আফগানিস্তানে ছয় মার্কিনিসহ ১০চিকিৎসককে হত্যা করেছে তালেবান
আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বাদাখশান প্রদেশে আট বিদেশি চিকিৎসকসহ ১০ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জন মার্কিন, একজন ব্রিটিশ, একজন জার্মান এবং দুজন আফগানিস্তানের নাগরিক। তালেবান এই হত্যার দায় স্বীকার করে বলেছে, বিদেশি চিকিৎসকেরা অন্যদের খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত করার কাজ করছিল।
বাদাখশান প্রদেশের পুলিশপ্রধান আকা নূর কানতুজ জানিয়েছেন, শনিবার সকালে গুলিবিদ্ধ মৃতদেহগুলো পাওয়া গেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক দিন আগে তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। মৃতদেহের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় তিনটি গাড়ি পাওয়া গেছে। সেগুলোতেও অসংখ্য গুলির চিহ্ন আছে।
কানতুজ জানান, নিহত বিদেশিরা নিজেদের চিকিৎসক বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। তবে অনেকে বলছেন তাঁরা পর্যটক। তাঁরা একটি জঙ্গলের পাশ দিয়ে বাদাখশান থেকে নুরিস্তান প্রদেশে যাচ্ছিলেন। পথে তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়।
পুলিশপ্রধান কানতুজ বলেন, ‘ভ্রমণের আগে আমরা তাঁদের নিষেধ করেছিলাম জঙ্গলের পাশ দিয়ে নুরিস্তান না যেতে। কিন্তু তাঁরা নিজেদের চিকিৎসক দাবি করে জানান কেউ তাঁদের ক্ষতি করবে না।’
নুরিস্তান প্রদেশের গভর্নর জামালুদ্দিন বদরও জানিয়েছেন, নিহত বিদেশিরা ছিলেন চিকিৎসক। তাঁরা নুরিস্তান ও বাদাখশান প্রদেশের অনেক জেলায় ঘুরে লোকজনকে চিকিৎসা দিয়েছেন।
তবে পুলিশ বলছে, ডাকাতেরা তাঁদের হত্যা করতে পারে। যদিও এ হত্যার দায় স্বীকার করেছে তালেবান।
তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, নিহত ব্যক্তিরা খ্রিষ্টান ধর্ম প্রাচারের কাজ করছিলেন। তাঁদের কাছে দারি ভাষায় অনূদিত বাইবেল পাওয়া গেছে।
মুজাহিদ বলেন, ‘আমাদের একটি টহল দল নিশ্চিত যে বিদেশিদের একটি দল এই এলাকায় এসেছে। ওই বিদেশিরা খ্রিষ্টান ধর্মপ্রচারক এবং আমরা তাঁদের সবাইকে হত্যা করি।’
জানা গেছে, বিদেশিরা একটি খ্রিষ্টান দাতব্যপ্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট মিশনের হয়ে কাজ করতেন। এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৬ সাল থেকে আফগানিস্তানে কাজ করছে। তবে ওই চিকিৎসকেরা ধর্মপ্রচারক ছিলেন না বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
কাবুলে মার্কিন দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন মার্কিন নাগরিক আছেন বলে তারা জানতে পেরেছে। দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এর থেকে বিস্তারিত কিছু আমরা এই মুহূর্তে জানি না। তবে নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি।’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও জানিয়েছে, উত্তর আফগানিস্তানে কয়েকটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে তারা জেনেছে। বিষয়টি সম্পর্কে তারা খোঁজখবর নিচ্ছে।
বাদাখশান প্রদেশের পুলিশপ্রধান আকা নূর কানতুজ জানিয়েছেন, শনিবার সকালে গুলিবিদ্ধ মৃতদেহগুলো পাওয়া গেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক দিন আগে তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। মৃতদেহের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় তিনটি গাড়ি পাওয়া গেছে। সেগুলোতেও অসংখ্য গুলির চিহ্ন আছে।
কানতুজ জানান, নিহত বিদেশিরা নিজেদের চিকিৎসক বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। তবে অনেকে বলছেন তাঁরা পর্যটক। তাঁরা একটি জঙ্গলের পাশ দিয়ে বাদাখশান থেকে নুরিস্তান প্রদেশে যাচ্ছিলেন। পথে তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়।
পুলিশপ্রধান কানতুজ বলেন, ‘ভ্রমণের আগে আমরা তাঁদের নিষেধ করেছিলাম জঙ্গলের পাশ দিয়ে নুরিস্তান না যেতে। কিন্তু তাঁরা নিজেদের চিকিৎসক দাবি করে জানান কেউ তাঁদের ক্ষতি করবে না।’
নুরিস্তান প্রদেশের গভর্নর জামালুদ্দিন বদরও জানিয়েছেন, নিহত বিদেশিরা ছিলেন চিকিৎসক। তাঁরা নুরিস্তান ও বাদাখশান প্রদেশের অনেক জেলায় ঘুরে লোকজনকে চিকিৎসা দিয়েছেন।
তবে পুলিশ বলছে, ডাকাতেরা তাঁদের হত্যা করতে পারে। যদিও এ হত্যার দায় স্বীকার করেছে তালেবান।
তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, নিহত ব্যক্তিরা খ্রিষ্টান ধর্ম প্রাচারের কাজ করছিলেন। তাঁদের কাছে দারি ভাষায় অনূদিত বাইবেল পাওয়া গেছে।
মুজাহিদ বলেন, ‘আমাদের একটি টহল দল নিশ্চিত যে বিদেশিদের একটি দল এই এলাকায় এসেছে। ওই বিদেশিরা খ্রিষ্টান ধর্মপ্রচারক এবং আমরা তাঁদের সবাইকে হত্যা করি।’
জানা গেছে, বিদেশিরা একটি খ্রিষ্টান দাতব্যপ্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট মিশনের হয়ে কাজ করতেন। এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৬ সাল থেকে আফগানিস্তানে কাজ করছে। তবে ওই চিকিৎসকেরা ধর্মপ্রচারক ছিলেন না বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
কাবুলে মার্কিন দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন মার্কিন নাগরিক আছেন বলে তারা জানতে পেরেছে। দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এর থেকে বিস্তারিত কিছু আমরা এই মুহূর্তে জানি না। তবে নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি।’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও জানিয়েছে, উত্তর আফগানিস্তানে কয়েকটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে তারা জেনেছে। বিষয়টি সম্পর্কে তারা খোঁজখবর নিচ্ছে।
No comments