করাচিতে সশস্ত্র ব্যক্তিদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ
পাকিস্তানের করাচি শহরে জাতিগত ও রাজনৈতিক সংঘর্ষে গতকাল শুক্রবার ১৭ জন নিহত হয়েছে। চার দিন ধরে চলা এ সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় আধা সামরিক বাহিনীর আরও এক হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সশস্ত্র কোনো ব্যক্তিকে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জোট সরকারের সাবেক শরিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) ও আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) সমর্থকদের মধ্যে গত মঙ্গলবার থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। গতকাল এমকিউএমের শোক পালনের ডাকে করাচি কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
গতকাল শহরের খারাদার, অরাঙ্গি টাউন ও নিউ করাচির বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলিতে আহত হয়েছে অনেকে। গতকাল করাচির ভিমপুরা এলাকায় গ্রেনেড হামলায় তিনজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে অন্তত ১৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। চলমান সংঘর্ষের ঘটনায় করাচির হাজার হাজার মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সেখানে খাদ্য ও খাওয়ার পানির সংকট চলছে।
পাকিস্তানের বৃহত্তর দাতব্য সংস্থা এধি ফাউন্ডেশনের কর্মী আনোয়ার কাজমি গতকাল বার্তা সংস্থা ডনকে বলেন, ‘আমাদের সাতটি অ্যাম্বুলেন্সের চারটিতে গুলি করা হয়েছে। চার স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’
অরাঙ্গি এলাকার আকবর খান বলেন, ‘আমাদের বাড়ির দেয়াল বুলেটে ঝাঁজরা হয়েছে, ঘরের অনেক জিনিস ধ্বংস হয়েছে। ঘরের ভেতর লুকিয়ে কোনো রকমে জীবন রক্ষা করছি।’
একই এলাকার শায়েস্তা আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা ভীত-সন্ত্রস্ত। কয়েক রাত ধরে ঘুমুতে পারি না। এক দিন ব্যালকনিতে দাঁড়ালাম, অমনি আমাদের বাড়ি লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়া হলো। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক সাংবাদিকদের বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার আধা সামরিক বাহিনীর আরও এক হাজার সদস্য মোতায়েন করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, এ হত্যাকাণ্ডে কাদের হাত রয়েছে। কারা নিরীহ মানুষ খুন করছে। এই সন্ত্রাসীরা তালেবানের চেয়ে কম শয়তান নয়। এরা গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে।’
পাকিস্তানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ক্যামেরন মুনটার এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। করাচিতে অন্তত এক কোটি ৮০ হাজার মানুষের বাস।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় আধা সামরিক বাহিনীর আরও এক হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সশস্ত্র কোনো ব্যক্তিকে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জোট সরকারের সাবেক শরিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) ও আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) সমর্থকদের মধ্যে গত মঙ্গলবার থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। গতকাল এমকিউএমের শোক পালনের ডাকে করাচি কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
গতকাল শহরের খারাদার, অরাঙ্গি টাউন ও নিউ করাচির বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলিতে আহত হয়েছে অনেকে। গতকাল করাচির ভিমপুরা এলাকায় গ্রেনেড হামলায় তিনজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে অন্তত ১৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। চলমান সংঘর্ষের ঘটনায় করাচির হাজার হাজার মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সেখানে খাদ্য ও খাওয়ার পানির সংকট চলছে।
পাকিস্তানের বৃহত্তর দাতব্য সংস্থা এধি ফাউন্ডেশনের কর্মী আনোয়ার কাজমি গতকাল বার্তা সংস্থা ডনকে বলেন, ‘আমাদের সাতটি অ্যাম্বুলেন্সের চারটিতে গুলি করা হয়েছে। চার স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’
অরাঙ্গি এলাকার আকবর খান বলেন, ‘আমাদের বাড়ির দেয়াল বুলেটে ঝাঁজরা হয়েছে, ঘরের অনেক জিনিস ধ্বংস হয়েছে। ঘরের ভেতর লুকিয়ে কোনো রকমে জীবন রক্ষা করছি।’
একই এলাকার শায়েস্তা আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা ভীত-সন্ত্রস্ত। কয়েক রাত ধরে ঘুমুতে পারি না। এক দিন ব্যালকনিতে দাঁড়ালাম, অমনি আমাদের বাড়ি লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়া হলো। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক সাংবাদিকদের বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার আধা সামরিক বাহিনীর আরও এক হাজার সদস্য মোতায়েন করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, এ হত্যাকাণ্ডে কাদের হাত রয়েছে। কারা নিরীহ মানুষ খুন করছে। এই সন্ত্রাসীরা তালেবানের চেয়ে কম শয়তান নয়। এরা গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে।’
পাকিস্তানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ক্যামেরন মুনটার এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। করাচিতে অন্তত এক কোটি ৮০ হাজার মানুষের বাস।
No comments