গাদ্দাফি বাহিনী মিসরাতায় গুচ্ছবোমা ব্যবহার করেছে
লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিসরাতায় গাদ্দাফির অনুগত সেনারা গুচ্ছবোমা (ক্লাস্টার) ব্যবহার করেছে বলে দাবি করেছে বিদ্রোহীরা। নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচও গাদ্দাফি বাহিনীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছে। তবে লিবিয়া সরকারের একজন মুখপাত্র এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এদিকে বিদ্রোহীদের একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন, গাদ্দাফি বাহিনী গতকাল শনিবার মিসরাতায় অন্তত ১০০টি রকেট হামলা চালিয়েছে।
বিদ্রোহী সেনাদের পর হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গাদ্দাফির অনুগত সেনাদের বিরুদ্ধে মিসরাতায় গুচ্ছবোমা ব্যবহারের অভিযোগ তোলে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিশেষ উপদেষ্টা ফ্রেড আব্রাহামস বলেন, ‘গাদ্দাফির অনুগত সেনারা মিসরাতায় গুচ্ছবোমা ব্যবহার করেছে। এটা নিয়ে “কোনো সংশয়” নেই। হামলায় এমএটি-১২০ মডেলের গুচ্ছবোমা ব্যবহার করা হয়। এর প্রমাণ হিসেবে গুচ্ছবোমা ব্যবহারের ছবি আমাদের কাছে আছে।’
গত বছরের আগস্ট মাসে গুচ্ছবোমার ব্যবহার আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ গুচ্ছবোমা নিষিদ্ধ করার পক্ষে স্বাক্ষর করে।
আব্রাহামস বলেন, লিবিয়া গুচ্ছবোমা নিষিদ্ধের পক্ষে স্বাক্ষর করেনি, এটা ঠিক। কিন্তু মিসরাতায় গুচ্ছবোমা ব্যবহার করে ‘যুদ্ধ আইন লঙ্ঘন করেছে’। তিনি বলেন, ‘মিসরাতায় ব্যবহূত গুচ্ছবোমার ছবি ও বোমা বহনের গাড়ির ছবিও আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, মিসরাতায় স্পেনের তৈরি এমএটি-১২০ গুচ্ছবোমা ব্যবহার করা হয়। এই বোমার বিস্ফোরণ ঘটতে দেখেছেন এমন একজন অ্যাম্বুলেন্সচালকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। তাঁর বর্ণনায়ও গুচ্ছবোমার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। সব মিলিয়ে আমরা নিশ্চিত গাদ্দাফি বাহিনী মিসরাতায় গুচ্ছবোমা ব্যবহার করেছে।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গাদ্দাফি বাহিনী গত বৃহস্পতিবার রাতে মিসরাতায় গুচ্ছবোমা হামলা চালায়।
গুচ্ছবোমা ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে লিবিয়া সরকারের মুখপাত্র মুসা ইব্রাহিম দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমরা এটা করতে পারি না। নৈতিকভাবে বা আইনগতভাবে এটা আমরা করতে পারি না। আমরা এ অভিযোগ প্রমাণের জন্য চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘মিসরাতায় আমরা গুচ্ছবোমা ব্যবহার করলে কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি বিশ্বের সামনে উঠে আসবে। কারণ, কয়েক দিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের একটি দল লিবিয়া আসছে।’ হিউম্যান রাইটস ওয়াচকেও লিবিয়ায় পরিদর্শনের আহ্বান জানান মুসা ইব্রাহিম।
বিদ্রোহীদের মুখপাত্র আবদেলবাসেত আবু এমজেরেয়িক অভিযোগ করেন, গতকাল শনিবার সকালে মিসরাতার শিল্প এলাকায় অন্তত ১০০টি রকেট হামলা চালায় গাদ্দাফি বাহিনী। তবে এ হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত শুক্রবারও ১০০টির মতো রকেট হামলা চালানো হয়। তারা জানায়, সরকারি সেনারা মিসরাতার কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইএমও) সমন্বয়ক জেরেমি হাসলাম জানান, গত শুক্রবার রাতে একটি জাহাজে করে মিসরাতা থেকে এক হাজার ২০০ জন অভিবাসীকে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনগাজিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মিসরাতায় এখনো আট থেকে ১০ হাজার অভিবাসী রয়েছেন, যাঁদের অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়া উচিত।
এদিকে বিদ্রোহীদের একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন, গাদ্দাফি বাহিনী গতকাল শনিবার মিসরাতায় অন্তত ১০০টি রকেট হামলা চালিয়েছে।
বিদ্রোহী সেনাদের পর হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গাদ্দাফির অনুগত সেনাদের বিরুদ্ধে মিসরাতায় গুচ্ছবোমা ব্যবহারের অভিযোগ তোলে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিশেষ উপদেষ্টা ফ্রেড আব্রাহামস বলেন, ‘গাদ্দাফির অনুগত সেনারা মিসরাতায় গুচ্ছবোমা ব্যবহার করেছে। এটা নিয়ে “কোনো সংশয়” নেই। হামলায় এমএটি-১২০ মডেলের গুচ্ছবোমা ব্যবহার করা হয়। এর প্রমাণ হিসেবে গুচ্ছবোমা ব্যবহারের ছবি আমাদের কাছে আছে।’
গত বছরের আগস্ট মাসে গুচ্ছবোমার ব্যবহার আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ গুচ্ছবোমা নিষিদ্ধ করার পক্ষে স্বাক্ষর করে।
আব্রাহামস বলেন, লিবিয়া গুচ্ছবোমা নিষিদ্ধের পক্ষে স্বাক্ষর করেনি, এটা ঠিক। কিন্তু মিসরাতায় গুচ্ছবোমা ব্যবহার করে ‘যুদ্ধ আইন লঙ্ঘন করেছে’। তিনি বলেন, ‘মিসরাতায় ব্যবহূত গুচ্ছবোমার ছবি ও বোমা বহনের গাড়ির ছবিও আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, মিসরাতায় স্পেনের তৈরি এমএটি-১২০ গুচ্ছবোমা ব্যবহার করা হয়। এই বোমার বিস্ফোরণ ঘটতে দেখেছেন এমন একজন অ্যাম্বুলেন্সচালকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। তাঁর বর্ণনায়ও গুচ্ছবোমার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। সব মিলিয়ে আমরা নিশ্চিত গাদ্দাফি বাহিনী মিসরাতায় গুচ্ছবোমা ব্যবহার করেছে।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গাদ্দাফি বাহিনী গত বৃহস্পতিবার রাতে মিসরাতায় গুচ্ছবোমা হামলা চালায়।
গুচ্ছবোমা ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে লিবিয়া সরকারের মুখপাত্র মুসা ইব্রাহিম দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমরা এটা করতে পারি না। নৈতিকভাবে বা আইনগতভাবে এটা আমরা করতে পারি না। আমরা এ অভিযোগ প্রমাণের জন্য চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘মিসরাতায় আমরা গুচ্ছবোমা ব্যবহার করলে কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি বিশ্বের সামনে উঠে আসবে। কারণ, কয়েক দিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের একটি দল লিবিয়া আসছে।’ হিউম্যান রাইটস ওয়াচকেও লিবিয়ায় পরিদর্শনের আহ্বান জানান মুসা ইব্রাহিম।
বিদ্রোহীদের মুখপাত্র আবদেলবাসেত আবু এমজেরেয়িক অভিযোগ করেন, গতকাল শনিবার সকালে মিসরাতার শিল্প এলাকায় অন্তত ১০০টি রকেট হামলা চালায় গাদ্দাফি বাহিনী। তবে এ হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত শুক্রবারও ১০০টির মতো রকেট হামলা চালানো হয়। তারা জানায়, সরকারি সেনারা মিসরাতার কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইএমও) সমন্বয়ক জেরেমি হাসলাম জানান, গত শুক্রবার রাতে একটি জাহাজে করে মিসরাতা থেকে এক হাজার ২০০ জন অভিবাসীকে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনগাজিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মিসরাতায় এখনো আট থেকে ১০ হাজার অভিবাসী রয়েছেন, যাঁদের অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়া উচিত।
No comments