শেয়ারবাজারে বিদেশি প্রতারক চক্র -বিনিয়োগের সময়ই সতর্কভাবে যাচাই জরুরি
দেশের শেয়ারবাজারে ক্রমেই জুয়াবাজ আর প্রতারক চক্রের তৎপরতা বাড়ছে। অতি উৎসাহী কিছু দেশি ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বিদেশ থেকেও এসব চক্রের লোকজনকে এই বাজারে ভিড়িয়েছে নিজেদের অতি মুনাফা লাভের আশায়। প্রতারকেরা কৃত্রিমভাবে ফুলে ওঠা বাজার থেকে নিজেদের বিনিয়োগ মুনাফাসহ নিয়ে কেটে পড়ছে। ফলে বাজার হয়ে পড়ছে ঝুঁকিপূর্ণ। প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিদেশি উদ্যোক্তা হিসেবে নাম রয়েছে অখ্যাত এক প্রতিষ্ঠানের। আর এই প্রতিষ্ঠানের দুই মালিক আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের ফেরারি আসামি। ২০০৯ সাল থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়। অথচ এই দুজন দিব্যি বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে টাকা খাটিয়ে বাজার থেকে ২৫০ কোটি টাকা তুলে নিয়ে গেছেন নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে।
এ ঘটনাটি গভীর সমুদ্রে হিমশৈলের চূড়া দেখার মতো। এটা থেকে আবারও প্রতীয়মান হয় যে আন্তর্জাতিকভাবে শেয়ারবাজারের প্রতারক চক্রের দৃষ্টি পড়েছে বাংলাদেশে। দেশীয় প্রতারক চক্রের সঙ্গে যোগসাজশে মানুষকে প্রলুব্ধ করে শেয়ারবাজারে টেনে এনে নিজেরা সময়মতো বাজার থেকে মুনাফা তুলে নিয়ে যাবে। মাঝখান থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীকে মাথায় হাত দিতে হবে তাঁর সীমিত পুঁজি খুইয়ে। ফলে একটি শক্তিশালী ও পরিণত পুঁজিবাজারে রূপ নেওয়ার বিষয়টি আর সেভাবে বাস্তবায়িত হবে না, যা দীর্ঘ মেয়াদে দেশের অর্থনীতির জন্য বিরাট ক্ষতির কারণ হবে। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, বাজারে ঘোষণা দিয়েই এসব শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে। তার পরও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কেউ তাঁদের সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে দায় এড়াচ্ছেন। খবর পাওয়ার পর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা তদন্ত করবে বলে গৎবাঁধা বুলি আওড়েছে। যাবতীয় লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে, সেই এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষের দাবি, বিদেশ থেকে টাকা আসা-যাওয়ার বিষয় দেখবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বোঝাই যাচ্ছে, কে বা কারা বাজারে এসে বিনিয়োগ করছেন, সেটা তাদের কাছে কোনো বিষয় নয়।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, কে বা কারা বিনিয়োগ করতে আসছেন, তা অবশ্যই বিবেচনার বিষয়। গত বছরও কেম্যান দ্বীপের এক অখ্যাত প্রতিষ্ঠানকে এ দেশে বিনিয়োগ করানোর নামে টাকা তুলে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। নেপথ্যে ছিয়ানব্বইয়ের শেয়ার কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ও দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ব আর্থিক সংকটে বিপাকে পড়া একটি বিদেশি ব্যাংকের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)—কেউই এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আর এটা দেশি-বিদেশি প্রতারকদের সক্রিয় হয়ে ওঠার সংকেত দিয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। দেশের আর্থিক খাতের ও অর্থনীতির স্থিতিশীলতার স্বার্থে, ইতিবাচক পুঁজিবাজার দাঁড় করানোর দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর নজরদারি আরও কঠোর করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চয়ই প্রত্যাশিত কিন্তু বাছ-বিচার ছাড়া তা ঢুকতে দেওয়া ঠিক হবে না।
এ ঘটনাটি গভীর সমুদ্রে হিমশৈলের চূড়া দেখার মতো। এটা থেকে আবারও প্রতীয়মান হয় যে আন্তর্জাতিকভাবে শেয়ারবাজারের প্রতারক চক্রের দৃষ্টি পড়েছে বাংলাদেশে। দেশীয় প্রতারক চক্রের সঙ্গে যোগসাজশে মানুষকে প্রলুব্ধ করে শেয়ারবাজারে টেনে এনে নিজেরা সময়মতো বাজার থেকে মুনাফা তুলে নিয়ে যাবে। মাঝখান থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীকে মাথায় হাত দিতে হবে তাঁর সীমিত পুঁজি খুইয়ে। ফলে একটি শক্তিশালী ও পরিণত পুঁজিবাজারে রূপ নেওয়ার বিষয়টি আর সেভাবে বাস্তবায়িত হবে না, যা দীর্ঘ মেয়াদে দেশের অর্থনীতির জন্য বিরাট ক্ষতির কারণ হবে। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, বাজারে ঘোষণা দিয়েই এসব শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে। তার পরও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কেউ তাঁদের সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে দায় এড়াচ্ছেন। খবর পাওয়ার পর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা তদন্ত করবে বলে গৎবাঁধা বুলি আওড়েছে। যাবতীয় লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে, সেই এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষের দাবি, বিদেশ থেকে টাকা আসা-যাওয়ার বিষয় দেখবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বোঝাই যাচ্ছে, কে বা কারা বাজারে এসে বিনিয়োগ করছেন, সেটা তাদের কাছে কোনো বিষয় নয়।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, কে বা কারা বিনিয়োগ করতে আসছেন, তা অবশ্যই বিবেচনার বিষয়। গত বছরও কেম্যান দ্বীপের এক অখ্যাত প্রতিষ্ঠানকে এ দেশে বিনিয়োগ করানোর নামে টাকা তুলে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। নেপথ্যে ছিয়ানব্বইয়ের শেয়ার কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ও দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ব আর্থিক সংকটে বিপাকে পড়া একটি বিদেশি ব্যাংকের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)—কেউই এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আর এটা দেশি-বিদেশি প্রতারকদের সক্রিয় হয়ে ওঠার সংকেত দিয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। দেশের আর্থিক খাতের ও অর্থনীতির স্থিতিশীলতার স্বার্থে, ইতিবাচক পুঁজিবাজার দাঁড় করানোর দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর নজরদারি আরও কঠোর করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চয়ই প্রত্যাশিত কিন্তু বাছ-বিচার ছাড়া তা ঢুকতে দেওয়া ঠিক হবে না।
No comments