পাকিস্তানে মার্কিন মানবহীন বিমান হামলার নেপথ্যে
পাকিস্তানে মার্কিন বাহিনীর মানববিহীন বিমান হামলা চালানোর মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে ইউরোপে সন্দেহভাজন জঙ্গি হামলা পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বলছেন, জঙ্গিরা ইউরোপের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এসব পরিকল্পনা নস্যাৎ করার চেষ্টা হিসেবে পাকিস্তানে ‘ড্রোন’ বা চালকবিহীন বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর মাত্রা বাড়ানো হয়েছে।
গত মাসে আফগান-সীমান্তসংলগ্ন পাকিস্তানি ভূখণ্ডে মার্কিন বাহিনী কমপক্ষে ২৬ বার মানববিহীন বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। গত ছয় বছরে পাকিস্তানে মার্কিন বাহিনী এক মাসে এতবার এ ধরনের হামলা চালায়নি। মানববিহীন বিমান ড্রোন নামে পরিচিত। এটি এক ধরনের চালকবিহীন ছোট আকৃতির বিমান। দূর-নিয়ন্ত্রণযন্ত্রের সাহায্যে এটি পরিকল্পনা করা যায়। সর্বশেষ গত সোমবার উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মীর আলি শহর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরের একটি গ্রামের বাড়িতে ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হুসেইন হক্কানি বিবিসিকে বলেছেন, ওই হামলায় মোট আটজন জঙ্গি নিহত হয়। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে পাঁচজন ছিল জার্মানির নাগরিক। গত মাসে একই ধরনের একটি হামলায় ওয়াজিরিস্তানে আবদুল জব্বার নামের ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত এক সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হয়।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, গত জুলাই মাসে আফগানিস্তান থেকে তাঁরা এক জার্মানির নাগরিককে আটক করেন। তাঁর কাছ থেকে তাঁরা জানতে পারেন, জঙ্গিরা ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানিতে কমান্ডো স্টাইলে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে।
এসব বিষয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত হুসেইন হক্কানি বলেন, ‘আল-কায়েদা ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সদস্যদের পাকড়াও করতে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখছি, তার সঙ্গে ইউরোপে হামলা চালানোর পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে।’ তিনি বলেন, ইউরোপে হামলার পরিকল্পনা বানচাল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের গোয়েন্দাদের সঙ্গে পাকিস্তান কাজ করছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, প্যারিস, লন্ডন ও বার্লিনে জঙ্গিরা বড় ধরনের হামলা চালানোর পাঁয়তারা করছে। ইউরোপ-ভ্রমণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তার নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছে।
জার্মানির গণমাধ্যমগুলোর দাবি, ২০০৯ সালে হামবুর্গ থেকে কিছু ইসলামি জঙ্গি পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে চলে আসে।
গত সোমবার জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সে দেশ থেকে ৭০ জন লোক আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এর মধ্যে তাদের এক-তৃতীয়াংশ জার্মানিতে ফিরেও এসেছে। তারা সেখানে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে বলে সে দেশের সরকার আশঙ্কা করছে।
পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বলছেন, জঙ্গিরা ইউরোপের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এসব পরিকল্পনা নস্যাৎ করার চেষ্টা হিসেবে পাকিস্তানে ‘ড্রোন’ বা চালকবিহীন বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর মাত্রা বাড়ানো হয়েছে।
গত মাসে আফগান-সীমান্তসংলগ্ন পাকিস্তানি ভূখণ্ডে মার্কিন বাহিনী কমপক্ষে ২৬ বার মানববিহীন বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। গত ছয় বছরে পাকিস্তানে মার্কিন বাহিনী এক মাসে এতবার এ ধরনের হামলা চালায়নি। মানববিহীন বিমান ড্রোন নামে পরিচিত। এটি এক ধরনের চালকবিহীন ছোট আকৃতির বিমান। দূর-নিয়ন্ত্রণযন্ত্রের সাহায্যে এটি পরিকল্পনা করা যায়। সর্বশেষ গত সোমবার উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মীর আলি শহর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরের একটি গ্রামের বাড়িতে ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হুসেইন হক্কানি বিবিসিকে বলেছেন, ওই হামলায় মোট আটজন জঙ্গি নিহত হয়। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে পাঁচজন ছিল জার্মানির নাগরিক। গত মাসে একই ধরনের একটি হামলায় ওয়াজিরিস্তানে আবদুল জব্বার নামের ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত এক সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হয়।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, গত জুলাই মাসে আফগানিস্তান থেকে তাঁরা এক জার্মানির নাগরিককে আটক করেন। তাঁর কাছ থেকে তাঁরা জানতে পারেন, জঙ্গিরা ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানিতে কমান্ডো স্টাইলে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে।
এসব বিষয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত হুসেইন হক্কানি বলেন, ‘আল-কায়েদা ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সদস্যদের পাকড়াও করতে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখছি, তার সঙ্গে ইউরোপে হামলা চালানোর পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে।’ তিনি বলেন, ইউরোপে হামলার পরিকল্পনা বানচাল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের গোয়েন্দাদের সঙ্গে পাকিস্তান কাজ করছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, প্যারিস, লন্ডন ও বার্লিনে জঙ্গিরা বড় ধরনের হামলা চালানোর পাঁয়তারা করছে। ইউরোপ-ভ্রমণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তার নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছে।
জার্মানির গণমাধ্যমগুলোর দাবি, ২০০৯ সালে হামবুর্গ থেকে কিছু ইসলামি জঙ্গি পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে চলে আসে।
গত সোমবার জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সে দেশ থেকে ৭০ জন লোক আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এর মধ্যে তাদের এক-তৃতীয়াংশ জার্মানিতে ফিরেও এসেছে। তারা সেখানে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে বলে সে দেশের সরকার আশঙ্কা করছে।
No comments