বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরেনি
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এখনো আস্থা সেভাবে ফিরে আসেনি। তাঁরা পুঁজি হারানোর শঙ্কা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তাই বাজারদর একটু বাড়লেই শেয়ার বিক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ছে। আবার একটু কমলেই পুঁজি হারানোর ভয়ে শেয়ার বিক্রির চাপ তৈরি হচ্ছে। ফলে গত সপ্তাহে সাধারণ মূল্যসূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে।
গোটা সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক, বেশির ভাগ শেয়ারের দাম, লেনদেনের পরিমাণ ও বাজার মূলধন অনেক কমেছে।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে সাধারণ মূল্যসূচক ২৬০ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমেছে। তার মানে, এ সময় প্রতিদিন গড়ে সূচক কমেছে ৫২ পয়েন্ট হারে। বর্তমানে মোট বাজার মূলধন তিন লাখ ১৪ হাজার ৬১৭ কোটি টাকার কিছু বেশি, যা গত সপ্তাহের বাজার মূলধন তিন লাখ ২১ হাজার ৫৩০ কোটি টাকার কিছু বেশির চেয়ে ২ দশমিক ১৫ শতাংশ কম।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ২৬৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২১২টির দাম কমেছে আর মাত্র ৪৮টির দাম বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে ডিএসইর সাধারণ সূচক কমে দাঁড়ায় সাত হাজার ১২৫ পয়েন্টে, যা সপ্তাহের শুরুতে ছিল সাত হাজার ৩৮৬ পয়েন্ট।
পুঁজিবাজার নিয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতাই এই আস্থাহীনতার বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এক সংস্থা বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে চাইলেও অন্য সংস্থার নেতিবাচক সিদ্ধান্তের কারণে তা আর সম্ভব হচ্ছে না বলেও মনে করেন বিনিয়োগকারীরা।
অন্যদিকে বাজার বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, বাজারে তারল্যসংকটের চেয়ে বড় সমস্যা এই আস্থাহীনতা। বিভিন্ন কারণে বর্তমানে বড় বড় বিনিয়োগকারী এখন সক্রিয় নন। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও সঠিকভাবে বাজারে অংশ নিচ্ছে না। এর প্রভাবে শেয়ারের দর ও সূচক কমে যাচ্ছে।
বড় বড় বিনিয়োগকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে না এলে বাজারে সংকট কাটবে না এবং বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে না বলে তাঁরা মনে করছেন।
অন্যদিকে গত বছর ব্যাংকগুলোর মুনাফার বড় একটা অংশ এসেছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে। তার পরও এবার তাদের অংশগ্রহণ একেবারেই নেই। কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুঁজিবাজার থেকে অর্জিত মুনাফা লভ্যাংশ হিসেবে দেওয়া যাবে না। এতে অনেক ব্যাংকই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবার বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস থেকে জানানো হয়েছে, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মতো বড় বিনিয়োগকারীরাও এক ধরনের আস্থাহীনতায় ভুগছেন। তাই লোকসান দিয়ে হলেও অনেকেই শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। আবার অনেক বিনিয়োগকারীর ক্রয়ক্ষমতা থাকলেও নতুন করে শেয়ার কিনছেন না। তাই লেনদেনের পরিমাণও অনেক কমে গেছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো: ইউসিবিএল, এনবিএল, গ্রামীণফোন, বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, তিতাস গ্যাস, বেক্সিমকো লিমিটেড, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স সার্ভিসেস, ডেসকো, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ও ম্যাকসন স্পিনিং।
সমাপনী মূল্যের ভিত্তিতে দাম কমে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো: ইসলামি ইনস্যুরেন্স, মুন্নু জুটেক্স, ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স, গ্রামীণ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান, কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স, সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্স, মেঘনা পেট, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার ও খুলনা পাওয়ার লিমিটেড।
গোটা সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক, বেশির ভাগ শেয়ারের দাম, লেনদেনের পরিমাণ ও বাজার মূলধন অনেক কমেছে।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে সাধারণ মূল্যসূচক ২৬০ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমেছে। তার মানে, এ সময় প্রতিদিন গড়ে সূচক কমেছে ৫২ পয়েন্ট হারে। বর্তমানে মোট বাজার মূলধন তিন লাখ ১৪ হাজার ৬১৭ কোটি টাকার কিছু বেশি, যা গত সপ্তাহের বাজার মূলধন তিন লাখ ২১ হাজার ৫৩০ কোটি টাকার কিছু বেশির চেয়ে ২ দশমিক ১৫ শতাংশ কম।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ২৬৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২১২টির দাম কমেছে আর মাত্র ৪৮টির দাম বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে ডিএসইর সাধারণ সূচক কমে দাঁড়ায় সাত হাজার ১২৫ পয়েন্টে, যা সপ্তাহের শুরুতে ছিল সাত হাজার ৩৮৬ পয়েন্ট।
পুঁজিবাজার নিয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতাই এই আস্থাহীনতার বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এক সংস্থা বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে চাইলেও অন্য সংস্থার নেতিবাচক সিদ্ধান্তের কারণে তা আর সম্ভব হচ্ছে না বলেও মনে করেন বিনিয়োগকারীরা।
অন্যদিকে বাজার বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, বাজারে তারল্যসংকটের চেয়ে বড় সমস্যা এই আস্থাহীনতা। বিভিন্ন কারণে বর্তমানে বড় বড় বিনিয়োগকারী এখন সক্রিয় নন। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও সঠিকভাবে বাজারে অংশ নিচ্ছে না। এর প্রভাবে শেয়ারের দর ও সূচক কমে যাচ্ছে।
বড় বড় বিনিয়োগকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে না এলে বাজারে সংকট কাটবে না এবং বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে না বলে তাঁরা মনে করছেন।
অন্যদিকে গত বছর ব্যাংকগুলোর মুনাফার বড় একটা অংশ এসেছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে। তার পরও এবার তাদের অংশগ্রহণ একেবারেই নেই। কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুঁজিবাজার থেকে অর্জিত মুনাফা লভ্যাংশ হিসেবে দেওয়া যাবে না। এতে অনেক ব্যাংকই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবার বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস থেকে জানানো হয়েছে, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মতো বড় বিনিয়োগকারীরাও এক ধরনের আস্থাহীনতায় ভুগছেন। তাই লোকসান দিয়ে হলেও অনেকেই শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। আবার অনেক বিনিয়োগকারীর ক্রয়ক্ষমতা থাকলেও নতুন করে শেয়ার কিনছেন না। তাই লেনদেনের পরিমাণও অনেক কমে গেছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো: ইউসিবিএল, এনবিএল, গ্রামীণফোন, বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, তিতাস গ্যাস, বেক্সিমকো লিমিটেড, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স সার্ভিসেস, ডেসকো, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ও ম্যাকসন স্পিনিং।
সমাপনী মূল্যের ভিত্তিতে দাম কমে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো: ইসলামি ইনস্যুরেন্স, মুন্নু জুটেক্স, ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স, গ্রামীণ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান, কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স, সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্স, মেঘনা পেট, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার ও খুলনা পাওয়ার লিমিটেড।
No comments