ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার লক্ষ্য চীন
চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি মোকাবিলায় ভারত সে দেশের সেনাবাহিনীর পরবর্তী দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনায় (লং টার্ম ইন্টিগ্রেটেড প্রকিউরমেন্ট প্ল্যান—এলটিআইপিপি) পরিবর্তন আনতে পারে। পাকিস্তানকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সরে এসে পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে প্রতিবেশী চীনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাকে গুরুত্ব দিতে পারে দেশটি।ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরবর্তী এলটিআইপিপির সময়সীমা হলো ২০১২ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত।ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, সেনাবাহিনী ২০২০ সাল নাগাদ একটি পূর্ণাঙ্গ ‘মাউন্টেইন স্ট্রাইক কোর’ বাহিনী তৈরি করতে চাইছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে বলা হয়, ভারতের সীমান্ত এলাকায় অবকাঠামো দ্রুত উন্নয়নের সুপারিশ করেছে সেনাবাহিনী। দুর্গম পার্বত্য এলাকায় যাতে দ্রুত আরও সেনা মোতায়েন এবং কার্যকরভাবে অভিযান চালানো যায়, সে জন্যই এই সুপারিশ করা হয়। উল্লেখ্য, চীনের সঙ্গে ভারতের চার হাজার কিলোমিটারেরও বেশি সীমান্ত রয়েছে।সেনাবাহিনী চাইছে, সরকার ভারত-চীন সীমান্ত পর্যন্ত এমন রাস্তাঘাট নির্মাণ করুক, যাতে পার্বত্য এলাকায় বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যেও সেখানে সহজে পৌঁছানো যায়। এ ছাড়া লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ, উত্তরাঞ্চল ও হিমাচল প্রদেশের পর্বত চূড়ায় গুরুত্বপূর্ণ সদর দপ্তরের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনেরও সুপারিশ করা হয়।যেভাবেই হোক, এলটিআইপিপি এরই মধ্যে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ২০১১ সালের মাঝামাঝি নাগাদ সেনাবাহিনী উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দুটি মাউন্টেন ডিভিশন গঠনের কাজ সম্পন্ন করবে। এটা সম্পন্ন হলে এসব ডিভিশন পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা পরিকল্পনায় যোগ দেবে এবং শক্তি বাড়াবে।চীন সীমান্ত বরাবর এলাকায় কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ৭৫টির বেশি সড়ক বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে। সেনাবাহিনী চাইছে, এসব সড়ক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলাচলের উপযোগী করা হোক। সীমান্তে পর্যাপ্ত সেনা মোতায়েনে তাদের সামর্থ্য বাড়াতে সেনাবাহিনী এসব সড়কের দ্রুত নির্মাণ চাইছে।
No comments