ব্রিটিশ রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকার আইনে পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা
ব্রিটিশ রাজসিংহাসনের ‘বৈষম্যমূলক’ উত্তরাধিকার আইনে পরিবর্তনের কথা চিন্তাভাবনা করছে যুক্তরাজ্য সরকার। গতকাল শনিবার একজন সরকারি মুখপাত্র এ কথা জানিয়েছেন। এ পরিবর্তন আনা হলে প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটনের প্রথম সন্তান মেয়ে হলেও সে রানি হতে পারবে।
যুক্তরাজ্যের রাজসিংহাসনের বর্তমান উত্তরাধিকার আইন অনুসারে রাজার প্রথম পুত্রসন্তান রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী হবে। এ ক্ষেত্রে বড় বোন থাকলেও পুত্রসন্তানই সিংহাসনে বসবে।
সাংবিধানিক সংস্কারের দায়িত্বে থাকা ব্রিটিশ উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ এ আইনে পরিবর্তন আনার বিষয়ে পথ খুঁজছেন। ইতিমধ্যে বিষয়টি রাজকীয় উপদেষ্টা পরিষদ প্রিভি কাউন্সিলে উপস্থাপনও করেছেন তিনি।
ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, ‘রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকার আইনে পরিবর্তন আনার বিষয়টি জটিল। এ জন্য সচেতন ও সুচিন্তিত দৃষ্টিভঙ্গি দরকার।’ ইতিমধ্যে ব্রিটিশ কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বলেও তিনি জানান। কমনওয়েলথভুক্ত ১৬টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হচ্ছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এ কারণে ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকার আইনের পরিবর্তনের বিষয়টির সঙ্গে কমনওয়েলথ দেশগুলোর স্বার্থ কিছুটা হলেও জড়িত।
তবে উপপ্রধানমন্ত্রী ক্লেগ লৈঙ্গিক সাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উত্তরাধিকার আইন পরিবর্তনে প্রয়াসী হলেও প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এ বিষয়ে তেমন আগ্রহী নন। ক্যামেরন বলেছেন, তাঁর ধারণা, বিষয়টি খুবই জটিল ও সময়সাপেক্ষ। তাই সরকারের এখন উচিত অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে ওঠার বিষয়ে পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া।
বর্তমানে প্রিন্স উইলিয়াম পিতা চার্লসের পর সিংহাসনের উত্তরাধিকারের সারিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। এর আগে ২০০৫ সালে লেবার পার্টির নেতা লর্ড ডাবস ব্রিটিশ রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকার আইনে পরিবর্তন আনার বিষয়টি পার্লামেন্টে উপস্থাপন করেন। তখন সরকারের কাছে বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি উভয়েই অবিবাহিত হওয়ায় বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
যুক্তরাজ্যের রাজসিংহাসনের বর্তমান উত্তরাধিকার আইন অনুসারে রাজার প্রথম পুত্রসন্তান রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী হবে। এ ক্ষেত্রে বড় বোন থাকলেও পুত্রসন্তানই সিংহাসনে বসবে।
সাংবিধানিক সংস্কারের দায়িত্বে থাকা ব্রিটিশ উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ এ আইনে পরিবর্তন আনার বিষয়ে পথ খুঁজছেন। ইতিমধ্যে বিষয়টি রাজকীয় উপদেষ্টা পরিষদ প্রিভি কাউন্সিলে উপস্থাপনও করেছেন তিনি।
ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, ‘রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকার আইনে পরিবর্তন আনার বিষয়টি জটিল। এ জন্য সচেতন ও সুচিন্তিত দৃষ্টিভঙ্গি দরকার।’ ইতিমধ্যে ব্রিটিশ কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বলেও তিনি জানান। কমনওয়েলথভুক্ত ১৬টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হচ্ছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এ কারণে ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকার আইনের পরিবর্তনের বিষয়টির সঙ্গে কমনওয়েলথ দেশগুলোর স্বার্থ কিছুটা হলেও জড়িত।
তবে উপপ্রধানমন্ত্রী ক্লেগ লৈঙ্গিক সাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উত্তরাধিকার আইন পরিবর্তনে প্রয়াসী হলেও প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এ বিষয়ে তেমন আগ্রহী নন। ক্যামেরন বলেছেন, তাঁর ধারণা, বিষয়টি খুবই জটিল ও সময়সাপেক্ষ। তাই সরকারের এখন উচিত অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে ওঠার বিষয়ে পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া।
বর্তমানে প্রিন্স উইলিয়াম পিতা চার্লসের পর সিংহাসনের উত্তরাধিকারের সারিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। এর আগে ২০০৫ সালে লেবার পার্টির নেতা লর্ড ডাবস ব্রিটিশ রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকার আইনে পরিবর্তন আনার বিষয়টি পার্লামেন্টে উপস্থাপন করেন। তখন সরকারের কাছে বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি উভয়েই অবিবাহিত হওয়ায় বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
No comments