রেডিও অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন সু চি
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির অংশগ্রহণে একটি প্রশ্ন-উত্তরের অনুষ্ঠান প্রচার করছে রেডিও ফ্রি এশিয়া। বার্মিজ ভাষায় প্রচারিত এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের জনগণ এই প্রথমবারের মতো সু চির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ পেল।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত ওই রেডিওর এ অনুষ্ঠানে টেলিফোনে কিংবা ই-মেইল পাঠিয়ে প্রশ্ন করা যায়। রেডিও ফ্রি এশিয়ার (আরএফএ) এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘ডাও অং সান সু চি অ্যান্ড দ্য পিপল’ নামের এ অনুষ্ঠান গত ৩০ নভেম্বর প্রচার করা হয়। প্রথম দিন মিয়ানমারের ছয়জন প্রবাসী নাগরিক প্রশ্ন করেন। প্রশ্নকারীদের মধ্যে চিকিৎসক, কার্টুনিস্ট, ছাত্রনেতা, বৌদ্ধভিক্ষু ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা রয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে সু চি বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপর অবরোধ আরোপ করা হয়েছে। আরও করা হতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটানো যায় কি না।’
আরএফএ বারমিজের পরিচালক নিয়েইন শয়ে বলেন, এখন থেকে প্রতি শুক্রবার সান্ধ্য অধিবেশনে এ অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে। মিয়ানমারের প্রাপ্তবয়স্কদের অন্তত ২০ শতাংশ এ অনুষ্ঠান শোনেন। ইতিমধ্যে বহু শ্রোতা টেলিফোনে ও ই-মেইল পাঠিয়ে অনেক প্রশ্ন করেছেন।
শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চিকে গত ২১ বছরের মধ্যে অন্তত ১৫ বছর গৃহবন্দী করে রাখে জান্তা সরকার। গত ১৩ নভেম্বর সে দেশের গণতন্ত্রের প্রতীক এ নেত্রীকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি জনসংযোগ করছেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এবার রেডিও অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন।
নিয়েইন শয়ে বলেন, মিয়ানমারের সরকারি প্রচারমাধ্যমে এ ধরনের জনমত প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই। প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের এই দেশে এই প্রথম রেডিওতে প্রচারিত অনুষ্ঠানে সু চির মতো নেত্রীকে প্রশ্ন করার সুযোগ পেয়ে অনেক শ্রোতাই দারুণ আনন্দিত। শ্রোতাদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, সু চি আবারও এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠানে কথা বলবেন, সু চিকে প্রশ্ন করা যাবে, স্বপ্নেও কল্পনা করেনি সাধারণ মানুষ।
এদিকে মিয়ানমারের সব রাজনৈতিক কারাবন্দীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য দেশটির জান্তা সরকারের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত সোমবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
সম্প্রতি জাতিসংঘের বিশেষ দূত বিজয় নাম্বিয়ার মিয়ানমার সফর করেন। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের ডাকা এক সভায় সোমবার নাম্বিয়ার বক্তব্য দেন। ‘গ্রুপ অব ফ্রেন্ড’-এর এ সভায় বান কি মুন ছাড়াও ব্রিটেন, চীন, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ ১৪টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, সভায় অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের জন্য মিয়ানমারের জান্তা সরকারের উচিত, সু চির সঙ্গে আলোচনায় বসা। এ ছাড়া সে দেশের সব রাজনৈতিক কারাবন্দীকে মুক্তি দেওয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত ওই রেডিওর এ অনুষ্ঠানে টেলিফোনে কিংবা ই-মেইল পাঠিয়ে প্রশ্ন করা যায়। রেডিও ফ্রি এশিয়ার (আরএফএ) এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘ডাও অং সান সু চি অ্যান্ড দ্য পিপল’ নামের এ অনুষ্ঠান গত ৩০ নভেম্বর প্রচার করা হয়। প্রথম দিন মিয়ানমারের ছয়জন প্রবাসী নাগরিক প্রশ্ন করেন। প্রশ্নকারীদের মধ্যে চিকিৎসক, কার্টুনিস্ট, ছাত্রনেতা, বৌদ্ধভিক্ষু ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা রয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে সু চি বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপর অবরোধ আরোপ করা হয়েছে। আরও করা হতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটানো যায় কি না।’
আরএফএ বারমিজের পরিচালক নিয়েইন শয়ে বলেন, এখন থেকে প্রতি শুক্রবার সান্ধ্য অধিবেশনে এ অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে। মিয়ানমারের প্রাপ্তবয়স্কদের অন্তত ২০ শতাংশ এ অনুষ্ঠান শোনেন। ইতিমধ্যে বহু শ্রোতা টেলিফোনে ও ই-মেইল পাঠিয়ে অনেক প্রশ্ন করেছেন।
শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চিকে গত ২১ বছরের মধ্যে অন্তত ১৫ বছর গৃহবন্দী করে রাখে জান্তা সরকার। গত ১৩ নভেম্বর সে দেশের গণতন্ত্রের প্রতীক এ নেত্রীকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি জনসংযোগ করছেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এবার রেডিও অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন।
নিয়েইন শয়ে বলেন, মিয়ানমারের সরকারি প্রচারমাধ্যমে এ ধরনের জনমত প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই। প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের এই দেশে এই প্রথম রেডিওতে প্রচারিত অনুষ্ঠানে সু চির মতো নেত্রীকে প্রশ্ন করার সুযোগ পেয়ে অনেক শ্রোতাই দারুণ আনন্দিত। শ্রোতাদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, সু চি আবারও এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠানে কথা বলবেন, সু চিকে প্রশ্ন করা যাবে, স্বপ্নেও কল্পনা করেনি সাধারণ মানুষ।
এদিকে মিয়ানমারের সব রাজনৈতিক কারাবন্দীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য দেশটির জান্তা সরকারের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত সোমবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
সম্প্রতি জাতিসংঘের বিশেষ দূত বিজয় নাম্বিয়ার মিয়ানমার সফর করেন। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের ডাকা এক সভায় সোমবার নাম্বিয়ার বক্তব্য দেন। ‘গ্রুপ অব ফ্রেন্ড’-এর এ সভায় বান কি মুন ছাড়াও ব্রিটেন, চীন, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ ১৪টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, সভায় অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের জন্য মিয়ানমারের জান্তা সরকারের উচিত, সু চির সঙ্গে আলোচনায় বসা। এ ছাড়া সে দেশের সব রাজনৈতিক কারাবন্দীকে মুক্তি দেওয়া।
No comments