স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি ঠিক বলেছেন -সন্ত্রাসীদের ধরার নির্দেশ দিলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পেছনে সক্রিয় ছিল চাঁদাবাজি ও জমির দখল বুঝে নেওয়ার ঘটনা। এ কাজ তারা বহুদিন ধরেই চালিয়ে আসছিল। সরকারের কেউ জানতেন না, তাও নয়। তাঁরা জেনেশুনেই সংশ্লিষ্ট নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি। ফলে দিনে দিনে সন্ত্রাসীরা পরিণত হয়েছে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনে, যে কারণে দেশের অন্যতম শীর্ষ বিদ্যাপীঠটি মাঝেমধ্যেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। জাহাঙ্গীরনগরের ঘটনা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে দায় এড়ানোর চেষ্টা রয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘সন্ত্রাসের সঙ্গে যারাই জড়িত, তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পরও কিছু ঘটে গেলে কী করার আছে?’
তাঁর এ বক্তব্যে সন্ত্রাসীরা আশকারা পাবে সন্দেহ নেই। সন্ত্রাসীদের ধরার নির্দেশ দিলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। সেই নির্দেশ পালিত হচ্ছে কি না, সেটি দেখার দায়িত্বও তাঁর। এ কথা অন্য কোনো মন্ত্রী বললে না-হয় মানা যেত। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বে নিয়োজিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কীভাবে সে দায় এড়াতে পারেন? আসলে মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশে কী বলেন, সেটি বিবেচ্য নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সরকারের মনোভাবটি বুঝতে চান। তাঁরা যদি দেখেন, সরকার দলমতনির্বিশেষে সব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী, তাহলে তাদের সাধ্য নেই কাউকে রেহাই দেওয়ার। ছাত্রলীগের স্থলে অন্য কোনো সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এভাবে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে কি একই কথা বলতেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?
বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যাচর্চার স্থান, মারামারি করার নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অন্তর্দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন এবং কিছুদিন পরপরই তাঁরা আত্মঘাতী সংঘর্ষে লিপ্ত হন। তা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণ কী? এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। দল ও প্রশাসনকে আলাদা ভাবতে না পারলে শিক্ষাঙ্গনসহ কোথাও সংঘাত-সংঘর্ষ বন্ধ করা যাবে না।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও সন্তোষজনক নয়। কারা ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য দায়ী, সেটি নিশ্চয়ই তাদের অজানা নয়। ১৭ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে, কিন্তু প্রকৃত দোষীরা এর আওতায় এসেছে কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক বলেছেন, গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-কর্মীদের ছাড়া হবে না। তাঁর এ প্রত্যয়ের প্রতি আস্থা রেখেও যে কথাটি বলা প্রয়োজন তা হলো, বারবার সংঘর্ষে লিপ্ত ছাত্রলীগ নামধারী এই নেতা-কর্মীরা এত দিন বাইরে ছিলেন কীভাবে? নিজ দলের বা সমর্থক নেতা-কর্মীর অপরাধ আড়াল করে অন্যদের বিরুদ্ধে চালিত অভিযান কখনো সফল হবে না, শিক্ষাঙ্গনে শান্তিও আসবে না। অতএব, আইনকে নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে। সাময়িক বহিষ্কার বা লোক দেখানো গ্রেপ্তার না করে শিক্ষাঙ্গনে শান্তি বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাই পারে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে।
তাঁর এ বক্তব্যে সন্ত্রাসীরা আশকারা পাবে সন্দেহ নেই। সন্ত্রাসীদের ধরার নির্দেশ দিলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। সেই নির্দেশ পালিত হচ্ছে কি না, সেটি দেখার দায়িত্বও তাঁর। এ কথা অন্য কোনো মন্ত্রী বললে না-হয় মানা যেত। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বে নিয়োজিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কীভাবে সে দায় এড়াতে পারেন? আসলে মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশে কী বলেন, সেটি বিবেচ্য নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সরকারের মনোভাবটি বুঝতে চান। তাঁরা যদি দেখেন, সরকার দলমতনির্বিশেষে সব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী, তাহলে তাদের সাধ্য নেই কাউকে রেহাই দেওয়ার। ছাত্রলীগের স্থলে অন্য কোনো সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এভাবে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে কি একই কথা বলতেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?
বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যাচর্চার স্থান, মারামারি করার নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অন্তর্দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন এবং কিছুদিন পরপরই তাঁরা আত্মঘাতী সংঘর্ষে লিপ্ত হন। তা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণ কী? এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। দল ও প্রশাসনকে আলাদা ভাবতে না পারলে শিক্ষাঙ্গনসহ কোথাও সংঘাত-সংঘর্ষ বন্ধ করা যাবে না।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও সন্তোষজনক নয়। কারা ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য দায়ী, সেটি নিশ্চয়ই তাদের অজানা নয়। ১৭ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে, কিন্তু প্রকৃত দোষীরা এর আওতায় এসেছে কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক বলেছেন, গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-কর্মীদের ছাড়া হবে না। তাঁর এ প্রত্যয়ের প্রতি আস্থা রেখেও যে কথাটি বলা প্রয়োজন তা হলো, বারবার সংঘর্ষে লিপ্ত ছাত্রলীগ নামধারী এই নেতা-কর্মীরা এত দিন বাইরে ছিলেন কীভাবে? নিজ দলের বা সমর্থক নেতা-কর্মীর অপরাধ আড়াল করে অন্যদের বিরুদ্ধে চালিত অভিযান কখনো সফল হবে না, শিক্ষাঙ্গনে শান্তিও আসবে না। অতএব, আইনকে নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে। সাময়িক বহিষ্কার বা লোক দেখানো গ্রেপ্তার না করে শিক্ষাঙ্গনে শান্তি বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাই পারে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে।
No comments