ফখরুল কারাগারে, জামিন-রিমান্ড নামঞ্জুর by জাহাঙ্গীর সুমন ও মবিনুল ইসলাম
তুমুল উত্তেজনার মধ্য দিয়ে পল্টন ও শেরেবাংলানগর থানার পৃথক দুটি মামলায় জামিন এবং রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিকেলে প্রথমে পল্টন থানার গাড়ি পোড়ানোর মামলায় জামিন ও রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলী হোসাইন, ওই আদালতে শুনানির পর একই এজলাসে উঠেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ।
এছাড়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ মর্মে তাঁর আইনজীবীরা কারাগারে চিকিৎসার আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। তাঁকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়ারও নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট।
তিনি শেরেবাংলানগর থানার অপর এক মামলায়ও জামিন ও রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুটি মামলায় তাকে ৭ দিন করে ১৪ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল।
পল্টন থানার মামলায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের আবু আল খায়ের মাতুব্বর মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
শেরেবাংলানগর থানার অপর মামলায়ও পুলিশ বিএনপি মহাসচিবের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মহানগন পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শাহ আলম তালুকদার।
রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিন চেয়ে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি জয়নুল আবেদিন, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়াসহ প্রমুখ আইনজীবি।
বিকাল সোয়া চারটায় শুনানি শুরু হয়ে একটানা বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত চলে। শুনানি চলাকাল উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল হৈ হট্টগোল চলে। শুনানির শুরুতেই ফখরুলকে আসামিদের জন্য নির্ধারিত ডকে যাওয়ার জন্য চিৎকার করতে থাকেন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তাঁকে আইনজীবীদের বসার স্থানে সামনের কাতার বসার অনুমতি দেওয়ার আবেদন করেন।
কিন্তু আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের দাবির মুখে ম্যাজিস্ট্রেট আসামিদের জন্য নির্ধারিত স্থানেই চেয়ারে ফখরুলকে বসার অনুমতি দেন।
এছাড়া মির্জা ফখরুলের রিমান্ড আবেদনের শুনানির এক পর্যায়ে বিএনপিপন্থি এবং আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে এজলাসেই ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাতাহাতি হয়। ফখরুলের অন্যতম আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদারের ‘মিথ্যা মামলায় ফখরুলকে রিমান্ডে নিলে এ দেশে তৃতীয় শক্তি ক্ষমতায় আসবে’, এমন বক্তব্য দিলে তার প্রতিবাদে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা আদালতে হৈচৈ করেন। এসময় বিএনপিপন্থি ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু এবং ঢাকা বারের সভাপতি বিএনপিপন্থি আইনজীবী বোরহান উদ্দিনের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
মির্জা ফখরুলের রিমান্ড চেয়ে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে বলা হয়, মির্জা ফখরুল আগেই রোববার অবরোধের দিন রাস্তায় গাড়ি না বের করার জন্য নির্দেশ দেন। বের করলে তা ভাঙচুর করারও হুমকি দেন। তাঁর ও রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ২০০/২৫০ জনের একটি মিছিল চলাকালে রোববার সকাল ৭টার সময় ঢাকা সিটি করপোরেশনের ময়লা আবর্জনা ফেলার একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং ওই গাড়ির ড্রাইভার এ মামলার বাদী আয়নাল ও হেলপারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করেন। এ মামলায় ফখরুল এক নম্বর এজাহার নামীয় আসামি।
এছাড়া শেরেবাংলানগর থানার পূর্ব রাজাবাজার পান্থপথের রাস্তায় রোববার সকাল সাড়ে ৫টায় মির্জা ফখরুলের প্ররোচনায় অপর আসামিরা একটি সরকারি গাড়ি ভাংচুর করে এবং পুলিশ সদস্যদের হত্যার উদ্দেশে বোমা নিক্ষেপ করে। এ মামলায় ফখরুল এজাহার নামীয় ৬ নম্বর আসামি।
ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত তা উদ্ঘাটনের জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
মির্জা ফখরুলকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেন তাঁর আইনজীবীরা। তারা বলেন, মির্জা ফখরুল কখনই ওই মিছিলে ছিলেন না। তিনি যেখানে যান সেখানেই দেশের সব ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা তাকে ছায়ার মতো অনুসরণ করেন। তিনি এ রকম কোনো মিছিলে থাকলে ও তার নেতৃত্বে গাড়ি ভাঙচুর করলে কোনো না কোনো মিডিয়ায় আসতো। মির্জা ফখরুল ইসলামের মতো একজন লোক সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি ভাঙচুর করবে ও তার ড্রাইভারকে মারধর করবে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
তারা দাবি করেন মামলাটি মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও হয়রানিমূলক। তারা রিমান্ড আবেদন নাকচ করে মির্জা ফখরুলের জামিন চান।
দুটি মামলায় দুই দফায় শুনানি শেষে পৃথক দুই ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা ফখরুলকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় প্রিজন ভ্যানে করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মির্জা ফখরুলকে আদালতে আনা উপলক্ষে আদালত অঙ্গনে নেওয়া হয়েছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিপুলসংখ্যক পুলিশ, আর্মড পুলিশ ও দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সিএমএম আদালতে জনসাধারণের প্রবেশ সীমিত করা হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলামকে আদালতে আনা হলে বিপুলসংখ্যক বিএনপিপন্থি আইনজীবী আদালত প্রাঙ্গনে সমাবেত হন। তাঁরা তার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সময়ও স্লোগান দেওয়া হয়।
তিনি শেরেবাংলানগর থানার অপর এক মামলায়ও জামিন ও রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুটি মামলায় তাকে ৭ দিন করে ১৪ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল।
পল্টন থানার মামলায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের আবু আল খায়ের মাতুব্বর মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
শেরেবাংলানগর থানার অপর মামলায়ও পুলিশ বিএনপি মহাসচিবের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মহানগন পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শাহ আলম তালুকদার।
রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিন চেয়ে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি জয়নুল আবেদিন, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়াসহ প্রমুখ আইনজীবি।
বিকাল সোয়া চারটায় শুনানি শুরু হয়ে একটানা বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত চলে। শুনানি চলাকাল উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল হৈ হট্টগোল চলে। শুনানির শুরুতেই ফখরুলকে আসামিদের জন্য নির্ধারিত ডকে যাওয়ার জন্য চিৎকার করতে থাকেন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তাঁকে আইনজীবীদের বসার স্থানে সামনের কাতার বসার অনুমতি দেওয়ার আবেদন করেন।
কিন্তু আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের দাবির মুখে ম্যাজিস্ট্রেট আসামিদের জন্য নির্ধারিত স্থানেই চেয়ারে ফখরুলকে বসার অনুমতি দেন।
এছাড়া মির্জা ফখরুলের রিমান্ড আবেদনের শুনানির এক পর্যায়ে বিএনপিপন্থি এবং আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে এজলাসেই ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাতাহাতি হয়। ফখরুলের অন্যতম আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদারের ‘মিথ্যা মামলায় ফখরুলকে রিমান্ডে নিলে এ দেশে তৃতীয় শক্তি ক্ষমতায় আসবে’, এমন বক্তব্য দিলে তার প্রতিবাদে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা আদালতে হৈচৈ করেন। এসময় বিএনপিপন্থি ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু এবং ঢাকা বারের সভাপতি বিএনপিপন্থি আইনজীবী বোরহান উদ্দিনের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
মির্জা ফখরুলের রিমান্ড চেয়ে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে বলা হয়, মির্জা ফখরুল আগেই রোববার অবরোধের দিন রাস্তায় গাড়ি না বের করার জন্য নির্দেশ দেন। বের করলে তা ভাঙচুর করারও হুমকি দেন। তাঁর ও রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ২০০/২৫০ জনের একটি মিছিল চলাকালে রোববার সকাল ৭টার সময় ঢাকা সিটি করপোরেশনের ময়লা আবর্জনা ফেলার একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং ওই গাড়ির ড্রাইভার এ মামলার বাদী আয়নাল ও হেলপারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করেন। এ মামলায় ফখরুল এক নম্বর এজাহার নামীয় আসামি।
এছাড়া শেরেবাংলানগর থানার পূর্ব রাজাবাজার পান্থপথের রাস্তায় রোববার সকাল সাড়ে ৫টায় মির্জা ফখরুলের প্ররোচনায় অপর আসামিরা একটি সরকারি গাড়ি ভাংচুর করে এবং পুলিশ সদস্যদের হত্যার উদ্দেশে বোমা নিক্ষেপ করে। এ মামলায় ফখরুল এজাহার নামীয় ৬ নম্বর আসামি।
ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত তা উদ্ঘাটনের জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
মির্জা ফখরুলকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেন তাঁর আইনজীবীরা। তারা বলেন, মির্জা ফখরুল কখনই ওই মিছিলে ছিলেন না। তিনি যেখানে যান সেখানেই দেশের সব ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা তাকে ছায়ার মতো অনুসরণ করেন। তিনি এ রকম কোনো মিছিলে থাকলে ও তার নেতৃত্বে গাড়ি ভাঙচুর করলে কোনো না কোনো মিডিয়ায় আসতো। মির্জা ফখরুল ইসলামের মতো একজন লোক সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি ভাঙচুর করবে ও তার ড্রাইভারকে মারধর করবে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
তারা দাবি করেন মামলাটি মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও হয়রানিমূলক। তারা রিমান্ড আবেদন নাকচ করে মির্জা ফখরুলের জামিন চান।
দুটি মামলায় দুই দফায় শুনানি শেষে পৃথক দুই ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা ফখরুলকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় প্রিজন ভ্যানে করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মির্জা ফখরুলকে আদালতে আনা উপলক্ষে আদালত অঙ্গনে নেওয়া হয়েছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিপুলসংখ্যক পুলিশ, আর্মড পুলিশ ও দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সিএমএম আদালতে জনসাধারণের প্রবেশ সীমিত করা হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলামকে আদালতে আনা হলে বিপুলসংখ্যক বিএনপিপন্থি আইনজীবী আদালত প্রাঙ্গনে সমাবেত হন। তাঁরা তার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সময়ও স্লোগান দেওয়া হয়।
No comments