তার পরও উরুগুয়ে স্বপ্নহীন
তাহলে উরুগুয়ে পুরোনো দিন আবার ফিরেই পাচ্ছে? আবার বিশ্ব ফুটবলের পরাশক্তি হয়ে উঠবে লাতিন আমেরিকার ছোট্ট এই দেশটি?
পরাশক্তি! ফুঁহ! অস্কার তাবারেজ স্রেফ অবজ্ঞাভরে উড়িয়ে দিলেন কথাটা, ‘উরুগুয়ে আবার ফুটবলের পরাশক্তি হবে, এ কথা বলা আর কল্পনায় স্বর্গরাজ্য তৈরি করা একই কথা।’ তাবারেজ তাহলে উরুগুয়েকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন না!
কথায় কথায় উরুগুয়ের লোকজনের স্বভাব-চরিত্র, তাদের ফুটবল-প্রেম নিয়ে বড়াই করেন দেশটির ফুটবল কোচ তাবারেজ। স্বপ্নও দেখেন। কিন্তু তাঁর স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এসে বাস্তবতা।
ফুটবলের এই বাস্তবতার নাম ডলার, পাউন্ড বা ইউরো! প্রথম বিশ্বের অর্থের ঝনঝনানি নিষ্ঠুর বাস্তবতা হয়ে এসে কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে লাতিন ফুটবলারদের। কোনোক্রমে বল নিয়ে একটু কারিকুরি দেখাতে পারলেই তাঁকে বিভিন্ন ইউরোপিয়ান ক্লাবের স্কাউটরা তুলে নিয়ে নিয়ে মেসি, ফোরলান বানিয়ে ফেলছেন। উরুগুয়ে তো বটেই, খোদ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাও এই সমস্যায় এখন খাদের কিনারে চলে গেছে।
৩৪ লাখ মানুষের ছোট্ট দেশ উরুগুয়ে। এর চেয়ে ঢের বেশি ফুটবলার আছে পাশের ব্রাজিলেই। সেই ব্রাজিলের ঘরোয়া ফুটবলের অবস্থাই এখন যাচ্ছেতাই। উরুগুয়ের ঘরোয়া ফুটবলের অবস্থা তো আরও খারাপ।
দক্ষিণ আমেরিকান লিবোর্তোদোরেস কাপে উরুগুয়ের যে দুটি দল পেনারোল ও ন্যাসিওনালের জয়জয়কার ছিল একসময়, তাদের নামই এখন খুঁজে পাওয়া ভার। উরুগুয়ের কোনো দেশ সর্বশেষ এই ট্রফি জিতেছে ১৯৮৮ সালে।
দেশে প্রথম বিভাগের যে খেলা হয়, তার বেশির ভাগেই হাজার খানেক দর্শকও খুঁজে পাওয়া ভার। দেশটির বেশির ভাগ স্টেডিয়াম ও দলের সাংগঠনিক কাঠামো ইউরোপিয়ান দেশগুলোর সেমি-পেশাদার ক্লাবগুলোর চেয়েও খারাপ।
এই কাঠামোর দিকেই ইঙ্গিত করে তাবারেজ বললেন, ‘আমার মনে হয় না অতীত সাফল্য কোনো দেশকে পরাশক্তিতে পরিণত করতে পারে। সে জন্য দরকার আসলে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক তৎপরতা।’
দেশে ভালো অবকাঠামো গড়ে ওঠা বা সাংগঠনিক তৎপরতা তৈরি হওয়াটা নিশ্চয়ই বড় শর্ত। কিন্তু উরুগুয়ের ফুটবল বিকশিত হওয়ার বড় শর্ত আসলে দেশীয় ফুটবলারদের দেশে ধরে রাখা।
যৎসামান্য এই লোকেদের মধ্য থেকে উরুগুয়েতে যা ফুটবলার তৈরি হয়, তাদের মূল লক্ষ্য থাকে বিমানবন্দর। ফোরলান, সুয়ারেজের মতো কারও কারও ইউরোপে ঠাঁই মেলে। আবার বেশির ভাগ পাড়ি জমান মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, চিলি, পেরু বা কলম্বিয়ার মতো দেশে।
অবশ্য তাবারেজ নিজেদের মহাদেশকে দায় না দিয়ে, ফুটবলার ধরে রাখতে না পারার দায়টা দিচ্ছেন ইউরোপকেই, ‘বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে একটা সময় ছিল উরুগুয়ে বিশ্বকাপে ম্যাচ হারত না। সেই পৃথিবীটা বদলে গেছে। উরুগুয়েও বদলে গেছে। দিন দিন প্রথম বিশ্ব আর তৃতীয় বিশ্বের মধ্যে পার্থক্যটা বড় হচ্ছে। ফুটবলাররা এখন ইউরোপেই খেলে, বসবাস করে। এটাই আমাদের ফুটবলের বড় দুর্বলতা। তারা খুবই অল্প বয়সে ফুটবলারদের নিয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের তৃতীয় বিশ্বের লিগগুলো দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, কমে যাচ্ছে আমাদের খেলোয়াড় সরবরাহের প্রক্রিয়া।’
সব মিলিয়ে তাবারেজ যে ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন উরুগুয়ের জন্য, লাতিন আমেরিকার জন্য, সেটা সুখকর কিছু নয়।
পরাশক্তি! ফুঁহ! অস্কার তাবারেজ স্রেফ অবজ্ঞাভরে উড়িয়ে দিলেন কথাটা, ‘উরুগুয়ে আবার ফুটবলের পরাশক্তি হবে, এ কথা বলা আর কল্পনায় স্বর্গরাজ্য তৈরি করা একই কথা।’ তাবারেজ তাহলে উরুগুয়েকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন না!
কথায় কথায় উরুগুয়ের লোকজনের স্বভাব-চরিত্র, তাদের ফুটবল-প্রেম নিয়ে বড়াই করেন দেশটির ফুটবল কোচ তাবারেজ। স্বপ্নও দেখেন। কিন্তু তাঁর স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এসে বাস্তবতা।
ফুটবলের এই বাস্তবতার নাম ডলার, পাউন্ড বা ইউরো! প্রথম বিশ্বের অর্থের ঝনঝনানি নিষ্ঠুর বাস্তবতা হয়ে এসে কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে লাতিন ফুটবলারদের। কোনোক্রমে বল নিয়ে একটু কারিকুরি দেখাতে পারলেই তাঁকে বিভিন্ন ইউরোপিয়ান ক্লাবের স্কাউটরা তুলে নিয়ে নিয়ে মেসি, ফোরলান বানিয়ে ফেলছেন। উরুগুয়ে তো বটেই, খোদ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাও এই সমস্যায় এখন খাদের কিনারে চলে গেছে।
৩৪ লাখ মানুষের ছোট্ট দেশ উরুগুয়ে। এর চেয়ে ঢের বেশি ফুটবলার আছে পাশের ব্রাজিলেই। সেই ব্রাজিলের ঘরোয়া ফুটবলের অবস্থাই এখন যাচ্ছেতাই। উরুগুয়ের ঘরোয়া ফুটবলের অবস্থা তো আরও খারাপ।
দক্ষিণ আমেরিকান লিবোর্তোদোরেস কাপে উরুগুয়ের যে দুটি দল পেনারোল ও ন্যাসিওনালের জয়জয়কার ছিল একসময়, তাদের নামই এখন খুঁজে পাওয়া ভার। উরুগুয়ের কোনো দেশ সর্বশেষ এই ট্রফি জিতেছে ১৯৮৮ সালে।
দেশে প্রথম বিভাগের যে খেলা হয়, তার বেশির ভাগেই হাজার খানেক দর্শকও খুঁজে পাওয়া ভার। দেশটির বেশির ভাগ স্টেডিয়াম ও দলের সাংগঠনিক কাঠামো ইউরোপিয়ান দেশগুলোর সেমি-পেশাদার ক্লাবগুলোর চেয়েও খারাপ।
এই কাঠামোর দিকেই ইঙ্গিত করে তাবারেজ বললেন, ‘আমার মনে হয় না অতীত সাফল্য কোনো দেশকে পরাশক্তিতে পরিণত করতে পারে। সে জন্য দরকার আসলে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক তৎপরতা।’
দেশে ভালো অবকাঠামো গড়ে ওঠা বা সাংগঠনিক তৎপরতা তৈরি হওয়াটা নিশ্চয়ই বড় শর্ত। কিন্তু উরুগুয়ের ফুটবল বিকশিত হওয়ার বড় শর্ত আসলে দেশীয় ফুটবলারদের দেশে ধরে রাখা।
যৎসামান্য এই লোকেদের মধ্য থেকে উরুগুয়েতে যা ফুটবলার তৈরি হয়, তাদের মূল লক্ষ্য থাকে বিমানবন্দর। ফোরলান, সুয়ারেজের মতো কারও কারও ইউরোপে ঠাঁই মেলে। আবার বেশির ভাগ পাড়ি জমান মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, চিলি, পেরু বা কলম্বিয়ার মতো দেশে।
অবশ্য তাবারেজ নিজেদের মহাদেশকে দায় না দিয়ে, ফুটবলার ধরে রাখতে না পারার দায়টা দিচ্ছেন ইউরোপকেই, ‘বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে একটা সময় ছিল উরুগুয়ে বিশ্বকাপে ম্যাচ হারত না। সেই পৃথিবীটা বদলে গেছে। উরুগুয়েও বদলে গেছে। দিন দিন প্রথম বিশ্ব আর তৃতীয় বিশ্বের মধ্যে পার্থক্যটা বড় হচ্ছে। ফুটবলাররা এখন ইউরোপেই খেলে, বসবাস করে। এটাই আমাদের ফুটবলের বড় দুর্বলতা। তারা খুবই অল্প বয়সে ফুটবলারদের নিয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের তৃতীয় বিশ্বের লিগগুলো দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, কমে যাচ্ছে আমাদের খেলোয়াড় সরবরাহের প্রক্রিয়া।’
সব মিলিয়ে তাবারেজ যে ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন উরুগুয়ের জন্য, লাতিন আমেরিকার জন্য, সেটা সুখকর কিছু নয়।
No comments