বেহাল অবস্থায় চলছে আরজেএসসি
কিছু কার্যক্রম কম্পিউটারভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির আওতায় আনা হলেও যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয়ের (আরজেএসসি) বেহাল দশা এখনো কাটেনি। কোম্পানির নামের ছাড়পত্র ও নিবন্ধন বর্তমানে অনলাইনে করা যায়। কিন্তু বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকে আরজেএসসির ওয়েবসাইট।
রাজধানীর উত্তরায় আরজেএসসির আরেকটি কার্যালয় হওয়ার কথা। এতে ২৫ জন কর্মী নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। বিষয়টি সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় ঝুলে আছে দুই বছর। তবে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিয়োগ নীতিমালা থাকলেও আরজেএসসির তা নেই। তাদের নীতিমালা অনুমোদন হওয়ার পর নিয়োগ-প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
এদিকে, গত ১ জুন আরজেএসসির প্রধান কার্যালয় রাজধানীর মতিঝিল থেকে কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনের ষষ্ঠ তলায় নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ তা জানে না। আবার নতুন কার্যালয়ে এসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল খুঁজে পাচ্ছে না আরজেএসসি।
সংস্থার কর্মকর্তারা অবশ্য এই সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তাঁরা এও বলছেন, কার্যালয় স্থানান্তরের কারণে ফাইল খুঁজে পেতে একটু সমস্যা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে তা ঠিক হয়ে যাবে।
নামের ছাড়পত্রের জন্য পরীবাগের অধিবাসী মিনহাজুল আবেদীন গত বৃহস্পতিবার আরজেএসসির সাবেক কার্যালয়ে যান। বিরক্তি নিয়ে প্রথম আলোকে তিনি জানান, ‘এত গুরুত্বপূর্ণ একটি কার্যালয় স্থানান্তরিত হয়েছে। অথচ জনগণকে তা জানানো হয়নি। এটি নিতান্তই সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তিই বাড়ছে।’
এদিকে কোম্পানির নামের ছাড়পত্র ও নিবন্ধনের কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির আওতায় আনা হয়েছে ১৬ মাস আগে। তবে বাস্তব অবস্থা একেবারেই উল্টো। বছরের বেশির ভাগ সময়ই এই ওয়েবসাইট খোলা যায় না। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে এক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা করে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের নিবন্ধক আহমেদুর রহিম গত রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতের বেলায় বন্ধ থাকলেও দিনে ওয়েবসাইট খোলা থাকে। বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে এমনটি ঘটছে। টিসিবির চেয়ারম্যান আশ্বাস দিয়েছেন, এক মাসের মধ্যে সব ব্যবস্থা করবেন।’
২০০৯ সালের ১৬ মার্চ আরজেএসসিএফ কার্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান অনলাইনে কোম্পানির নিবন্ধন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
ওই দিন বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘অহেতুক বিড়ম্বনা ও হয়রানি দূর করতে অনলাইন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এখন আর মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হবে না। ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে তা করা যাবে।’
সূত্র জানায়, আরজেএসসিতে ২০০৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে অনলাইনের মাধ্যমে নামের ছাড়পত্র গ্রহণ ও নিষ্পত্তি শুরু হয়। ৮ মার্চ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয় নিবন্ধন প্রক্রিয়া। তবে ১৬ মার্চ থেকে এ প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু।
আরজেএসসির কর্মকর্তারা জানান, নামের ছাড়পত্র গ্রহণ ও কোম্পানি নিবন্ধনের জন্য গ্রাহকেরা টাউট-বাটপারদের মাধ্যমে নানাভাবে নাজেহাল হতেন। তাই অনলাইন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
ওয়েবসাইটে (www.roc.gov.bd) বিদ্যমান কোম্পানির নামগুলো পরীক্ষা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। আবেদনকারী নিজের জন্য নতুন একটি নাম পছন্দ করে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
আরজেএসসি কার্যালয় সরেজমিন পরিদর্শনকালে গতকাল মিরপুরের নাজমা সুলতানা প্রথম আলোকে জানান, ‘আরজেএসসির অনলাইন কার্যক্রম নামে চালু করা হলেও প্রকৃত চিত্র ভিন্ন। অনলাইন কার্যক্রম ইচ্ছে করে বন্ধ রাখা হয়েছে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি করার জন্য। এখনো দালাল চক্রের মাধ্যমেই চলে আরজেএসসি।’
জানা যায়, রেগুলেটরি রিফর্মস কমিশনের (আরআরসি) পরামর্শ এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) আর্থিক সহযোগিতায় গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে আরজেএসসির কার্যক্রমে কিছু সংস্কার এসেছে।
বর্তমানে একই নামে অন্য কোনো কোম্পানি না থাকলে আরজেএসসি এক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রাহককে তা জানিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু লোকবল সংকটে কাজগুলো ঠিকমত করতে পারছে না আরজেএসসি। এরপর ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে রসিদটি নিবন্ধকের কার্যালয়ে এসে কাউন্টারে জমা দিলেই কাজ শেষ। বর্তমানে সর্বোচ্চ দুই দিনের মধ্যে অনলাইনে নামের ছাড়পত্র পাওয়ার কথা।
তার পরের ধাপই হলো কোম্পানির নিবন্ধন। একই ওয়েবসাইটে প্রাইভেট লিমিটেড ও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির জন্য আলাদা সংঘস্মারক ও সংঘবিধির ফরম দেওয়া রয়েছে। এগুলো পূরণ করে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের টিআইএন সনদসহ তিন কপি আবেদনপত্র জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে ফির পরিমাণ নির্ভর করবে অনুমোদিত মূলধনের ওপর। কখন কী করতে হবে, অনলাইনেই জানিয়ে দেওয়া হবে। সাত দিনের মধ্যেই শেষ হবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া।
সূত্র জানায়, আইএফসি শুরুর দিকে যেসব কাজ করে দেবে বলে চুক্তি করেছিল, পরে তা কাটছাঁট করে। এ জন্য কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ওয়েবসাইট যে খোলা যায় না, তাও আইএফসির কাটছাঁটেরই কারণে।
সাবেক বাণিজ্য সচিব ফিরোজ আহমেদ এর আগে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘কোম্পানি আইনের বিধিবিধান পরিবর্তন না হলে আরজেএসসির নিবন্ধন প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এনেও খুব বেশি লাভ হবে না।’ তাঁর মতে, রিটার্ন ও সার্টিফিকেটকেও অনলাইন পদ্ধতির আওতায় আনতে হবে। তবে এ সময় বেশি জরুরি হলো আরজেএসসির জনবল সংকট দূর করা।
টিসিবি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, ‘আরজেএসসি সম্প্রতি একটি চিঠি পাঠিয়েছে রাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বা জেনারেটরের ব্যবস্থা করার জন্য, যাতে তাদের ওয়েবসাইট কাভারেজ পাওয়া যায়। শিগগিরই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
রাজধানীর উত্তরায় আরজেএসসির আরেকটি কার্যালয় হওয়ার কথা। এতে ২৫ জন কর্মী নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। বিষয়টি সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় ঝুলে আছে দুই বছর। তবে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিয়োগ নীতিমালা থাকলেও আরজেএসসির তা নেই। তাদের নীতিমালা অনুমোদন হওয়ার পর নিয়োগ-প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
এদিকে, গত ১ জুন আরজেএসসির প্রধান কার্যালয় রাজধানীর মতিঝিল থেকে কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনের ষষ্ঠ তলায় নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ তা জানে না। আবার নতুন কার্যালয়ে এসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল খুঁজে পাচ্ছে না আরজেএসসি।
সংস্থার কর্মকর্তারা অবশ্য এই সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তাঁরা এও বলছেন, কার্যালয় স্থানান্তরের কারণে ফাইল খুঁজে পেতে একটু সমস্যা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে তা ঠিক হয়ে যাবে।
নামের ছাড়পত্রের জন্য পরীবাগের অধিবাসী মিনহাজুল আবেদীন গত বৃহস্পতিবার আরজেএসসির সাবেক কার্যালয়ে যান। বিরক্তি নিয়ে প্রথম আলোকে তিনি জানান, ‘এত গুরুত্বপূর্ণ একটি কার্যালয় স্থানান্তরিত হয়েছে। অথচ জনগণকে তা জানানো হয়নি। এটি নিতান্তই সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তিই বাড়ছে।’
এদিকে কোম্পানির নামের ছাড়পত্র ও নিবন্ধনের কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির আওতায় আনা হয়েছে ১৬ মাস আগে। তবে বাস্তব অবস্থা একেবারেই উল্টো। বছরের বেশির ভাগ সময়ই এই ওয়েবসাইট খোলা যায় না। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে এক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা করে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের নিবন্ধক আহমেদুর রহিম গত রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতের বেলায় বন্ধ থাকলেও দিনে ওয়েবসাইট খোলা থাকে। বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে এমনটি ঘটছে। টিসিবির চেয়ারম্যান আশ্বাস দিয়েছেন, এক মাসের মধ্যে সব ব্যবস্থা করবেন।’
২০০৯ সালের ১৬ মার্চ আরজেএসসিএফ কার্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান অনলাইনে কোম্পানির নিবন্ধন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
ওই দিন বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘অহেতুক বিড়ম্বনা ও হয়রানি দূর করতে অনলাইন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এখন আর মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হবে না। ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে তা করা যাবে।’
সূত্র জানায়, আরজেএসসিতে ২০০৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে অনলাইনের মাধ্যমে নামের ছাড়পত্র গ্রহণ ও নিষ্পত্তি শুরু হয়। ৮ মার্চ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয় নিবন্ধন প্রক্রিয়া। তবে ১৬ মার্চ থেকে এ প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু।
আরজেএসসির কর্মকর্তারা জানান, নামের ছাড়পত্র গ্রহণ ও কোম্পানি নিবন্ধনের জন্য গ্রাহকেরা টাউট-বাটপারদের মাধ্যমে নানাভাবে নাজেহাল হতেন। তাই অনলাইন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
ওয়েবসাইটে (www.roc.gov.bd) বিদ্যমান কোম্পানির নামগুলো পরীক্ষা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। আবেদনকারী নিজের জন্য নতুন একটি নাম পছন্দ করে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
আরজেএসসি কার্যালয় সরেজমিন পরিদর্শনকালে গতকাল মিরপুরের নাজমা সুলতানা প্রথম আলোকে জানান, ‘আরজেএসসির অনলাইন কার্যক্রম নামে চালু করা হলেও প্রকৃত চিত্র ভিন্ন। অনলাইন কার্যক্রম ইচ্ছে করে বন্ধ রাখা হয়েছে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি করার জন্য। এখনো দালাল চক্রের মাধ্যমেই চলে আরজেএসসি।’
জানা যায়, রেগুলেটরি রিফর্মস কমিশনের (আরআরসি) পরামর্শ এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) আর্থিক সহযোগিতায় গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে আরজেএসসির কার্যক্রমে কিছু সংস্কার এসেছে।
বর্তমানে একই নামে অন্য কোনো কোম্পানি না থাকলে আরজেএসসি এক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রাহককে তা জানিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু লোকবল সংকটে কাজগুলো ঠিকমত করতে পারছে না আরজেএসসি। এরপর ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে রসিদটি নিবন্ধকের কার্যালয়ে এসে কাউন্টারে জমা দিলেই কাজ শেষ। বর্তমানে সর্বোচ্চ দুই দিনের মধ্যে অনলাইনে নামের ছাড়পত্র পাওয়ার কথা।
তার পরের ধাপই হলো কোম্পানির নিবন্ধন। একই ওয়েবসাইটে প্রাইভেট লিমিটেড ও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির জন্য আলাদা সংঘস্মারক ও সংঘবিধির ফরম দেওয়া রয়েছে। এগুলো পূরণ করে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের টিআইএন সনদসহ তিন কপি আবেদনপত্র জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে ফির পরিমাণ নির্ভর করবে অনুমোদিত মূলধনের ওপর। কখন কী করতে হবে, অনলাইনেই জানিয়ে দেওয়া হবে। সাত দিনের মধ্যেই শেষ হবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া।
সূত্র জানায়, আইএফসি শুরুর দিকে যেসব কাজ করে দেবে বলে চুক্তি করেছিল, পরে তা কাটছাঁট করে। এ জন্য কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ওয়েবসাইট যে খোলা যায় না, তাও আইএফসির কাটছাঁটেরই কারণে।
সাবেক বাণিজ্য সচিব ফিরোজ আহমেদ এর আগে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘কোম্পানি আইনের বিধিবিধান পরিবর্তন না হলে আরজেএসসির নিবন্ধন প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এনেও খুব বেশি লাভ হবে না।’ তাঁর মতে, রিটার্ন ও সার্টিফিকেটকেও অনলাইন পদ্ধতির আওতায় আনতে হবে। তবে এ সময় বেশি জরুরি হলো আরজেএসসির জনবল সংকট দূর করা।
টিসিবি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, ‘আরজেএসসি সম্প্রতি একটি চিঠি পাঠিয়েছে রাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বা জেনারেটরের ব্যবস্থা করার জন্য, যাতে তাদের ওয়েবসাইট কাভারেজ পাওয়া যায়। শিগগিরই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
No comments