ছাত্রলীগ ও ট্রাইব্যুনাল ইস্যুতে বিব্রত সরকার by শামীম খান
বিশ্বজ্যিৎ দাস হত্যাকাণ্ড ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের পদত্যাগের ঘটনায় আবারো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে সরকার।
এ দুই ঘটনায় সরকারকে মারাত্মক সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয়েছে। সব মহল থেকেই এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
গত ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধ চলাকালে পুরান ঢাকায় বিশ্বজ্যিৎ দাস নামে এক যুবককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
হত্যাকারীদের প্রত্যেকেই ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই দায় এসে পড়েছে সরকারের উপর।
বিষয়টি নিয়ে সরকার ও দল মারাত্মক অস্বস্তিতে রয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
এ জন্য হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।
এদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচাপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপিতে বিদেশে কথোপকথন এবং তার পদত্যাগের ঘটনায়ও সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি মিডিয়াতে প্রকাশিত বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপি কথোপকথনে সরকারকে নিয়ে নানা মন্তব্য রয়েছে।
এ বিষয়টি মিডিয়াতে আসার পর মঙ্গলবার বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে জামায়াত রাজপথের আন্দোলনসহ নানা তৎপরতা শুরু করেছে। এরইমধ্যে বিরোধী দল বিএনপিও জামায়াতের সঙ্গে আন্দোলনে নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের এ ঘটনা সরকারকে কিছুটা হলেও অসস্তিতে ফেলে দিয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের এক নেতা মন্তব্য করেন।
তবে এ ঘটনায় বিচার কার্যক্রমের কোনো সমস্যা হবে না বলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং দলের সভাপতিমন্ডলীর আরেক সদস্য প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, পদ্মাসেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের দুনীতির অভিযোগ এবং অর্থায়ন বাতিল, হলমার্ক কেলেঙ্কারির সমালোচনা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই সরকারের সামনে নতুন করে আরো এই দুই ঘটনা উপস্থিত হয়।
বিশ্বজ্যিৎ হত্যাকাণ্ড ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাব্যুনাল থেকে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের পদত্যাগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে মতিয়া চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়, এটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “সরকার বসে নেই। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের প্রক্রিয়া কারা শুরু করেছে সেটাও দেখতে হবে। অবরোধ কারা ডেকেছে। তারা হরতাল ডেকে আগের দিন বাসের মধ্যে ঘুমন্ত ড্রাইভারকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ব্যাহত করতে জাতীয়, আন্তর্জাতিকভাবে যে চক্রান্ত চলছে এটা তারই অংশ। তবে এ জন্য ট্রাইব্যুনালের কোনো সমস্যা হবে না। বিচারক মারা গেলে বিচার, আদালত তো থেমে থাকে না। বিচার হবে, রায় হবে- এটা বুঝতে পেরে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ থেকে নানা ধরনের তৎপরতা চালানো হচ্ছে।”
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বাংলানিউজকে বলেন, “বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম হয়তো মনে করেছেন তিনি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন তাই তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে পদত্যাগ করেছেন। এতে স্বচ্ছ বিচারের প্রক্রিয়া আরো নিশ্চিত হয়েছে। বিচার স্বচ্ছ হয়নি এটা কেউ বলতে পারবে না। তার এই পদক্ষেপ ইতিবাচক বলবো।”
হত্যাকারীদের প্রত্যেকেই ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই দায় এসে পড়েছে সরকারের উপর।
বিষয়টি নিয়ে সরকার ও দল মারাত্মক অস্বস্তিতে রয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
এ জন্য হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।
এদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচাপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপিতে বিদেশে কথোপকথন এবং তার পদত্যাগের ঘটনায়ও সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি মিডিয়াতে প্রকাশিত বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপি কথোপকথনে সরকারকে নিয়ে নানা মন্তব্য রয়েছে।
এ বিষয়টি মিডিয়াতে আসার পর মঙ্গলবার বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে জামায়াত রাজপথের আন্দোলনসহ নানা তৎপরতা শুরু করেছে। এরইমধ্যে বিরোধী দল বিএনপিও জামায়াতের সঙ্গে আন্দোলনে নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের এ ঘটনা সরকারকে কিছুটা হলেও অসস্তিতে ফেলে দিয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের এক নেতা মন্তব্য করেন।
তবে এ ঘটনায় বিচার কার্যক্রমের কোনো সমস্যা হবে না বলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং দলের সভাপতিমন্ডলীর আরেক সদস্য প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, পদ্মাসেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের দুনীতির অভিযোগ এবং অর্থায়ন বাতিল, হলমার্ক কেলেঙ্কারির সমালোচনা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই সরকারের সামনে নতুন করে আরো এই দুই ঘটনা উপস্থিত হয়।
বিশ্বজ্যিৎ হত্যাকাণ্ড ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাব্যুনাল থেকে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের পদত্যাগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে মতিয়া চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়, এটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “সরকার বসে নেই। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের প্রক্রিয়া কারা শুরু করেছে সেটাও দেখতে হবে। অবরোধ কারা ডেকেছে। তারা হরতাল ডেকে আগের দিন বাসের মধ্যে ঘুমন্ত ড্রাইভারকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ব্যাহত করতে জাতীয়, আন্তর্জাতিকভাবে যে চক্রান্ত চলছে এটা তারই অংশ। তবে এ জন্য ট্রাইব্যুনালের কোনো সমস্যা হবে না। বিচারক মারা গেলে বিচার, আদালত তো থেমে থাকে না। বিচার হবে, রায় হবে- এটা বুঝতে পেরে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ থেকে নানা ধরনের তৎপরতা চালানো হচ্ছে।”
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বাংলানিউজকে বলেন, “বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম হয়তো মনে করেছেন তিনি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন তাই তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে পদত্যাগ করেছেন। এতে স্বচ্ছ বিচারের প্রক্রিয়া আরো নিশ্চিত হয়েছে। বিচার স্বচ্ছ হয়নি এটা কেউ বলতে পারবে না। তার এই পদক্ষেপ ইতিবাচক বলবো।”
No comments