গত অর্থবছরে এসএমই খাতে ঋণপ্রবাহ বেড়েছে ১৭%
গত ২০০৯-১০ অর্থবছরে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সামগ্রিকভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ (এসএমই) খাতে যে পরিমাণ ঋণ বিতরণ করেছে, তা আগের বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে ২০১০ সালের জুন শেষে এসএমই খাতে প্রদত্ত ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ৭২০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আর ২০০৯ সালের জুন শেষে এই স্থিতি ছিল ৪৮ হাজার ৪৭৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। তার মানে এই এক বছরে এসএমই খাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো মোট আট হাজার ২৪৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বিতরণ করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায় যে গত অর্থবছর শেষে এসএমই ঋণের স্থিতি ওই সময়ে মোট বিতরণকৃত ঋণের স্থিতির ১৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
অবশ্য তার আগের বছর অর্থাৎ ২০০৯ সালের জুন শেষে এই হার ছিল প্রায় ২১ শতাংশ। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় মোট বিতরণকৃত ঋণ এসএমইর অংশ সামান্য হ্রাস পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি বছরগুলোয় এসএমই খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নানাভাবে উৎসাহিত করে আসছে। বিভিন্ন ধরনের নীতি-নির্দেশনাও প্রণয়ন করেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে খোলা হয়েছে এসএমই ও স্পেশাল প্রোগ্রাম বিভাগ।
আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের মোট এসএসই ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগে বিতরণ করার জন্যও নির্দেশনা দিয়েছে।
তবে পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায় যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোই এসএমই খাতে সবচেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করে আসছে।
এ বছরের জুন শেষে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মোট বিতরণকৃত ঋণের ৩২ দশমিক ৩৩ শতাংশই গেছে এসএমই খাতে। ২০০৯ সালের জুন শেষেও অবশ্য এই হার প্রায় একই রকম ছিল।
অন্যদিকে, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় মোট বিতরণকৃত ঋণে এসএমই খাতের অংশ কিছুটা কমে গেছে।
২০০৯ সালের জুন শেষে যেখানে এই ব্যাংকগুলোর মোট বিতরণকৃত ঋণের ১৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ ছিল এসএমই খাতে ঋণ, সেখানে গত বছরের জুনে এসে এই হার হয়েছে ১৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায় যে আলোচ্য সময়ে বিদেশি ব্যাংকগুলোর মোট বিতরণকৃত ঋণের মাত্র ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ গেছে এসএমই খাতে। অন্যদিকে বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোয় এই হার ছিল ১৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
আবার ২০০৯ সালের জুন শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ১৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ ছিল এসএমই খাতে ঋণ, যেখানে ২০১০ সালের জুন শেষে এই হার ছিল সাড়ে ১২ দশমিক ২৩ শতাংশ।
এদিকে নতুন শিল্পনীতিতে (শিল্পনীতি আদেশ-২০১০) এসএমইর সংজ্ঞা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে ‘মাঝারি শিল্প’ বলতে যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি ও কারখানা ভবন ছাড়া স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ১০ কোটি টাকার বেশি ও ৩০ কোটি টাকার মধ্যে কিংবা যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ১০০ থেকে ২৫০ জন শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন, সেসব প্রতিষ্ঠানকে বোঝানো হয়েছে।
আর সেবামূলক শিল্পের ক্ষেত্রে ‘মাঝারি শিল্প’ বলতে সেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বোঝাবে, যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি ও কারখানা ভবন ছাড়া স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ এক কোটি টাকা থেকে ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত কিংবা যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ৫০ থেকে ১০০ জন শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন।
অবশ্য কোনো একটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে একটি কর্মকাণ্ড মাঝারি শিল্পে অন্তর্ভুক্ত হলেও অন্য মানদণ্ডে সেটি বৃহৎ শিল্পের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এ কর্মকাণ্ডটি বৃহৎ শিল্পের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবে।
এ ছাড়া শিল্পনীতিতে ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে ‘ক্ষুদ্র শিল্প’ বলতে সেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বোঝাবে, যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি ও কারখানা ভবন ছাড়া স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ৫০ লাখ টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা কিংবা যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ২৫ থেকে ৯৯ জন শ্রমিক কাজ করেন।
আর সেবামূলক শিল্পের ক্ষেত্রে ‘ক্ষুদ্র শিল্প’ বলতে সেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বোঝাবে, যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি ও কারখানা ভবন ছাড়া স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ পাঁচ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকা কিংবা যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ১০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক কাজ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে ২০১০ সালের জুন শেষে এসএমই খাতে প্রদত্ত ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ৭২০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আর ২০০৯ সালের জুন শেষে এই স্থিতি ছিল ৪৮ হাজার ৪৭৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। তার মানে এই এক বছরে এসএমই খাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো মোট আট হাজার ২৪৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বিতরণ করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায় যে গত অর্থবছর শেষে এসএমই ঋণের স্থিতি ওই সময়ে মোট বিতরণকৃত ঋণের স্থিতির ১৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
অবশ্য তার আগের বছর অর্থাৎ ২০০৯ সালের জুন শেষে এই হার ছিল প্রায় ২১ শতাংশ। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় মোট বিতরণকৃত ঋণ এসএমইর অংশ সামান্য হ্রাস পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি বছরগুলোয় এসএমই খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নানাভাবে উৎসাহিত করে আসছে। বিভিন্ন ধরনের নীতি-নির্দেশনাও প্রণয়ন করেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে খোলা হয়েছে এসএমই ও স্পেশাল প্রোগ্রাম বিভাগ।
আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের মোট এসএসই ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগে বিতরণ করার জন্যও নির্দেশনা দিয়েছে।
তবে পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায় যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোই এসএমই খাতে সবচেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করে আসছে।
এ বছরের জুন শেষে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মোট বিতরণকৃত ঋণের ৩২ দশমিক ৩৩ শতাংশই গেছে এসএমই খাতে। ২০০৯ সালের জুন শেষেও অবশ্য এই হার প্রায় একই রকম ছিল।
অন্যদিকে, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় মোট বিতরণকৃত ঋণে এসএমই খাতের অংশ কিছুটা কমে গেছে।
২০০৯ সালের জুন শেষে যেখানে এই ব্যাংকগুলোর মোট বিতরণকৃত ঋণের ১৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ ছিল এসএমই খাতে ঋণ, সেখানে গত বছরের জুনে এসে এই হার হয়েছে ১৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায় যে আলোচ্য সময়ে বিদেশি ব্যাংকগুলোর মোট বিতরণকৃত ঋণের মাত্র ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ গেছে এসএমই খাতে। অন্যদিকে বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোয় এই হার ছিল ১৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
আবার ২০০৯ সালের জুন শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ১৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ ছিল এসএমই খাতে ঋণ, যেখানে ২০১০ সালের জুন শেষে এই হার ছিল সাড়ে ১২ দশমিক ২৩ শতাংশ।
এদিকে নতুন শিল্পনীতিতে (শিল্পনীতি আদেশ-২০১০) এসএমইর সংজ্ঞা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে ‘মাঝারি শিল্প’ বলতে যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি ও কারখানা ভবন ছাড়া স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ১০ কোটি টাকার বেশি ও ৩০ কোটি টাকার মধ্যে কিংবা যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ১০০ থেকে ২৫০ জন শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন, সেসব প্রতিষ্ঠানকে বোঝানো হয়েছে।
আর সেবামূলক শিল্পের ক্ষেত্রে ‘মাঝারি শিল্প’ বলতে সেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বোঝাবে, যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি ও কারখানা ভবন ছাড়া স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ এক কোটি টাকা থেকে ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত কিংবা যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ৫০ থেকে ১০০ জন শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন।
অবশ্য কোনো একটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে একটি কর্মকাণ্ড মাঝারি শিল্পে অন্তর্ভুক্ত হলেও অন্য মানদণ্ডে সেটি বৃহৎ শিল্পের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এ কর্মকাণ্ডটি বৃহৎ শিল্পের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবে।
এ ছাড়া শিল্পনীতিতে ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে ‘ক্ষুদ্র শিল্প’ বলতে সেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বোঝাবে, যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি ও কারখানা ভবন ছাড়া স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ৫০ লাখ টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা কিংবা যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ২৫ থেকে ৯৯ জন শ্রমিক কাজ করেন।
আর সেবামূলক শিল্পের ক্ষেত্রে ‘ক্ষুদ্র শিল্প’ বলতে সেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বোঝাবে, যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি ও কারখানা ভবন ছাড়া স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ পাঁচ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকা কিংবা যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ১০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক কাজ করেন।
No comments