জার্মানিকে চায় হল্যান্ড
স্পেন কিংবা জার্মানি—প্রতিপক্ষ হিসেবে দুদলই কঠিন। তবে সেমিফাইনালের আগ পর্যন্ত যা পারফরম্যান্স ছিল জার্মানির, তাতে জার্মানিকে প্রতিপক্ষ হিসেবে চাইবে না কেউই। কিন্তু হল্যান্ড চাইছে। পুরোনো হিসাব চুকানোর একটা ব্যাপার যে সামনে চলে এসেছে!
ফাইনালে কোন দলকে পাচ্ছে হল্যান্ড, এই লেখা পড়ার সময় আপনাদের জেনে যাওয়ার কথা। কিন্তু ডাচরা কথাগুলো বলেছেন নিজেদের সেমিফাইনাল শেষে। ৩২ বছর পর আবার ফাইনালে উঠেই ডাচদের মনে পড়ছে প্রথম ফাইনালের কথা। ১৯৭৪ বিশ্বকাপ হল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবের এবং একই সঙ্গে সবচেয়ে আক্ষেপের অধ্যায়। ‘টোটাল ফুটবলের’ অবিস্মরণীয় জাদুতে পুরো বিশ্বকে বিমোহিত করেছিল ডাচরা, ফুটবল দেখেছিল ইয়োহন ক্রুইফ নামের এক জাদুকরকে। ফাইনালে ক্রুইফের দল মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের জার্মানির। কারও ভাবনায় ছিল না হল্যান্ড হারবে, জার্মানরা ছাড়া জার্মানদের জয় চায়নি আর কেউই। কিন্তু জার্মান-যন্ত্রে পিষে যায় ডাচ-স্বপ্ন।
এবার যদি আবার ফাইনালে জার্মানিকে পায় হল্যান্ড, তাহলে এটিকে ‘প্রতিশোধের ম্যাচ’ বলে সহজেই শিষ্যদের উজ্জীবিত করতে পারেন বার্ট ফন মারউইক। হল্যান্ড কোচ অবশ্য প্রতিশোধ-তত্ত্বটাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন। তা দিন, কিন্তু তাঁর কথায় প্রতিশোধের গন্ধই যেন পাওয়া যাচ্ছে, ‘প্রতিশোধ নিয়ে আমি ভাবি না। আমরা দুর্দান্ত খেলেছিলাম (১৯৭৪-এর ফাইনালে), তবুও জার্মানির কাছে হারতে হয়েছে। কিন্তু আমাদের জেতা উচিত ছিল। ইয়োহান ক্রুইফের নেতৃত্বে সেটা ছিল আমাদের অনন্য একটি প্রজন্ম। দীর্ঘদিন পরে আবার ফাইনালে উঠে জার্মানিকে পেলে তাই তা হবে দারুণ।’
১৯৭৪ বিশ্বকাপের মতো আলোড়ন এবার হয়তো তুলতে পারেনি হল্যান্ড, তবে মারউইকের দলও অসাধারণ খেলছে। এই বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত সব ম্যাচ জিতেছে একমাত্র ডাচরাই। সর্বশেষ ম্যাচটি হেরেছে তারা ২০০৮ ইউরোতে। অপ্রতিরোধ্য এই দলের পক্ষে প্রতিশোধ নেওয়া অসম্ভব মনে হচ্ছে না।
রবিন ফন পার্সি অবশ্য ইতিহাস বা প্রতিশোধ নিয়ে ভাবতে রাজি নন। তবে জার্মানির বিপক্ষে খেলাই তাঁর দলের চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জ বলে ধরে নিচ্ছেন। এ জন্যই ফাইনালে জার্মানিকে চান হল্যান্ড স্ট্রাইকার, ‘আমার কেন যেন মনে হচ্ছে জার্মানি ফাইনালে উঠবে। যদি তা-ই হয়, তাহলে তা হবে আমাদের জন্য দারুণ এক চ্যালেঞ্জ।’
আরিয়েন রোবেনের কাছে অবশ্য জার্মানি বড় একটা চ্যালেঞ্জ। তবে ভিন্ন কারণে, ‘জার্মানি ও স্পেন দুটোই ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী দল। তা হোক, এই টুর্নামেন্টের ফলাফলে জার্মানিকেই এগিয়ে রাখতে হবে। জার্মানি উঠলে জয়ের জন্য আমি আরও বেশি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকব। জার্মানির বিপক্ষে কোনোভাবেই হারা যাবে না। হারলে বায়ার্ন মিউনিখে আমার সতীর্থরা আমাকে সারা বছর খেপিয়ে মারবে!’
ফাইনালে কোন দলকে পাচ্ছে হল্যান্ড, এই লেখা পড়ার সময় আপনাদের জেনে যাওয়ার কথা। কিন্তু ডাচরা কথাগুলো বলেছেন নিজেদের সেমিফাইনাল শেষে। ৩২ বছর পর আবার ফাইনালে উঠেই ডাচদের মনে পড়ছে প্রথম ফাইনালের কথা। ১৯৭৪ বিশ্বকাপ হল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবের এবং একই সঙ্গে সবচেয়ে আক্ষেপের অধ্যায়। ‘টোটাল ফুটবলের’ অবিস্মরণীয় জাদুতে পুরো বিশ্বকে বিমোহিত করেছিল ডাচরা, ফুটবল দেখেছিল ইয়োহন ক্রুইফ নামের এক জাদুকরকে। ফাইনালে ক্রুইফের দল মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের জার্মানির। কারও ভাবনায় ছিল না হল্যান্ড হারবে, জার্মানরা ছাড়া জার্মানদের জয় চায়নি আর কেউই। কিন্তু জার্মান-যন্ত্রে পিষে যায় ডাচ-স্বপ্ন।
এবার যদি আবার ফাইনালে জার্মানিকে পায় হল্যান্ড, তাহলে এটিকে ‘প্রতিশোধের ম্যাচ’ বলে সহজেই শিষ্যদের উজ্জীবিত করতে পারেন বার্ট ফন মারউইক। হল্যান্ড কোচ অবশ্য প্রতিশোধ-তত্ত্বটাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন। তা দিন, কিন্তু তাঁর কথায় প্রতিশোধের গন্ধই যেন পাওয়া যাচ্ছে, ‘প্রতিশোধ নিয়ে আমি ভাবি না। আমরা দুর্দান্ত খেলেছিলাম (১৯৭৪-এর ফাইনালে), তবুও জার্মানির কাছে হারতে হয়েছে। কিন্তু আমাদের জেতা উচিত ছিল। ইয়োহান ক্রুইফের নেতৃত্বে সেটা ছিল আমাদের অনন্য একটি প্রজন্ম। দীর্ঘদিন পরে আবার ফাইনালে উঠে জার্মানিকে পেলে তাই তা হবে দারুণ।’
১৯৭৪ বিশ্বকাপের মতো আলোড়ন এবার হয়তো তুলতে পারেনি হল্যান্ড, তবে মারউইকের দলও অসাধারণ খেলছে। এই বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত সব ম্যাচ জিতেছে একমাত্র ডাচরাই। সর্বশেষ ম্যাচটি হেরেছে তারা ২০০৮ ইউরোতে। অপ্রতিরোধ্য এই দলের পক্ষে প্রতিশোধ নেওয়া অসম্ভব মনে হচ্ছে না।
রবিন ফন পার্সি অবশ্য ইতিহাস বা প্রতিশোধ নিয়ে ভাবতে রাজি নন। তবে জার্মানির বিপক্ষে খেলাই তাঁর দলের চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জ বলে ধরে নিচ্ছেন। এ জন্যই ফাইনালে জার্মানিকে চান হল্যান্ড স্ট্রাইকার, ‘আমার কেন যেন মনে হচ্ছে জার্মানি ফাইনালে উঠবে। যদি তা-ই হয়, তাহলে তা হবে আমাদের জন্য দারুণ এক চ্যালেঞ্জ।’
আরিয়েন রোবেনের কাছে অবশ্য জার্মানি বড় একটা চ্যালেঞ্জ। তবে ভিন্ন কারণে, ‘জার্মানি ও স্পেন দুটোই ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী দল। তা হোক, এই টুর্নামেন্টের ফলাফলে জার্মানিকেই এগিয়ে রাখতে হবে। জার্মানি উঠলে জয়ের জন্য আমি আরও বেশি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকব। জার্মানির বিপক্ষে কোনোভাবেই হারা যাবে না। হারলে বায়ার্ন মিউনিখে আমার সতীর্থরা আমাকে সারা বছর খেপিয়ে মারবে!’
No comments