যুক্তরাজ্যের গোপন পরমাণু কর্মসূচি রাশিয়াকে জানাবে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র তার অন্যতম মিত্র যুক্তরাজ্যের গোপন পরমাণু কর্মসূচি-সম্পর্কিত তথ্য রাশিয়াকে জানিয়ে দিতে রাজি হয়েছে। গোপন নথি ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসের সর্বশেষ প্রকাশিত নথিতে এই তথ্য জানা গেছে। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ-এর প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
উইকিলিকসের ফাঁস করা নথিতে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে একটি অস্ত্র চুক্তি হতে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ-সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। ওই চুক্তির আওতায় যুক্তরাজ্যের কাছে হস্তান্তর করা ট্রাইডেন্ট ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সম্পর্কে মস্কোকে তথ্য দেবে ওয়াশিংটন। টেলিগ্রাফ-এর প্রতিবেদনমতে, এই চুক্তিতে রাশিয়াকে রাজি করাতে ব্রিটেনের ট্রাইডেন্ট ক্ষেপণাস্ত্রের তথ্য দেওয়ার বিষয়টিকে ‘টোপ’ হিসেবে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি হয়তো ব্রিটেনের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না, কিন্তু ওয়াশিংটনে পাঠানো গোপন তারবার্তায় দেখা যায়, ব্রিটেনের অস্ত্রের বিষয়টি রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র নতুন স্টার্ট চুক্তির ক্ষেত্রে কতটা ‘গুরুত্বপূর্ণ’। ওই তারবার্তায় দেখা যায়, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যুক্তরাজ্যের ট্রাইডেন্ট ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চায়। এসব তথ্য রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর করার ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রকে সেই অনুমতি দেয়নি যুক্তরাজ্য। এর পরও ওয়াশিংটন যুক্তরাজ্যের কাছে তার হস্তান্তর করা ট্রাইডেন্ট ক্ষেপণাস্ত্রের ক্রমিক নম্বর দিতে রাজি হয়।
ব্রিটিশ সিকিউরিটি পলিসি অ্যাট দ্য রয়েল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের অধ্যাপক ম্যালকম চালমার্স অবশ্য বলেন, যুক্তরাজ্য যদি তাঁর ট্রাইডেন্ট ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা কখনো প্রকাশ করে, রাশিয়া তখনই শুধু ক্রমিক নম্বর দিয়ে ওই ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে তথ্য পাবে। এ ছাড়া মস্কোর পক্ষে এ ব্যাপারে খুব বেশি তথ্য জানা সম্ভব নয়।
প্রতিরক্ষাবিষয়ক বিশ্লেষকেরা দাবি করেন, এই তথ্য ফাঁস হওয়ার পর ব্রিটেন এখন তার পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রকাশ না-ও করতে পারে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ গত বছর জানান, ব্রিটেনের মজুদ পরমাণু ওয়ারহেডের সংখ্যা ১৬০টিরও বেশি। এসব ওয়ারহেড যেকোনো সময় ব্যবহারের উপযোগী। কিন্তু তিনি মোট মজুদ পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা উল্লেখ করেননি।
টেলিগ্রাফ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ব্যাপারে লন্ডনে মার্কিন দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো প্রায় ৮০০ তারবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। এসব তারবার্তায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র তার বিভিন্ন দূতাবাসে কূটনীতিকদের ব্যক্তিগত জীবন ও পেশাগত সম্পর্কের ওপর বিশেষ নজরদারি করে।
উইকিলিকসের ফাঁস করা নথিতে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে একটি অস্ত্র চুক্তি হতে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ-সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। ওই চুক্তির আওতায় যুক্তরাজ্যের কাছে হস্তান্তর করা ট্রাইডেন্ট ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সম্পর্কে মস্কোকে তথ্য দেবে ওয়াশিংটন। টেলিগ্রাফ-এর প্রতিবেদনমতে, এই চুক্তিতে রাশিয়াকে রাজি করাতে ব্রিটেনের ট্রাইডেন্ট ক্ষেপণাস্ত্রের তথ্য দেওয়ার বিষয়টিকে ‘টোপ’ হিসেবে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি হয়তো ব্রিটেনের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না, কিন্তু ওয়াশিংটনে পাঠানো গোপন তারবার্তায় দেখা যায়, ব্রিটেনের অস্ত্রের বিষয়টি রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র নতুন স্টার্ট চুক্তির ক্ষেত্রে কতটা ‘গুরুত্বপূর্ণ’। ওই তারবার্তায় দেখা যায়, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যুক্তরাজ্যের ট্রাইডেন্ট ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চায়। এসব তথ্য রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর করার ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রকে সেই অনুমতি দেয়নি যুক্তরাজ্য। এর পরও ওয়াশিংটন যুক্তরাজ্যের কাছে তার হস্তান্তর করা ট্রাইডেন্ট ক্ষেপণাস্ত্রের ক্রমিক নম্বর দিতে রাজি হয়।
ব্রিটিশ সিকিউরিটি পলিসি অ্যাট দ্য রয়েল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের অধ্যাপক ম্যালকম চালমার্স অবশ্য বলেন, যুক্তরাজ্য যদি তাঁর ট্রাইডেন্ট ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা কখনো প্রকাশ করে, রাশিয়া তখনই শুধু ক্রমিক নম্বর দিয়ে ওই ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে তথ্য পাবে। এ ছাড়া মস্কোর পক্ষে এ ব্যাপারে খুব বেশি তথ্য জানা সম্ভব নয়।
প্রতিরক্ষাবিষয়ক বিশ্লেষকেরা দাবি করেন, এই তথ্য ফাঁস হওয়ার পর ব্রিটেন এখন তার পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রকাশ না-ও করতে পারে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ গত বছর জানান, ব্রিটেনের মজুদ পরমাণু ওয়ারহেডের সংখ্যা ১৬০টিরও বেশি। এসব ওয়ারহেড যেকোনো সময় ব্যবহারের উপযোগী। কিন্তু তিনি মোট মজুদ পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা উল্লেখ করেননি।
টেলিগ্রাফ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ব্যাপারে লন্ডনে মার্কিন দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো প্রায় ৮০০ তারবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। এসব তারবার্তায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র তার বিভিন্ন দূতাবাসে কূটনীতিকদের ব্যক্তিগত জীবন ও পেশাগত সম্পর্কের ওপর বিশেষ নজরদারি করে।
No comments