খবর- সংরক্ষিত বনে শুঁটকিপল্লি by এম জসীম উদ্দীন
বরগুনার তালতলী থানার সংরক্ষিত নলবুনিয়া বনের মধ্যে শুঁটকিপল্লি গড়ে তোলায় হুমকির মুখে পড়েছে ধ্বংসপ্রায় এ বনের অস্তিত্ব। বন বিভাগের লোকজন নামমাত্র রাজস্ব আদায়ের নামে এই বনের মধ্যে শুঁটকিপল্লি নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে। নিয়মানুযায়ী সংরক্ষিত বন এলাকায় এ ধরনের পল্লি নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু বন কর্মকর্তারা সেই বিধি লঙ্ঘন করে এই পল্লি নির্মাণের অনুমতি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, নলবুনিয়ায় সংরক্ষিত বন ঘেঁষে চরের দুই কিলোমিটার-জুড়ে শুঁটকি তৈরির জন্য মাচা ও জেলেদের থাকার জন্য প্রায় ২০০টি খুপরি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সারি সারি ঘর দেখলে মনে হবে বিরাট এক বস্তি। এখানে বসবাসকারী জেলেরা রান্নাবাটির জন্য সংরক্ষিত বনের কাঠ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছেন। সাতক্ষীরার ব্যবসায়ী রণজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘আমরা এসব জ্বালানি কাঠ ব্যবহারের জন্য বন বিভাগকে রাজস্ব দিই। মাছ ধরা ও শুঁটকি করার জন্যও রাজস্ব দিই।’
এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর শীত মৌসুমে স্থানীয় বড়বগী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও মৎস্য ব্যবসায়ী দুলাল ফরাজী খুলনা ও সাতক্ষীরা থেকে শত শত জেলে এনে শুঁটকিপল্লি স্থাপন করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেন। জেলেদের জাল, নৌকা ও খোরাকি বাবদ দাদন দিয়ে এখানে আনা হয়।
সাতক্ষীরা থেকে আসা জেলে সাধন সরকার, বিজয় মণ্ডল ও কৃষ্ণ মণ্ডল জানান, তাঁরা ২০-২৫ বছর ধরে শীত মৌসুমে এই এলাকায় আসেন। ফরাজীদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে তাঁরা চরে মাছ ধরেন ও শুঁটকি তৈরি করেন।
বনসংলগ্ন নলবুনিয়া গ্রামের লোকজন জানান, বড়বগী ইউপির চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতা দুলাল ফরাজী, তাঁর চাচা বড়বগী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউনুছ ফরাজী প্রতিবছরের মতো এ বছরও নলবুনিয়ার চরে দুই শতাধিক খুপরি ঘর নির্মাণ করে জেলেপল্লি গড়ে তুলেছেন। বনের মধ্যে বসতি স্থাপন করায় হুমকির মুখে পড়েছে বনের জীববৈচিত্র্য।
স্থানীয় বাসিন্দা আলতাফ হাওলাদার বলেন, ‘বন না বাঁচলে আমরা বাঁচব না। বনের মধ্যে এ রকম বসতি স্থাপন করলে অচিরেই বনটি ধ্বংস হয়ে যাবে।’
ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজী অবশ্য বন ধ্বংসের বিষয়টি অস্বীকার করে দাবি করেন, এ বছর বন বিভাগের কর্মকর্তারা সরেজমিন যাচাই করে অনুমতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার লোকজন বনের মধ্যে যায় না এবং বনের এক টুকরো কাঠও ব্যবহার করেনি।’
বন বিভাগের একটি সূত্র জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণের জানমাল রক্ষার জন্য সরকার ১৯৭০ সালে তালতলী বন বিভাগের আওতায় ১১ হাজার একর এলাকা নিয়ে প্যারাবন সৃষ্টি করে। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডরের হাত থেকে এলাকার প্রায় ৫০ লাখ মানুষের জানমাল রক্ষা করে বনটি। এলাকার লোকজন চোখের সামনে তাদের জীবন রক্ষাকারী বনটি ধ্বংস হতে দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
মৎস্য ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, প্রতিবছর এখানে প্রায় ৫০ কোটি টাকার মাছ কেনাবেচা হয়। কিন্তু সরকারি কোষাগারে সঠিক পরিমাণ রাজস্ব জমা দেওয়া হয় না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন বিভাগের একটি সূত্র জানায়, সামান্য রাজস্ব সরকারি তহবিলে জমা দিয়ে বাকি টাকা পৌঁছে দেওয়া হয় বন বিভাগের বিভিন্ন মহলে।
তালতলী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘অবৈধ জেলেপল্লি স্থাপনের বিষয়টি শুনেছি। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
=======================
ট্রেনের ওপর ট্রেন সংকেত অমান্য, দুই ট্রেনের সংঘর্ষ আলোচনা- রবীন্দ্রনাথের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন ভাবনা আলোচনা- 'ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ঠাঁয় নেই দরিদ্রর উচ্চ শিক্ষা বিশেষ আলোচনা- ফিরে দেখা গঙ্গা চুক্তি আলোচনা- 'সংসদ বর্জনের অপসংস্কৃতি বন্ধ হোক' আলোচনা- 'উইকিলিকসে বাংলাদেশ, তারপর? আলোচনা- 'ওয়াংগালাঃ গারোদের জাতীয় উৎসব' স্মরণ- 'বাঘা যতীনঃ অগ্নিযুগের মহানায়ক' খবর, কালের কণ্ঠের- আগেই ধ্বংস মহাস্থানগঃ হাইকোর্টের নির্দেশে কাজ বন্ধ কেয়ার্নের সঙ্গে স্বার্থবিরোধী চুক্তির পেছনেও জ্বালানি উপদেষ্টা উইকিলিকস জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আত্মসমর্পণ সবুজ মাঠ পেরিয়ে আলোচনা- 'আরো অনুদানের টাকা সরিয়েছিলেন ইউনূস' আলোচনা- 'একটি 'উজ্জ্বল ভাবমূর্তির' এভারেস্ট থেকে পতন গল্পালোচনা- 'আসি আসি করে আশিতে আসবে!' রাষ্ট্র ও রাজনীতিঃ সবুজ মাঠ পেরিয়ে স্মরণ- 'রবীন্দ্রনাথ—সার্ধশত জন্মবার্ষিকীতে' স্মরণ- 'জননেতা দেওয়ান ফরিদ গাজী' আলোচনা- 'প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন পর্যায়' আলোচনা- 'কর্মপরিবেশঃ স্বর্গে তৈরি' গল্পালোচনা- ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া...’ আন্তর্জাতিক- উইকিলিকসঃ হাটে হাঁড়ি ভাঙা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ গল্পসল্প- ওরা ধান কুড়ানির দল শিক্ষা- আদিবাসী পাহাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চাই জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের অর্থের মূল উৎস সৌদি আরব রাজনৈতিক আলোচনা- এমন বন্ধু থাকলে... শিল্প-অর্থনীতি শেয়ারবাজারের সুন্দরী প্রতিযোগিতা-তত্ত্ব সাক্ষাৎকার- খাদ্যনিরাপত্তার জন্য বিকল্প উপায় খুঁজতা হবে খবর, প্রথম আলোর- দলীয় স্বার্থ বড় করে দেখবেন না মার্কিন কূটনীতিকদের গোপন তারবার্তাঃ পাকিস্তানে জঙ্গি নির্মূলে ১০-১৫ বছর লাগবে অধ্যাপক ইউনূসের অর্থ স্থানান্তর : গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাখ্যা শিল্প-অর্থনীতি 'সময় এসেছে মাথা তুলে দাঁড়াবার' প্রকৃতি- 'কিয়োটো প্রটোকল ভেস্তে যাচ্ছে, কানকুনে কী হবে?
দৈনিক প্রথম আলো এর সৌজন্যে
এই খবর'টি পড়া হয়েছে...
ট্রেনের ওপর ট্রেন সংকেত অমান্য, দুই ট্রেনের সংঘর্ষ আলোচনা- রবীন্দ্রনাথের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন ভাবনা আলোচনা- 'ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ঠাঁয় নেই দরিদ্রর উচ্চ শিক্ষা বিশেষ আলোচনা- ফিরে দেখা গঙ্গা চুক্তি আলোচনা- 'সংসদ বর্জনের অপসংস্কৃতি বন্ধ হোক' আলোচনা- 'উইকিলিকসে বাংলাদেশ, তারপর? আলোচনা- 'ওয়াংগালাঃ গারোদের জাতীয় উৎসব' স্মরণ- 'বাঘা যতীনঃ অগ্নিযুগের মহানায়ক' খবর, কালের কণ্ঠের- আগেই ধ্বংস মহাস্থানগঃ হাইকোর্টের নির্দেশে কাজ বন্ধ কেয়ার্নের সঙ্গে স্বার্থবিরোধী চুক্তির পেছনেও জ্বালানি উপদেষ্টা উইকিলিকস জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আত্মসমর্পণ সবুজ মাঠ পেরিয়ে আলোচনা- 'আরো অনুদানের টাকা সরিয়েছিলেন ইউনূস' আলোচনা- 'একটি 'উজ্জ্বল ভাবমূর্তির' এভারেস্ট থেকে পতন গল্পালোচনা- 'আসি আসি করে আশিতে আসবে!' রাষ্ট্র ও রাজনীতিঃ সবুজ মাঠ পেরিয়ে স্মরণ- 'রবীন্দ্রনাথ—সার্ধশত জন্মবার্ষিকীতে' স্মরণ- 'জননেতা দেওয়ান ফরিদ গাজী' আলোচনা- 'প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন পর্যায়' আলোচনা- 'কর্মপরিবেশঃ স্বর্গে তৈরি' গল্পালোচনা- ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া...’ আন্তর্জাতিক- উইকিলিকসঃ হাটে হাঁড়ি ভাঙা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ গল্পসল্প- ওরা ধান কুড়ানির দল শিক্ষা- আদিবাসী পাহাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চাই জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের অর্থের মূল উৎস সৌদি আরব রাজনৈতিক আলোচনা- এমন বন্ধু থাকলে... শিল্প-অর্থনীতি শেয়ারবাজারের সুন্দরী প্রতিযোগিতা-তত্ত্ব সাক্ষাৎকার- খাদ্যনিরাপত্তার জন্য বিকল্প উপায় খুঁজতা হবে খবর, প্রথম আলোর- দলীয় স্বার্থ বড় করে দেখবেন না মার্কিন কূটনীতিকদের গোপন তারবার্তাঃ পাকিস্তানে জঙ্গি নির্মূলে ১০-১৫ বছর লাগবে অধ্যাপক ইউনূসের অর্থ স্থানান্তর : গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাখ্যা শিল্প-অর্থনীতি 'সময় এসেছে মাথা তুলে দাঁড়াবার' প্রকৃতি- 'কিয়োটো প্রটোকল ভেস্তে যাচ্ছে, কানকুনে কী হবে?
দৈনিক প্রথম আলো এর সৌজন্যে
এই খবর'টি পড়া হয়েছে...
No comments