মনে পড়ছে বাবার কথা
হরভজন সিংয়ের গোটা ক্যারিয়ারেই জড়িয়ে আছে ব্যবসায়ী বাবা সরদার সারদেভ সিংয়ের স্বপ্ন। বাবার স্বপ্নই যেমন হরভজন সিংকে পরিবারের ঐতিহ্য ভেঙে বানিয়েছে ক্রিকেটার, তেমনি একদিন বাবার কারণেই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন ক্রিকেট, বাবার মৃত্যুশোকে হতাশ হয়ে। আবার ফিরিয়েও এনেছে বাবার স্বপ্ন।
স্মৃতিচারণার জন্যও স্মরণীয় উপলক্ষ চাই। পরশু সে রকমই এক উপলক্ষ পেয়ে গেলেন হরভজন। ক্যারিয়ারের ৯৬তম টেস্টের ২৬,৯৬১তম বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান কার্লটন বাফকে বোল্ড করেই হরভজন ইতিহাসের ১১তম, তৃতীয় ভারতীয় এবং চতুর্থ স্পিনার হিসেবে ঢুকে পড়েন টেস্টের ‘৪০০’ উইকেটের অভিজাত ক্লাবে।
মুরালিধরন (৮০০), শেন ওয়ার্নরা (৭০৮) উইকেটের হিসাবটা এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যে সেখানে দাঁড়িয়ে ৪০০ উইকেটকে খুব ‘বড়’ অর্জন মনে হয় না! কিন্তু বাস্তবতা বলে অন্য কথা। ওপরের তথ্যই বলে হরভজনের ৪০০ উইকেটের মাহাত্ম্য। ১৩৪ বছরের টেস্ট ইতিহাসে তাঁর আগে মাত্র ১০ জন বোলার ছুঁতে পেরেছেন এই মাইলফলক।
১৯৯৮ সালের মার্চে অভিষেক টেস্টে হরভজনের প্রথম শিকার অস্ট্রেলিয়ার গ্রেগ ব্লিউয়েট। ১৩ বছর পেরিয়ে একজনকে বোল্ড করেই পেলেন ‘৪০০তম’ উইকেটটি।
স্মরণীয় এই কীর্তি হরভজনকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় অতীতে, ‘ক্যারিয়ারে অনেক খারাপ সময় গেছে। অনেক উত্থান-পতনের ভেতর দিয়ে আসতে হয়েছে। তবে আমার ক্যারিয়ারে পতনের দিকটাই বেশি। আমি কঠোরভাবে তা সামলেছি। বাবার মৃত্যুটাই ছিল আমার সবচেয়ে বাজে সময়। এরপর ক্রিকেট খেলারই ইচ্ছা ছিল না আমার। যেভাবেই হোক, আমার পরিবার আমাকে বোঝাতে সক্ষম হয় যে বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই আমাকে খেলতে হবে। তিনি যেখানেই থাকুন, আজ তাঁর ছেলের বিশেষ এই অর্জনে অবশ্যই গর্বিত হবেন।’
অনিল কুম্বলে (৬১৯), কপিল দেবের (৪৩৪) পর তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে ৪০০ উইকেট ক্লাবে। হরভজনের উচ্ছ্বাস তাই পাচ্ছে বাড়তি মাত্রা, ‘৪০০ উইকেট নেওয়াটা বিশেষ কিছু। খুব বেশি মানুষ এটা করতে পারেনি। ঈশ্বর আমাকে এটা করতে দেওয়ায় আমি খুশি। সেই সব গ্রেটের পাশে বসতে পেরে আমি খুশি এবং গর্বিত, যারা নিজেদের এবং দেশকে সম্মানিত করেছে। ক্রিকেটে আমার যাত্রাকে আমি উপভোগ করেছি এবং এ জন্য আমি ১৯৯৮ থেকে আজ পর্যন্ত আমার সব সতীর্থকে ধন্যবাদ জানাই।’
১৩ বছরের ক্যারিয়ারে নিজের অর্জনে তৃপ্ত, তবে ‘ভাজ্জি’ এখানেই থেমে থাকতে চান না, ‘আমার বয়স ৩১। এখনো ক্রিকেটকে অনেক কিছুই দেওয়ার আছে। আমি শুধু নিশ্চিত করতে চাই, আমাকে সুস্থ থাকতে হবে এবং বিশেষ কিছু অর্জন করতে হবে।’
হরভজনের সাফল্যের প্রেরণাদাত্রী আছেন আরও একজন—শচীন টেন্ডুলকার। হরভজনই বলছেন টেন্ডুলকার তাঁর বোলিংয়ে অনেক সাহায্য করেছেন, ‘নেটে যখন ওকে বল করি, আমি সব সময়ই জানতে চাই কী ঘটছে এবং এই উইকেটে আমার কী করা উচিত। যেকোনো সফরে, হোক অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউজিল্যান্ডে, আমি তাঁর কাছে জানতে চাই এবং পরামর্শ নিই।’
টেন্ডুলকার বিশেষ একটা ডেলিভারিও শিখিয়েছেন হরভজনকে, ‘সে আমাকে নতুন একটা ডেলিভারি শিখিয়েছে—স্লাইডার। ওয়ানডেতে এটা খুবই কার্যকর। এমনকি টেস্টেও। ওই বলে আমি গোটা দুয়েক উইকেট পেয়েছি। বলটা ধরবেন অফ স্পিনারের মতো, কিন্তু ছাড়বেন এক আঙুলে। সুতরাং, এটি যাবে আউট সুইঙ্গারের মতো। তবে এ শুধু নতুন বলেই সম্ভব। এ জন্য বল নতুন থাকতে থাকতেই আমি আসি।
স্মৃতিচারণার জন্যও স্মরণীয় উপলক্ষ চাই। পরশু সে রকমই এক উপলক্ষ পেয়ে গেলেন হরভজন। ক্যারিয়ারের ৯৬তম টেস্টের ২৬,৯৬১তম বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান কার্লটন বাফকে বোল্ড করেই হরভজন ইতিহাসের ১১তম, তৃতীয় ভারতীয় এবং চতুর্থ স্পিনার হিসেবে ঢুকে পড়েন টেস্টের ‘৪০০’ উইকেটের অভিজাত ক্লাবে।
মুরালিধরন (৮০০), শেন ওয়ার্নরা (৭০৮) উইকেটের হিসাবটা এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যে সেখানে দাঁড়িয়ে ৪০০ উইকেটকে খুব ‘বড়’ অর্জন মনে হয় না! কিন্তু বাস্তবতা বলে অন্য কথা। ওপরের তথ্যই বলে হরভজনের ৪০০ উইকেটের মাহাত্ম্য। ১৩৪ বছরের টেস্ট ইতিহাসে তাঁর আগে মাত্র ১০ জন বোলার ছুঁতে পেরেছেন এই মাইলফলক।
১৯৯৮ সালের মার্চে অভিষেক টেস্টে হরভজনের প্রথম শিকার অস্ট্রেলিয়ার গ্রেগ ব্লিউয়েট। ১৩ বছর পেরিয়ে একজনকে বোল্ড করেই পেলেন ‘৪০০তম’ উইকেটটি।
স্মরণীয় এই কীর্তি হরভজনকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় অতীতে, ‘ক্যারিয়ারে অনেক খারাপ সময় গেছে। অনেক উত্থান-পতনের ভেতর দিয়ে আসতে হয়েছে। তবে আমার ক্যারিয়ারে পতনের দিকটাই বেশি। আমি কঠোরভাবে তা সামলেছি। বাবার মৃত্যুটাই ছিল আমার সবচেয়ে বাজে সময়। এরপর ক্রিকেট খেলারই ইচ্ছা ছিল না আমার। যেভাবেই হোক, আমার পরিবার আমাকে বোঝাতে সক্ষম হয় যে বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই আমাকে খেলতে হবে। তিনি যেখানেই থাকুন, আজ তাঁর ছেলের বিশেষ এই অর্জনে অবশ্যই গর্বিত হবেন।’
অনিল কুম্বলে (৬১৯), কপিল দেবের (৪৩৪) পর তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে ৪০০ উইকেট ক্লাবে। হরভজনের উচ্ছ্বাস তাই পাচ্ছে বাড়তি মাত্রা, ‘৪০০ উইকেট নেওয়াটা বিশেষ কিছু। খুব বেশি মানুষ এটা করতে পারেনি। ঈশ্বর আমাকে এটা করতে দেওয়ায় আমি খুশি। সেই সব গ্রেটের পাশে বসতে পেরে আমি খুশি এবং গর্বিত, যারা নিজেদের এবং দেশকে সম্মানিত করেছে। ক্রিকেটে আমার যাত্রাকে আমি উপভোগ করেছি এবং এ জন্য আমি ১৯৯৮ থেকে আজ পর্যন্ত আমার সব সতীর্থকে ধন্যবাদ জানাই।’
১৩ বছরের ক্যারিয়ারে নিজের অর্জনে তৃপ্ত, তবে ‘ভাজ্জি’ এখানেই থেমে থাকতে চান না, ‘আমার বয়স ৩১। এখনো ক্রিকেটকে অনেক কিছুই দেওয়ার আছে। আমি শুধু নিশ্চিত করতে চাই, আমাকে সুস্থ থাকতে হবে এবং বিশেষ কিছু অর্জন করতে হবে।’
হরভজনের সাফল্যের প্রেরণাদাত্রী আছেন আরও একজন—শচীন টেন্ডুলকার। হরভজনই বলছেন টেন্ডুলকার তাঁর বোলিংয়ে অনেক সাহায্য করেছেন, ‘নেটে যখন ওকে বল করি, আমি সব সময়ই জানতে চাই কী ঘটছে এবং এই উইকেটে আমার কী করা উচিত। যেকোনো সফরে, হোক অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউজিল্যান্ডে, আমি তাঁর কাছে জানতে চাই এবং পরামর্শ নিই।’
টেন্ডুলকার বিশেষ একটা ডেলিভারিও শিখিয়েছেন হরভজনকে, ‘সে আমাকে নতুন একটা ডেলিভারি শিখিয়েছে—স্লাইডার। ওয়ানডেতে এটা খুবই কার্যকর। এমনকি টেস্টেও। ওই বলে আমি গোটা দুয়েক উইকেট পেয়েছি। বলটা ধরবেন অফ স্পিনারের মতো, কিন্তু ছাড়বেন এক আঙুলে। সুতরাং, এটি যাবে আউট সুইঙ্গারের মতো। তবে এ শুধু নতুন বলেই সম্ভব। এ জন্য বল নতুন থাকতে থাকতেই আমি আসি।
No comments