মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিল ইসরায়েল
ইসরায়েলের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল গাবি আশকিনাজি মার্কিন কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদলকে বলেছিলেন, তাঁর দেশ মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। হামাস কিংবা হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ সংঘটিত হতে পারে।
আলোচিত ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রকাশিত গোপন নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গত রোববার অসলোভিত্তিক দৈনিক আফটেনপোস্টেন-এ প্রকাশিত ওই নথিতে দেখা গেছে, ২০০৯ সালের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে আশকিনাজি এ কথা বলেন।
তেল আবিবের মার্কিন দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো ওই কূটনৈতিক বার্তায় ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আমি বড় ধরনের যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করছি।’
গোপন নথিতে দেখা গেছে, কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্য আইক স্কেলটনের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রতিনিধিদলকে আশকিনাজি বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে রকেট হামলার হুমকি বেড়েছে। এ কারণে ইসরায়েল রকেট প্রতিরক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ইরানের অন্তত ৩০০ শিহাব রকেট রয়েছে, যা ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম। ইসরায়েলি সেনাপ্রধান জোর দিয়ে বলেন, কোনো ধরনের হামলার শিকার হলে ইসরায়েল এর জবাব দিতে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিট সময় নেবে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, গাজাভিত্তিক হামাস ও লেবাননভিত্তিক হিজবুল্লাহর কাছ থেকেই ইসরায়েল সবচেয়ে বেশি হুমকি মোকাবিলা করছে।প্রকাশিত নথি অনুযায়ী, সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর ৪০ হাজারেরও বেশি রকেট রয়েছে। এসব রকেটের বেশির ভাগই ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে মার্কিন কর্মকর্তাদের হিসাবে, এই রকেটের সংখ্যা ৫০ হাজারের কাছাকাছি।২০০৬ সালে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধে এক হাজার ২০০ লেবাননি ও ১৬০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়। লেবাননে নিহতের বেশির ভাগই ছিল বেসামরিক। আর ইসরায়েলিরা অধিকাংশ সেনাসদস্য।
ইসরায়েল ২০০৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালায়। এই হামলার এক বছর পর আশকিনাজি মার্কিন প্রতিনিধিদলকে এসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েল সংঘর্ষে লিপ্ত। তেল আবিবে হামাসের বোমা হামলা চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে।এদিকে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোনো ফৌজদারি অভিযোগ আনতে না পারায় মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডারের কড়া সমালোচনা শুরু হয়েছে। দেশটির একজন শীর্ষস্থানীয় রিপাবলিকান নেতা বলেছেন, এই ব্যর্থতার দায়ে এরিক হোল্ডারকে পদত্যাগ করতে হতে পারে।যুক্তরাষ্ট্রের হাউস ওভারসাইট অ্যান্ড গভর্নমেন্ট রিফর্ম কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান নেতা ড্যারেল ইসা গত রোববার ফক্স নিউজকে বলেছেন, ‘গোপন মার্কিন নথি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিশ্ব সম্প্রদায় আমাদের নিয়ে উপহাস করছে। অথচ অ্যাটর্নি হোল্ডার এখনো পর্যন্ত অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনতে পারেননি।’ তিনি বলেন, ‘হোল্ডার মার্কিন প্রশাসনকে আহত করছেন। কেউ প্রশাসনকে আহত করলে তাঁর উচিত হবে পদত্যাগ করা।’ এএফপি।
আলোচিত ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রকাশিত গোপন নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গত রোববার অসলোভিত্তিক দৈনিক আফটেনপোস্টেন-এ প্রকাশিত ওই নথিতে দেখা গেছে, ২০০৯ সালের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে আশকিনাজি এ কথা বলেন।
তেল আবিবের মার্কিন দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো ওই কূটনৈতিক বার্তায় ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আমি বড় ধরনের যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করছি।’
গোপন নথিতে দেখা গেছে, কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্য আইক স্কেলটনের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রতিনিধিদলকে আশকিনাজি বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে রকেট হামলার হুমকি বেড়েছে। এ কারণে ইসরায়েল রকেট প্রতিরক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ইরানের অন্তত ৩০০ শিহাব রকেট রয়েছে, যা ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম। ইসরায়েলি সেনাপ্রধান জোর দিয়ে বলেন, কোনো ধরনের হামলার শিকার হলে ইসরায়েল এর জবাব দিতে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিট সময় নেবে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, গাজাভিত্তিক হামাস ও লেবাননভিত্তিক হিজবুল্লাহর কাছ থেকেই ইসরায়েল সবচেয়ে বেশি হুমকি মোকাবিলা করছে।প্রকাশিত নথি অনুযায়ী, সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর ৪০ হাজারেরও বেশি রকেট রয়েছে। এসব রকেটের বেশির ভাগই ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে মার্কিন কর্মকর্তাদের হিসাবে, এই রকেটের সংখ্যা ৫০ হাজারের কাছাকাছি।২০০৬ সালে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধে এক হাজার ২০০ লেবাননি ও ১৬০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়। লেবাননে নিহতের বেশির ভাগই ছিল বেসামরিক। আর ইসরায়েলিরা অধিকাংশ সেনাসদস্য।
ইসরায়েল ২০০৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালায়। এই হামলার এক বছর পর আশকিনাজি মার্কিন প্রতিনিধিদলকে এসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েল সংঘর্ষে লিপ্ত। তেল আবিবে হামাসের বোমা হামলা চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে।এদিকে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোনো ফৌজদারি অভিযোগ আনতে না পারায় মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডারের কড়া সমালোচনা শুরু হয়েছে। দেশটির একজন শীর্ষস্থানীয় রিপাবলিকান নেতা বলেছেন, এই ব্যর্থতার দায়ে এরিক হোল্ডারকে পদত্যাগ করতে হতে পারে।যুক্তরাষ্ট্রের হাউস ওভারসাইট অ্যান্ড গভর্নমেন্ট রিফর্ম কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান নেতা ড্যারেল ইসা গত রোববার ফক্স নিউজকে বলেছেন, ‘গোপন মার্কিন নথি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিশ্ব সম্প্রদায় আমাদের নিয়ে উপহাস করছে। অথচ অ্যাটর্নি হোল্ডার এখনো পর্যন্ত অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনতে পারেননি।’ তিনি বলেন, ‘হোল্ডার মার্কিন প্রশাসনকে আহত করছেন। কেউ প্রশাসনকে আহত করলে তাঁর উচিত হবে পদত্যাগ করা।’ এএফপি।
No comments