নিত্যপণ্যের বাজারদর
পবিত্র রমজান মাস যত কাছে আসছে, ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নিত্যপণ্যের বাজার। চিনি, তেল, ডাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন পণ্যের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। এতে করে বাড়ছে মানুষের ভোগান্তি; বিশেষ করে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এ রকম একটা পরিস্থিতিতে সরকার ও ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, রমজান মাসে দাম আর বাড়বে না, স্থিতিশীল থাকবে। নিন্দুকেরা অবশ্য বলছেন যে রমজান মাসে না বাড়লেও রমজান শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত দাম বাড়ায় কোনো বাধা নেই। বাজারদরের প্রবণতা যেন এ কথারই সত্যতা প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ইতিমধ্যে এ চিত্রটি ফুটে উঠেছে।
বস্তুত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদরের ওঠানামা প্রধানত নির্ভর করে চাহিদা ও জোগানের ভারসাম্যের ওপর। সুতরাং চাহিদা-পরিমাণ ও জোগান-পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিকভাবে না জানলে বাজারদরের অস্থিরতা প্রশমন করা সম্ভব নয়। সরকার তথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে এই চাহিদার বিষয়ে যেমন কোনো উপাত্ত নেই, তেমনি নেই জোগান-পরিস্থিতির হালনাগাদ পরিসংখ্যান। একইভাবে অদূর-ভবিষ্যতে বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা ও জোগান সম্পর্কে প্রক্ষেপণ করার কোনো নিবিড় পদ্ধতিও গড়ে ওঠেনি। আবার সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যেও এ বিষয়ে নেই কোনো সুসমন্বয়। এর ফলে চাহিদা-জোগান সম্পর্কে জানতে নির্ভর করতে হয় আমদানিকারকসহ ব্যবসায়ী মহলের ওপর। এখানেও দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠনসহ বাণিজ্য সংগঠনগুলোর গোছানো কোনো কাজ নেই। ফলে চাহিদা-জোগানের বিষয়টি বহুলাংশে অনুমাননির্ভর হয়ে গেছে। আর এই অনুমাননির্ভর উপাত্তের ভিত্তিতে বাজারে সরকারি হস্তক্ষেপের চেষ্টা বাজারদরের অস্থিরতাকে আরও উসকে দিচ্ছে।
প্রশ্ন হলো, বাজারে হস্তক্ষেপ করার সামর্থ্য কেন সরকার গড়ে তোলেনি? ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মতো নাজুক সংস্থাকে দিয়ে নিত্যপণ্যের বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর সীমিত চেষ্টাও যে বারবার ব্যর্থ হয়েছে, তা তো সবারই জানা। তার পরও একই চেষ্টা করার মানে কী? আবার বিভিন্ন পণ্যের বাজারদর বেঁধে দিলেও তা কাজে আসছে না। কাজে তো আসবেই না। সরকার যখন প্রচলিত বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে ভোজ্যতেলের দাম বেঁধে দেয়, তখন তা আমদানিকারক ও বিক্রেতাকে আসলে আরেক দফা দাম বাড়ানোরই সংকেত দেয়। ব্যবসায়ী নেতারাই বা কেন বারবার লোক-দেখানো বৈঠক করে দাম স্থিতিশীল রাখার আশ্বাস দিচ্ছেন? তাঁরা যদি সত্যিই বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে সহায়তা করতে চান, তাহলে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর দিকে বেশি মনোযোগ দিলেই পারেন। একদিকে সরকার ও ব্যবসায়ী নেতারা বাক্যব্যয় করবেন, অন্যদিকে বাজারদরে অস্থিরতা চলবে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অর্থবহভাবে বাজারে হস্তক্ষেপ ও তদারকির সামর্থ্য সরকারের থাকতে হবে, অন্যথায় বাজারদরে স্থিতিশীলতা আনা কঠিন।
বস্তুত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদরের ওঠানামা প্রধানত নির্ভর করে চাহিদা ও জোগানের ভারসাম্যের ওপর। সুতরাং চাহিদা-পরিমাণ ও জোগান-পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিকভাবে না জানলে বাজারদরের অস্থিরতা প্রশমন করা সম্ভব নয়। সরকার তথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে এই চাহিদার বিষয়ে যেমন কোনো উপাত্ত নেই, তেমনি নেই জোগান-পরিস্থিতির হালনাগাদ পরিসংখ্যান। একইভাবে অদূর-ভবিষ্যতে বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা ও জোগান সম্পর্কে প্রক্ষেপণ করার কোনো নিবিড় পদ্ধতিও গড়ে ওঠেনি। আবার সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যেও এ বিষয়ে নেই কোনো সুসমন্বয়। এর ফলে চাহিদা-জোগান সম্পর্কে জানতে নির্ভর করতে হয় আমদানিকারকসহ ব্যবসায়ী মহলের ওপর। এখানেও দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠনসহ বাণিজ্য সংগঠনগুলোর গোছানো কোনো কাজ নেই। ফলে চাহিদা-জোগানের বিষয়টি বহুলাংশে অনুমাননির্ভর হয়ে গেছে। আর এই অনুমাননির্ভর উপাত্তের ভিত্তিতে বাজারে সরকারি হস্তক্ষেপের চেষ্টা বাজারদরের অস্থিরতাকে আরও উসকে দিচ্ছে।
প্রশ্ন হলো, বাজারে হস্তক্ষেপ করার সামর্থ্য কেন সরকার গড়ে তোলেনি? ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মতো নাজুক সংস্থাকে দিয়ে নিত্যপণ্যের বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর সীমিত চেষ্টাও যে বারবার ব্যর্থ হয়েছে, তা তো সবারই জানা। তার পরও একই চেষ্টা করার মানে কী? আবার বিভিন্ন পণ্যের বাজারদর বেঁধে দিলেও তা কাজে আসছে না। কাজে তো আসবেই না। সরকার যখন প্রচলিত বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে ভোজ্যতেলের দাম বেঁধে দেয়, তখন তা আমদানিকারক ও বিক্রেতাকে আসলে আরেক দফা দাম বাড়ানোরই সংকেত দেয়। ব্যবসায়ী নেতারাই বা কেন বারবার লোক-দেখানো বৈঠক করে দাম স্থিতিশীল রাখার আশ্বাস দিচ্ছেন? তাঁরা যদি সত্যিই বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে সহায়তা করতে চান, তাহলে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর দিকে বেশি মনোযোগ দিলেই পারেন। একদিকে সরকার ও ব্যবসায়ী নেতারা বাক্যব্যয় করবেন, অন্যদিকে বাজারদরে অস্থিরতা চলবে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অর্থবহভাবে বাজারে হস্তক্ষেপ ও তদারকির সামর্থ্য সরকারের থাকতে হবে, অন্যথায় বাজারদরে স্থিতিশীলতা আনা কঠিন।
No comments