টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি মানেই দলের হার
‘আর কত বিস্ময় জমা রেখেছেন শচীন টেন্ডুলকার’—এই প্রশ্নটাও এখন পুরোনো হয়ে গেছে। বর্তমানে ক্রিকেট-বিশ্বের সবচেয়ে ‘পুরোনো’ ক্রিকেটার রাঙিয়ে যাচ্ছেন খেলাটির নবতম সংস্করণও। তিন অঙ্কের দেখা কেন পাচ্ছিলেন না, এটাই ছিল বিস্ময়ের। অবশেষে পেলেন। তাঁর শততম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির অপেক্ষায় যখন পুরো ক্রিকেট-বিশ্ব, টেন্ডুলকার তুলে নিলেন টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি। দেখালেন বয়স ৩৮ ছুঁইছুঁই হতে পারে, কিন্তু এখনো শেখার ক্ষুধাটা মরে যায়নি। প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির দিনে টেন্ডুলকারের ব্যাট থেকে বেরোলো প্রথম ‘হেলিকপ্টার শট’, দেখা গেল আরও কিছু আনঅর্থোডক্স শট।
তবে দিন শেষে তাঁর প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠছে দলের পরাজয়। টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি মানেই দলের পরাজয়—ক্যারিয়ারজুড়েই এই অপবাদ তাঁর সঙ্গী। গত বছর দুয়েকের অতিমানবীয় পারফরম্যান্সে একটু চাপা পড়ে গিয়েছিল। গুঞ্জনটা আবার উঠেছে বিশ্বকাপ থেকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরিতে হারতে হারতে টাই করল ভারত, হারল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পরশু প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। কিন্তু সঙ্গী সেই হারের বেদনা। গুঞ্জনটা তাই আরেকটু জোরালো হচ্ছে—টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি মানেই দলের পরাজয়।
দ্বিমত করার মতো কাউকে খুব একটা মনে হয় পাওয়া যাবে না। তবে প্রচলিত এই কথার সত্যতা কতটুকু? পরিসংখ্যান কিন্তু এই দাবিকে খুব একটা সমর্থন করছে না। আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিগুলোর কথাই ধরুন। টেন্ডুলকারের ৫১ টেস্ট সেঞ্চুরির মাত্র ১১টিতেই হেরেছে ভারত, জিতেছে ২০টিতে। বাকি ২০টিতে ড্র। ‘টেন্ডুলকার সেঞ্চুরি করলেই দল হারে’—এই কথাটা সবচেয়ে বেশি শোনা যায় ওয়ানডেতে। অথচ এই অপবাদটা কতটা অন্যায্য দেখুন, ৪৮ ওয়ানডে সেঞ্চুরির ৩৩টিতেই কিন্তু জিতেছে ভারত! হার আছে ১৩টি, কিন্তু ৪৮ সেঞ্চুরির ১৩টিতে হার কি খুব বেশি কিছু! হয়তো টেন্ডুলকার বলেই ব্যাপারটা বেশি করে চোখে লাগে। হয়তো তাঁর অতিমানবীয় কীর্তিগুলো এখন এতটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে আলাদা কিছু মনে হয় না, বরং সামান্য ছিদ্রগুলোকেই বড় বলে মনে হয়!
এর চেয়েও বড় কথা, দল হারলে টেন্ডুলকারের কতটুকুই বা করার আছে, নিজের দায়িত্ব তো তিনি শতভাগই পালন করছেন! অবশ্য সংশয়বাদীরা এসব মানবেন কেন? পরশুর পর তাঁরা বরং পেয়ে গেছেন নতুন হাতিয়ার। টেন্ডুলকার সেঞ্চুরি মানেই দলের হার, টি-টোয়েন্টিতে এই কথাটা তো শতভাগ সত্যি!
এই দিনেই অবশ্য একটা সুখবরও শুনেছেন টেন্ডুলকার। ভারতরত্নটা মনে হয় পেয়ে যাচ্ছেন ‘ভারতের রত্ন।’ ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রী অজয় মাকান জানিয়েছেন, ভারতরত্ন পাওয়ার মানদণ্ডে ক্রীড়াকেও অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে। সুপারিশ যদি মেনে নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সবার আগে তো টেন্ডুলকারেরই পাওয়ার কথা!
তবে দিন শেষে তাঁর প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠছে দলের পরাজয়। টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি মানেই দলের পরাজয়—ক্যারিয়ারজুড়েই এই অপবাদ তাঁর সঙ্গী। গত বছর দুয়েকের অতিমানবীয় পারফরম্যান্সে একটু চাপা পড়ে গিয়েছিল। গুঞ্জনটা আবার উঠেছে বিশ্বকাপ থেকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরিতে হারতে হারতে টাই করল ভারত, হারল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পরশু প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। কিন্তু সঙ্গী সেই হারের বেদনা। গুঞ্জনটা তাই আরেকটু জোরালো হচ্ছে—টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি মানেই দলের পরাজয়।
দ্বিমত করার মতো কাউকে খুব একটা মনে হয় পাওয়া যাবে না। তবে প্রচলিত এই কথার সত্যতা কতটুকু? পরিসংখ্যান কিন্তু এই দাবিকে খুব একটা সমর্থন করছে না। আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিগুলোর কথাই ধরুন। টেন্ডুলকারের ৫১ টেস্ট সেঞ্চুরির মাত্র ১১টিতেই হেরেছে ভারত, জিতেছে ২০টিতে। বাকি ২০টিতে ড্র। ‘টেন্ডুলকার সেঞ্চুরি করলেই দল হারে’—এই কথাটা সবচেয়ে বেশি শোনা যায় ওয়ানডেতে। অথচ এই অপবাদটা কতটা অন্যায্য দেখুন, ৪৮ ওয়ানডে সেঞ্চুরির ৩৩টিতেই কিন্তু জিতেছে ভারত! হার আছে ১৩টি, কিন্তু ৪৮ সেঞ্চুরির ১৩টিতে হার কি খুব বেশি কিছু! হয়তো টেন্ডুলকার বলেই ব্যাপারটা বেশি করে চোখে লাগে। হয়তো তাঁর অতিমানবীয় কীর্তিগুলো এখন এতটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে আলাদা কিছু মনে হয় না, বরং সামান্য ছিদ্রগুলোকেই বড় বলে মনে হয়!
এর চেয়েও বড় কথা, দল হারলে টেন্ডুলকারের কতটুকুই বা করার আছে, নিজের দায়িত্ব তো তিনি শতভাগই পালন করছেন! অবশ্য সংশয়বাদীরা এসব মানবেন কেন? পরশুর পর তাঁরা বরং পেয়ে গেছেন নতুন হাতিয়ার। টেন্ডুলকার সেঞ্চুরি মানেই দলের হার, টি-টোয়েন্টিতে এই কথাটা তো শতভাগ সত্যি!
এই দিনেই অবশ্য একটা সুখবরও শুনেছেন টেন্ডুলকার। ভারতরত্নটা মনে হয় পেয়ে যাচ্ছেন ‘ভারতের রত্ন।’ ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রী অজয় মাকান জানিয়েছেন, ভারতরত্ন পাওয়ার মানদণ্ডে ক্রীড়াকেও অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে। সুপারিশ যদি মেনে নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সবার আগে তো টেন্ডুলকারেরই পাওয়ার কথা!
No comments