আর্জেন্টিনা এখন ‘টাইটানিক’
সার্জিও বাতিস্তার সঙ্গে খুব ভালো মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে এডওয়ার্ড স্মিথের। কে এই স্মিথ? টাইটাইনিক জাহাজের ক্যাপ্টেন! স্মিথের টাইটানিক যেমন হিমবাহে ধাক্কা খেয়ে তলিয়ে গিয়েছিল অতল আটলান্টিকে, আর্জেন্টিনা দলের ক্যাপ্টেন বাতিস্তাও ধেয়ে চলেছেন ব্যর্থতার বিশাল এক হিমবাহের দিকে। ধাক্কা এই লাগল বলে!
এএস-এর অনুমান এমনটাই। স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিকটি লিখেছে, ‘তিনি টাইটানিককে আইসবার্গের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।’ শুধু এই পত্রিকাটিই নয়, পরপর দুই ম্যাচে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলা আর্জেন্টিনার সমালোচনায় মুখর আরও অনেক পত্রিকাই। ক্লারিন লিখেছে, কোপা আমেরিকা প্রায় মাঝপথে গড়ালেও এখনো ঘুম ভাঙল না আর্জেন্টিনার। পত্রিকাটি এ-ও মনে করিয়ে দিয়েছে, কলম্বিয়ার বিপক্ষে নিতান্তই ভাগ্যগুণে একটা পয়েন্ট পেয়েছে স্বাগতিকেরা, ‘আর্জেন্টিনার আরও একটি বাজে পারফরম্যান্স। কলম্বিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র। ম্যাচে কলম্বিয়াই বেশি সুযোগ পেয়েছে, জয়টা তাদেরই প্রাপ্য ছিল।’
সমর্থকেরাও যে এই আর্জেন্টিনার ওপর ভীষণ বিরক্ত, সেটাও লিখেছেন ক্লারিন-এর ফুটবল প্রতিবেদক, ‘সান্তা ফেতে কিছু একটা হয়েছে, সমর্থক আর দলের মধ্যে সুরটা যেন কেটে গেছে।’ লিখেছেন, দলের ভাবমূর্তিও এখন ভীষণ সংকটে। সান্তা ফের স্থানীয় পত্রিকা দিয়ারিও উনো লিখেছে, ‘জাতীয় দলের আরেকটি ফ্লপ প্রদর্শনী, সার্জিও বাতিস্তার দল আবারও ব্যর্থ, আবারও দুয়ো শুনেছে দর্শকদের।’
আর্জেন্টিনার আরেকটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিক লা ন্যাসিওনও কড়া সমালোচনা করেছে দলের, ‘কোনো ছন্দই নেই। ৯০ মিনিটের মধ্যেই আশাকে খুন করে সেটিকে হতাশা বানিয়ে ফেলল দল।’ পত্রিকাটির আশঙ্কা, হয়তো দ্রুতই দলের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে সমর্থকেরা। কোস্টারিকার বিপক্ষে জিততে না পারলে হয়তো হিমবাহের ধাক্কায় ডুবে যাবে টাইটানিক, ‘জাতীয় দলের জন্য এই ম্যাচটা আসলেই খুব গুরুত্বপূর্ণ, যেভাবে খেলা হচ্ছে তাতে দলের প্রতি সাধারণ মানুষের যে আসক্তি, সম্মান, ভালোবাসা—সবই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’ অথচ এই আর্জেন্টিনাই গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্যর্থ হয়ে ফিরেও দেশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছিল।
শুধু পত্রিকাগুলোই নয়, সাবেক খেলোয়াড়েরাও মুখ খুলতে শুরু করেছেন। সাবেক গোলরক্ষক কার্লোস বসিয়োর কাছে মনে হচ্ছে, এই দলের নেতাই নেই, ‘মনে হচ্ছে না এই দলের এমন কোনো নেতা আছে, যার আছে নেতৃত্বগুণ।’ এ অবস্থায় সবচেয়ে মুখর থাকার কথা যাঁর, সেই ডিয়েগো ম্যারাডোনা আশ্চর্যজনকভাবে মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন। হয়তো অপেক্ষা করছেন চূড়ান্ত ভরাডুবির জন্য। আইসবার্গের সঙ্গে টাইটানিকের দূরত্ব কিন্তু বেশি নয়!
এএস-এর অনুমান এমনটাই। স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিকটি লিখেছে, ‘তিনি টাইটানিককে আইসবার্গের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।’ শুধু এই পত্রিকাটিই নয়, পরপর দুই ম্যাচে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলা আর্জেন্টিনার সমালোচনায় মুখর আরও অনেক পত্রিকাই। ক্লারিন লিখেছে, কোপা আমেরিকা প্রায় মাঝপথে গড়ালেও এখনো ঘুম ভাঙল না আর্জেন্টিনার। পত্রিকাটি এ-ও মনে করিয়ে দিয়েছে, কলম্বিয়ার বিপক্ষে নিতান্তই ভাগ্যগুণে একটা পয়েন্ট পেয়েছে স্বাগতিকেরা, ‘আর্জেন্টিনার আরও একটি বাজে পারফরম্যান্স। কলম্বিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র। ম্যাচে কলম্বিয়াই বেশি সুযোগ পেয়েছে, জয়টা তাদেরই প্রাপ্য ছিল।’
সমর্থকেরাও যে এই আর্জেন্টিনার ওপর ভীষণ বিরক্ত, সেটাও লিখেছেন ক্লারিন-এর ফুটবল প্রতিবেদক, ‘সান্তা ফেতে কিছু একটা হয়েছে, সমর্থক আর দলের মধ্যে সুরটা যেন কেটে গেছে।’ লিখেছেন, দলের ভাবমূর্তিও এখন ভীষণ সংকটে। সান্তা ফের স্থানীয় পত্রিকা দিয়ারিও উনো লিখেছে, ‘জাতীয় দলের আরেকটি ফ্লপ প্রদর্শনী, সার্জিও বাতিস্তার দল আবারও ব্যর্থ, আবারও দুয়ো শুনেছে দর্শকদের।’
আর্জেন্টিনার আরেকটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিক লা ন্যাসিওনও কড়া সমালোচনা করেছে দলের, ‘কোনো ছন্দই নেই। ৯০ মিনিটের মধ্যেই আশাকে খুন করে সেটিকে হতাশা বানিয়ে ফেলল দল।’ পত্রিকাটির আশঙ্কা, হয়তো দ্রুতই দলের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে সমর্থকেরা। কোস্টারিকার বিপক্ষে জিততে না পারলে হয়তো হিমবাহের ধাক্কায় ডুবে যাবে টাইটানিক, ‘জাতীয় দলের জন্য এই ম্যাচটা আসলেই খুব গুরুত্বপূর্ণ, যেভাবে খেলা হচ্ছে তাতে দলের প্রতি সাধারণ মানুষের যে আসক্তি, সম্মান, ভালোবাসা—সবই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’ অথচ এই আর্জেন্টিনাই গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্যর্থ হয়ে ফিরেও দেশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছিল।
শুধু পত্রিকাগুলোই নয়, সাবেক খেলোয়াড়েরাও মুখ খুলতে শুরু করেছেন। সাবেক গোলরক্ষক কার্লোস বসিয়োর কাছে মনে হচ্ছে, এই দলের নেতাই নেই, ‘মনে হচ্ছে না এই দলের এমন কোনো নেতা আছে, যার আছে নেতৃত্বগুণ।’ এ অবস্থায় সবচেয়ে মুখর থাকার কথা যাঁর, সেই ডিয়েগো ম্যারাডোনা আশ্চর্যজনকভাবে মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন। হয়তো অপেক্ষা করছেন চূড়ান্ত ভরাডুবির জন্য। আইসবার্গের সঙ্গে টাইটানিকের দূরত্ব কিন্তু বেশি নয়!
No comments