাবি যখন গণদাবীতে পরিণত হয়েছে তখন বিএনপিসহ ১৮দলীয় জোট জনগণের জানমালের ওপর আঘাত করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চোরাগোপ্তা হামলা, গাড়ি পোড়ানো, জনগণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা গণতন্ত্রের ভাষা হতে পারে না। বিএনপি চেয়েছিল নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দু/একটা লাশ ফেলে লাশের রাজনীতি করবে। সেজন্য তারা ৯ তারিখ বিশ্বজিতের মত সাধারণ মানুষকে দুস্কৃতিকারী লেলিয়ে দিয়ে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা সংসদের যান না। তিনি সংসদে অনুপস্থিতির রেকর্ড গড়েছেন। গণতন্ত্রের সুতিকাগার হচ্ছে জাতীয় সংসদ। তিনি বিরোধী দলকে জাতীয় সংসদে এসে আলোচনা করার আহ্বান জানান। বিচারপতি নিজামুল হকের পদত্যাগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিদেশে বসবাসকারী একজন আইন বিশেষজ্ঞের সাথে বিচারপতি নিজামুল হক আইনি পরামর্শের জন্য যে আলাপ করেছেন তা অপরাধ নয়। অপরাধ হতো যদি তিনি সরকার কিংবা আওয়ামী লীগের কারও সঙ্গে আলাপ করতেন। বরং যারা স্কাইপি হ্যাক করে তাদের কথোপোকথন প্রকাশ করেছে তারা সাইবার ক্রাইম করেছে। এজন্য তাদের বিচার হওয়া উচিত। বিচারপতি পদত্যাগ করে তিনি বদান্যতার পরিচয় দিয়েছেন। বিচার ব্যবস্থাকে তিনি প্রশ্নের মুখোমুখি করতে চান নি। এজন্য তাকে আমি সাধুবাদ জানাই। সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যারা মানুষের দৈনন্দিন চলার পথে বাধা সৃষ্টি করে গাড়ি ভেঙ্গে মানুষ মেরে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তারা গণতন্ত্র বোঝে না, তারা জনগণের শত্র“।
No comments