পদত্যাগ করলেন বিচারপতি নিজামুল হক
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক পদত্যাগ করেছেন। গতকাল বিকালে প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমান বরাবর লেখা পদত্যাগপত্র তিনি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেন।
ব্রাসেলস-এ বসবাসকারী আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে স্কাইপ কথোপকথন নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের পটভূমিতেই পদত্যাগ করলেন বিচারপতি নিজামুল হক। তবে ট্রাইব্যুনাল থেকে পদত্যাগ করলেও হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করে যাবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।
আইনমন্ত্রী বলেছেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্যই বিচারপতি নিজামুল হক পদত্যাগ করেছেন। আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে বিচারপতি নিজামুল হকের কথোপকথন নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীনসহ শীর্ষ আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেন। পদত্যাগে বিচারপতি নিজামুল হককে এক সপ্তাহ সময়ও বেঁধে দেয়া হয়। এ অবস্থায় গতকাল ট্রাইব্যুনালে আসেননি বিচারপতি হক। বিকালে তার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যায় তার বাসায় মিডিয়াকর্মীরা ভিড় করলেও তিনি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কোন কথা বলেননি। ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যানের পদত্যাগের ব্যাপারে ডিফেন্স টিমের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক মানবজমিনকে বলেন, চেয়ারম্যান পদত্যাগ করে ভাল কাজ করেছেন। কিন্তু তার সম্পর্কে পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তাতে পুরো বিচার প্রক্রিয়াই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে। দেখা গেছে, কিভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য দিতে শিখিয়ে দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় সরকার যদি বিচার করতে চায় তাহলে নতুন বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে নতুন করে বিচার করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ২০১০ সালের ২৫শে মার্চ বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। ওই ট্রাইব্যুনালের সদস্য জহির আহমেদ এর আগে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন। ট্রাইব্যুনাল ১-এ জামায়াত ও বিএনপির কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতার বিচার চলছে। জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে এরই মধ্যে শুনানি শেষ হয়েছে। যে কোন দিন তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। বিচারপতি নিজামুল হকের পদত্যাগের পর এখন বিষয়টি কোন দিকে গড়ায় তাই দেখার বিষয়। আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম অবশ্য বলেছেন, সাঈদী ও গোলাম আযমের মামলায় কোন সমস্যা হবে না। তবে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, সাঈদীর মামলাটিতে নতুন করে চার্জ গঠন করতে হবে। বিচারপতি নিজামুল হক ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকার সময় হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের আমলে তার চাকরি স্থায়ী হয়নি। পরে তিনিসহ বাদপড়া ১০ অতিরিক্ত বিচারপতি তাদের চাকরি স্থায়ী না করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। হাইকোর্ট তাদেরকে জ্যেষ্ঠতাসহ স্থায়ী নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টেরই প্রায় ২৯ বিচারপতি আপিল বিভাগে আপিল করেন। আপিল বিভাগ ১০ বিচারপতির স্থায়ী নিয়োগের বিষয়টি বহাল রাখলেও জ্যেষ্ঠতার বিষয়টি বাদ দেন। পরে বর্তমান সরকারের আমলেই বিচারপতি মো. নিজামুল হকসহ বাকিরা হাইকোর্টে নিয়োগ পান। বিচারপতি নিজামুল হককে ট্রাইব্যুনাল থেকে প্রত্যাহারে আসামিপক্ষ এর আগে একাধিক আবেদন করলেও ট্রাইব্যুনাল ও হাইকোর্ট ওইসব আবেদন নাকচ করে দেয়। আসামি পক্ষের অভিযোগ, যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে গঠিত গণআদালতের বিচার কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বিচারপতি হক।
একটি টেলিফোনে নতুন মোড়: ৫ই ডিসেম্বর বিচারপতি মো. নিজামুল হকের টেলিফোনে একটি ফোন আসে বৃটেনের বিখ্যাত ম্যাগাজিন ইকোনমিস্ট থেকে। তিনি নিজেই পরদিন আদেশ দিয়ে বিষয়টি জানান। তিনি জানিয়েছিলেন, ইকোনমিস্ট থেকে তাকে ফোন করে বলা হয় তিনি ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে স্কাইপ-এ যে আলোচনা করেছেন তার রেকর্ড ইকোনমিস্টের কাছে আছে। এ ব্যাপারে ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করা হয়। চেয়ারম্যানকে এও বলা হয়, তিনি প্রতিনিয়ত আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে স্কাইপ-এ কথা বলেছেন এবং ই-মেইলের মাধ্যমে তার পরামর্শ নিয়েছেন। ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানকে যেসব ই-মেইল করেছেন তা-ও ইকোনমিস্টের কাছে রয়েছে। পরে ৬ই ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল এসব তথ্য প্রকাশ না করতে ইকোনমিস্ট নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে ইকোনমিস্টের দক্ষিণ এশিয়া ব্যুরোর প্রধান অ্যাডাম রবার্ট ও পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক রব জিফোর্ডকে শোকজ নোটিশ করা হয়। অবশ্য ট্রাইব্যুনালের আদেশে স্বীকার করা হয় যে, তিনি ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম ও আদেশের ব্যাপারে আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে পরামর্শ করেছিলেন। ৮ই ডিসেম্বর এক প্রতিবেদনে ইকোনমিস্ট দাবি করে, বিচারপতি নিজামুল হক দুই ধরনের কথা বলছেন। কারণ ইকোনমিস্ট থেকে তাকে ফোন করা হলে তিনি বলেছিলেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে তিনি আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে কোন কথা বলেননি। এমনকি বিচারাধীন বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা তাদের স্ত্রীদের সঙ্গেও কোন কথা বলেন না বলে তিনি দাবি করেছিলেন। ইকোনমিস্ট পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে জানিয়ে বলে, তদন্ত শেষে সত্যতা পেলে এবং জনস্বার্থ থাকলে বিষয়টি প্রকাশ করা হবে।
গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া, তারা একটা রায় চায়: ক্যাসেট কেলেঙ্কারি উদঘাটন করেছিল মানবজমিন। পতিত স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদের সঙ্গে হাইকোর্টের এক বিচারপতির কথোপকথনের রাজকীয় কেলেঙ্কারির খসড়া প্রকাশ করা হয়েছিল। সে কেলেঙ্কারি মাথায় নিয়ে পদ হারিয়েছিলেন বিচারপতি লতিফুর রহমান। এর ১২ বছর পর স্কাইপ-এ কথোপকথনের বিতর্ক মাথায় নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে বিদায় নিলেন বিচারপতি মো. নিজামুল হক। সংবাদ প্রকাশে ইকোনমিস্টকে নিষেধাজ্ঞা দিলেও বাংলাদেশের কোন সংবাদ মাধ্যমের প্রতি নিষেধাজ্ঞা দেননি বিচারপতি মো. নিজামুল হক। ৯ই ডিসেম্বর প্রথম বোমাটি ফাটায় ঢাকার দৈনিক আমার দেশ। প্রথম দিনই আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে তার কথোপকথন নিয়ে কয়েকটি সংবাদ প্রকাশ করে পত্রিকাটি। ১৭ ঘণ্টার কথোপকথনের কথাও বলা হয়। যেখানে দেখা যায় হজে যাওয়ার আগে বিচারপতি মো. নিজামুল হকের বাসায় গিয়েছিলেন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। ১৪ই অক্টোবর কথোপকথনের এক পর্যায়ে বিচারপতি নিজামুল হক আহমেদ জিয়াউদ্দিনকে বলেন, গভর্নমেন্ট রায়ের জন্য পাগল হইয়া গেছে। সাঈদীরটা হলে ডিসেম্বরের মধ্যে রায় দিতে পারবো। গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়্যা। তারা একটা রায় চায়। ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের নিয়োগ সম্পর্কে ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের চয়েসও না। আমার জানামতে ল’ মিনিস্টারের চয়েসও না। কিন্তু তার নাম আইস্যা চিফ জাস্টিসের রিকমান্ডেশনও হইয়া গেছে। সে জজ কোর্টের ল’ ইয়ার ছিল। জজ কোর্টের লেভেল থেকে মনে হয় হইছে। কামরুল-টামরুল করছে আর কি। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সততা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলাগুলো সম্পর্কে বিচারপতি হক আহমেদ জিয়াউদ্দিনকে বলেন, শোনেন, আমি একটা জিনিস মনে করি। যেটা আমার ব্যক্তিগত মতামত যে, সম্ভব হইলে গোলাম আযম ফার্স্ট, সাঈদী সেকেন্ড, কাদের মোল্লা থার্ড। আর যদি তা প্রবলেম হয়, তাহলে সাঈদী ফার্স্ট, গোলাম আযম সেকেন্ড, কাদের মোল্লা থার্ডই থাক। কেননা, সাঈদীর কেইসটা ডিফারেন্ট। এ সাঈদীর কেইসটার লগে আইনের সম্পর্ক খুব বেশি না। এডা আমাদের দেশি দরবারের মতোই। এই গোলাম আযম হইলো টিম লিড্যার। সাঈদী সাইড ট্র্যাক। বিচারপতি নিজামুল হকের আপিল বিভাগে নিয়োগ নিয়েও আলোচনা হয় স্কাইপ কথোপকথনে। যেখানে বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, সিনহা বাবু কইছে ডিসেম্বরের মধ্যে তিনডা দিয়া লন। তারপর আমরা আপনারে এহানে নিয়া আসি। ড. কামাল ক্রিমিনাল বোঝে না, আমীর-উল গ্যানজাম করে, ওয়ালিউর চোর- এমন কথাও বলেন বিচারপতি হক। রায়ের ব্যাপারে আহমেদ জিয়াউদ্দিন কিভাবে তাকে পরামর্শ দিতেন তা-ও ফুটে উঠে স্কাইপ সংলাপে। যেখানে বিচারপতি নিজামুল হক বলেছিলেন, এই জিনিসগুলোর রিপলাইডা আপনি যদি একটু ইয়ে করে দেন আমাকে, তাইলে আমি জাজমেন্টের জন্য একটু রেডি হইতে পারি। ট্রাইব্যুনালের সাবেক সদস্য জহির আহমেদকে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ তার বাসায় ডেকে নিয়ে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন তা-ও জানা গেছে স্কাইপ সংলাপ থেকে।
সবশেষ: নানা সূত্রে জানা গেছে, ট্রাইব্যুাল ২-এর চেয়ারম্যান এটিএম ফজলে কবীরকে ট্রাইব্যুনাল ১-এর চেয়ারম্যান করা হতে পারে।
গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া, তারা একটা রায় চায়: ক্যাসেট কেলেঙ্কারি উদঘাটন করেছিল মানবজমিন। পতিত স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদের সঙ্গে হাইকোর্টের এক বিচারপতির কথোপকথনের রাজকীয় কেলেঙ্কারির খসড়া প্রকাশ করা হয়েছিল। সে কেলেঙ্কারি মাথায় নিয়ে পদ হারিয়েছিলেন বিচারপতি লতিফুর রহমান। এর ১২ বছর পর স্কাইপ-এ কথোপকথনের বিতর্ক মাথায় নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে বিদায় নিলেন বিচারপতি মো. নিজামুল হক। সংবাদ প্রকাশে ইকোনমিস্টকে নিষেধাজ্ঞা দিলেও বাংলাদেশের কোন সংবাদ মাধ্যমের প্রতি নিষেধাজ্ঞা দেননি বিচারপতি মো. নিজামুল হক। ৯ই ডিসেম্বর প্রথম বোমাটি ফাটায় ঢাকার দৈনিক আমার দেশ। প্রথম দিনই আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে তার কথোপকথন নিয়ে কয়েকটি সংবাদ প্রকাশ করে পত্রিকাটি। ১৭ ঘণ্টার কথোপকথনের কথাও বলা হয়। যেখানে দেখা যায় হজে যাওয়ার আগে বিচারপতি মো. নিজামুল হকের বাসায় গিয়েছিলেন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। ১৪ই অক্টোবর কথোপকথনের এক পর্যায়ে বিচারপতি নিজামুল হক আহমেদ জিয়াউদ্দিনকে বলেন, গভর্নমেন্ট রায়ের জন্য পাগল হইয়া গেছে। সাঈদীরটা হলে ডিসেম্বরের মধ্যে রায় দিতে পারবো। গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়্যা। তারা একটা রায় চায়। ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের নিয়োগ সম্পর্কে ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের চয়েসও না। আমার জানামতে ল’ মিনিস্টারের চয়েসও না। কিন্তু তার নাম আইস্যা চিফ জাস্টিসের রিকমান্ডেশনও হইয়া গেছে। সে জজ কোর্টের ল’ ইয়ার ছিল। জজ কোর্টের লেভেল থেকে মনে হয় হইছে। কামরুল-টামরুল করছে আর কি। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সততা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলাগুলো সম্পর্কে বিচারপতি হক আহমেদ জিয়াউদ্দিনকে বলেন, শোনেন, আমি একটা জিনিস মনে করি। যেটা আমার ব্যক্তিগত মতামত যে, সম্ভব হইলে গোলাম আযম ফার্স্ট, সাঈদী সেকেন্ড, কাদের মোল্লা থার্ড। আর যদি তা প্রবলেম হয়, তাহলে সাঈদী ফার্স্ট, গোলাম আযম সেকেন্ড, কাদের মোল্লা থার্ডই থাক। কেননা, সাঈদীর কেইসটা ডিফারেন্ট। এ সাঈদীর কেইসটার লগে আইনের সম্পর্ক খুব বেশি না। এডা আমাদের দেশি দরবারের মতোই। এই গোলাম আযম হইলো টিম লিড্যার। সাঈদী সাইড ট্র্যাক। বিচারপতি নিজামুল হকের আপিল বিভাগে নিয়োগ নিয়েও আলোচনা হয় স্কাইপ কথোপকথনে। যেখানে বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, সিনহা বাবু কইছে ডিসেম্বরের মধ্যে তিনডা দিয়া লন। তারপর আমরা আপনারে এহানে নিয়া আসি। ড. কামাল ক্রিমিনাল বোঝে না, আমীর-উল গ্যানজাম করে, ওয়ালিউর চোর- এমন কথাও বলেন বিচারপতি হক। রায়ের ব্যাপারে আহমেদ জিয়াউদ্দিন কিভাবে তাকে পরামর্শ দিতেন তা-ও ফুটে উঠে স্কাইপ সংলাপে। যেখানে বিচারপতি নিজামুল হক বলেছিলেন, এই জিনিসগুলোর রিপলাইডা আপনি যদি একটু ইয়ে করে দেন আমাকে, তাইলে আমি জাজমেন্টের জন্য একটু রেডি হইতে পারি। ট্রাইব্যুনালের সাবেক সদস্য জহির আহমেদকে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ তার বাসায় ডেকে নিয়ে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন তা-ও জানা গেছে স্কাইপ সংলাপ থেকে।
সবশেষ: নানা সূত্রে জানা গেছে, ট্রাইব্যুাল ২-এর চেয়ারম্যান এটিএম ফজলে কবীরকে ট্রাইব্যুনাল ১-এর চেয়ারম্যান করা হতে পারে।
No comments