ড্রোন আক্রমণের শোধ নিতে হামলা চালাচ্ছে তালেবান
পাকিস্তানে তালেবান জঙ্গিরা আবারও ন্যাটো বাহিনীর তেলের ট্যাংকারে হামলা চালিয়েছে। গতকাল বুধবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কোয়েটায় সর্বশেষ এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। জঙ্গিরা এ সময় ২৫টি ট্যাংকার জ্বালিয়ে দেওয়া ছাড়াও গুলি করে একজন ট্যাংকার চালককেও হত্যা করে।
এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে পাকিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর তেলবাহী ট্যাংকারে চতুর্থবারের মতো হামলা চালানো হলো। এতে মোট ৬০টিরও বেশি ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে। নিহত হয়েছে অন্তত চারজন। তালেবান বাহিনী সব কটি হামলার দায় স্বীকার করেছে। সংগঠনটি বলেছে, পাকিস্তানি ভূখণ্ডে মার্কিন চালকবিহীন বিমানের (ড্রোন) ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এসব হামলা চালানো হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও হামলা হবে।
কোয়েটার প্রধান পুলিশ কর্মকর্তা হামিদ শাকিল জানান, সকালে ১৪ জন বন্দুকধারী জঙ্গি দুটি গাড়িতে করে এসে এ হামলা চালায়। অস্ত্রধারীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করলে লোকজন দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। এই সুযোগে জঙ্গিরা একটি গাড়ি নিয়ে টার্মিনালের ভেতরে ঢুকে যায় এবং ট্যাংকারে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় সেখানে ৪০টির মতো ট্যাংকার ছিল।
হামিদ শাকিল বলেন, চলন্ত অবস্থায় ট্যাংকারগুলোর নিরাপত্তা সাধারণত পুলিশই নিশ্চিত করে। কিন্তু টার্মিনালে থাকলে এর নিরাপত্তার দায়িত্ব স্থাপনাটির কর্তৃপক্ষের।
পাকিস্তান সরকার গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ একটি সীমান্ত প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়। এরপরই সেখানে জঙ্গি হামলার ঘটনা বেড়েছে। সীমান্ত এলাকায় ন্যাটো বাহিনীর হেলিকপ্টার হামলায় তিনজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার ওই প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর আফগানিস্তান অভিমুখী শত শত ট্রাক ও ট্যাংকার পাকিস্তানের অভ্যন্তরে আটকা পড়ে। আফগানিস্তানে নিয়োজিত ন্যাটো বাহিনীর জন্য দরকারি জ্বালানি পাকিস্তান হয়ে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
বুধবারের ট্যাংকার হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে তেহরিক-ই-তালেবানের মুখপাত্র আজম তারিক বলেছেন, ‘কোয়েটায় ন্যাটো বাহিনীর ট্যাংকারে হামলা চালানোর দায় আমরা স্বীকার করছি। ড্রোন হামলা বন্ধ না হলে আমরাও হামলা চালাতে থাকব।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের দূত হুসেইন হাক্কানি বলেছেন, ইউরোপে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে এর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে বিঘ্ন ঘটানোর লক্ষ্যেই পাকিস্তানে জঙ্গি লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন হামলা বাড়ানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, ৩ সেপ্টেম্বর থেকে পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানের উপজাতি-অধ্যুষিত এলাকায় এ পর্যন্ত ২৪টি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে পাকিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর তেলবাহী ট্যাংকারে চতুর্থবারের মতো হামলা চালানো হলো। এতে মোট ৬০টিরও বেশি ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে। নিহত হয়েছে অন্তত চারজন। তালেবান বাহিনী সব কটি হামলার দায় স্বীকার করেছে। সংগঠনটি বলেছে, পাকিস্তানি ভূখণ্ডে মার্কিন চালকবিহীন বিমানের (ড্রোন) ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এসব হামলা চালানো হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও হামলা হবে।
কোয়েটার প্রধান পুলিশ কর্মকর্তা হামিদ শাকিল জানান, সকালে ১৪ জন বন্দুকধারী জঙ্গি দুটি গাড়িতে করে এসে এ হামলা চালায়। অস্ত্রধারীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করলে লোকজন দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। এই সুযোগে জঙ্গিরা একটি গাড়ি নিয়ে টার্মিনালের ভেতরে ঢুকে যায় এবং ট্যাংকারে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় সেখানে ৪০টির মতো ট্যাংকার ছিল।
হামিদ শাকিল বলেন, চলন্ত অবস্থায় ট্যাংকারগুলোর নিরাপত্তা সাধারণত পুলিশই নিশ্চিত করে। কিন্তু টার্মিনালে থাকলে এর নিরাপত্তার দায়িত্ব স্থাপনাটির কর্তৃপক্ষের।
পাকিস্তান সরকার গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ একটি সীমান্ত প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়। এরপরই সেখানে জঙ্গি হামলার ঘটনা বেড়েছে। সীমান্ত এলাকায় ন্যাটো বাহিনীর হেলিকপ্টার হামলায় তিনজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার ওই প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর আফগানিস্তান অভিমুখী শত শত ট্রাক ও ট্যাংকার পাকিস্তানের অভ্যন্তরে আটকা পড়ে। আফগানিস্তানে নিয়োজিত ন্যাটো বাহিনীর জন্য দরকারি জ্বালানি পাকিস্তান হয়ে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
বুধবারের ট্যাংকার হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে তেহরিক-ই-তালেবানের মুখপাত্র আজম তারিক বলেছেন, ‘কোয়েটায় ন্যাটো বাহিনীর ট্যাংকারে হামলা চালানোর দায় আমরা স্বীকার করছি। ড্রোন হামলা বন্ধ না হলে আমরাও হামলা চালাতে থাকব।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের দূত হুসেইন হাক্কানি বলেছেন, ইউরোপে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে এর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে বিঘ্ন ঘটানোর লক্ষ্যেই পাকিস্তানে জঙ্গি লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন হামলা বাড়ানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, ৩ সেপ্টেম্বর থেকে পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানের উপজাতি-অধ্যুষিত এলাকায় এ পর্যন্ত ২৪টি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
No comments